somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক অযোগ্য মামা ও তার অংকন প্রতিভার গল্প

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আর্টের টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি কিছুই বুঝি না। এমনকি এবিষয়ে কোনো পড়াশুনাও নাই। তারপরও শিল্পের এই দিকটা আমাকে খুব টানে। একটা মুগ্ধতা ছিল সব সময়ই। নিজে যেমন কলস আঁকলে ড্রয়িং টিচার খাতা নিয়ে হাসতে হাসতে বলত " তুই কিছু আঁকলে নিচে নাম লিখে দিস, না হলে কলস কে বদনা মনে হয় " । আমার হাতি সবসময়ই ছাগলের কাছাকাছি হতো, পেঁপেঁ হতো লিচুর মতো। আমার গোলাপফুল আঁকা দেখলে দুনিয়ার কোন প্রেমিকই তার প্রেমিকাকে ভুলেও কোনদিন গোলাপফুল দিতে চাইবে না ।ক্যাডেট কলেজের আর্টের শিক্ষক আরিফুর রহমান স্যারের কিছু শর্ট লিস্টেড তালিকায় আমার নাম ছিল যাদেরকে শুধু অন্য বিষয়ের রেজাল্টের জোরে আর্টে পাশ করতে হতো। আর্টের জোরে আর্ট পরীক্ষায় জীবনেও পাশ করতে পারতাম না । এমনকি আর্টের খাতা দেয়ার পরে প্রাপ্ত নম্বরটা না দেখেই স্যারের কাছে হাজির হতাম পাশ মার্ক আদায়ের জন্য। এহেন আমি বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার সময় কি মনে করে বুঝি ইন্জ্ঞিয়ারিং এর পাশাপাশি আর্কিটেকচারে ভর্তির ফরমও কিনেছিলাম । ভেবেছিলাম ইন্জ্ঞিয়ারিং এর পরীক্ষা খারাপ হলেও হয়ত আর্কিতে চান্স পাওয়ার একটা চান্স থাকবে। কিন্তু আর্কির পরীক্ষা দিতে বসেই বুঝতে পারলাম যে এখানে যদি আমাকে বিশেষ বিবেচনাও ভর্তি করায় আমি এর ক্লাস টেস্টেই কোন দিন পাস করতে পারব না। মনে আছে আর্কির ভর্তি পরীক্ষার দিনে আমার খাতা দেখে পাহারারত পরীক্ষক আরেকজনকে ডেকে গম্ভীর মুখে আমার খাতা দেখালেন । আমার নাম ও কলেজ জিজ্ঞাসা করলেন । আমি ভাবলাম বুঝি একেবারে খারাপ হচ্ছে না। কলেজের মুখ হয়ত বুয়েটেও আমি আলোকিত করব। কিন্তু আমার সব বিশ্বাস ভেন্গে দিয়ে অপর শিক্ষকের হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ার দশা।

নিজের এই অপারগতার কারনেই আরো আর্টের প্রতি টানটা বেশি। তবু এর ধারে কাছে কোনদিন যাইনা পাছে। অথচ আমার ১০ বছরের ভাগ্নী আমার মোবাইলের টাচস্ক্রিনে স্টাইলাস দিয়ে এমন সব ছবি আঁকে যে আমার মাথায়
পিস্তল ধরলেও জীবন বাঁচানোর তাগিদেও এর ধারে কাছে এমন ছবি আমি কোনদিনই আঁকতে পারব না। আপনারাই দেখেন ছবিগুলো , আর দেখেন এমন গুনীভাগ্নির মামা হিসাবে পরিচয় দিতে কেন আমি লজ্জা পাই :



সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×