somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইক্লিং...........

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামির যখন বলল অরু সাইক্লিং এ যাইবা...... বললাম এক পায়ে খাড়া....বলল বিজি সময়টা একটু পার হইলেই যাব......রেডি থাইকো.....

গত পরশু বলল ১লা ফেব যাবো.....সকাল সাড়ে ৯ টায় জেটিতে চলে এস.....গতকাল আদিক বলল সবকিছু তৈরী হয়ে আছে......প্রায় ৩০ কিলো ....... লংকাউঈ এর ছোট্ট একটা অংশ চক্কর দিবো...... ৩০ কিলো শুনে একটু থতমত খেয়ে গেছি......আমি ভাবছিলাম ১০/১২ কিলো হবে....তুড়ী দেবার মতো করেই চালানো যাবে......সব চেয়ে দুঃখের কথা এখানে তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস (+/_ ২ )

যাই হোক সকাল বেলায় জেটিতে যেয়ে হাজির হইলাম.........সামির-রিনঝিন-রাজেন-জুরেশ-আদিক-ওমর-জোগেন্দ্র-আরতি-আনু-ইয়ুগ-ফিজি - নারা আর আমি......

যাই হোক পোর্ট লংকাসুকা তে এসে সাইকেল গুলা বেশ বড় সর একটা ঢোক গিললাম........মাত্র তিনটা রেসিং সাইকেল বাকি গুলা সাধারন.....রাস্তার মাঝেই তো মনে হয় খইসা খইসা পড়বো সাইকেল গুলা......

যাই হোক ১০টা ২০ এ শুরু করলাম আমাদের যাত্রা.......আদিক টিম লিডার ...... আমরা নিরীহ অনুসারী.......

১০ মিনিট চালানোর পরই বুঝতে পারলাম আজকে পুরাই খবর আছে.....প্রচন্ড রোদ....ঝরঝরা সাইকেল.....অনভ্যাস......সিগারেট খাওয়া কইলজায় দমের অভাব.......কোনো কিছুরই ঘাটতি নাই......চিন্তা করলাম পেছনে গাড়ি আছে.....সমস্যা হইলে সাইকেল গাড়ীতে তুইলা দিয়া গাড়ীর ছাদে বইসা থাকুম.......আধা ঘন্টা পর ১ম ব্রেক......আমি ভাবছিলাম আমার অবস্থাই মনে হয় খারাপ শুধু......পরে আশে পাশে তাকায় বুঝলাম আমার চেয়েও অনেক করুন অবস্থা পাবলিকের.......

যাই হোক আরও ঘন্টা খানেক পর লান্চ এর জন্য থামলাম.......এর মাঝে রিনঝিন নক আউট......আরতি তখন রিনঝিন এর সাইকেল চালাইতেছে......

আমি লংকাউঈ এর ভিতরে খুব বেশী কিছু দেখি নাই আগে.......কিন্তু এবার দেখে কিছুটা ভুল ভাংলো......ছড়ায় ছিটায় আছে অনেক অনেক সুন্দর সুন্দর বাংলো........আবার কয়েক জায়গায় কয়েকটি বাংলো মিলে রেস্ট হাউজ বানানো হইছে.....রেস্ট হাউজের সাথে আবার রেস্টুরেন্ট ও আছে......গ্রামের মানুষ গুলি আমাদের দেখে কেউ মুচকি হাসি কেউ হাই কেউ হাত নাড়ছিল.......দেখতে খুব একটা খারাপ লাগছিল না......মজাই লাগছিল.....শুধু প্রচন্ড রোদটাই যা বিরক্ত করছিল.......

লান্চের পর সামির বলল এর পরের ব্রেক হবে ডিংকস ব্রেক ( সফ্ট ড্রিংকস এবং বিয়ার যে যেটা খায়......) পরে নক আউট হলো জুরেশ.... জুরেশের করুন অবস্থা দেখে ফিজি বলল ঠিক আছে আমি টেক ওভার করছি তুমি গাড়িতে বস.......জুরেশের হাসি আর দেখে কে.......

এরপর আমরা চেনাং বিচ এরিয়া ছেড়ে আসলাম চেনাং পোর্ট এ......এই পোর্ট টা নতুন হচ্ছে.....এখানে আছে চার্লিস রেস্টুরেন্ট......বেশ বড় আর অনেক খোলামেলা........বিচের সাথে গা ঘেষা.......সবাই মিলে বসলাম বার টপে.......সামির বলল ৩০ মিনিটে যার যা ইচ্ছা ড্রিংকস নাও......বইলা আমার হাতে একটা বিয়ারের ক্যান ধরায় দিল......ধীরে সুস্থে ২ টা বিয়ার খাইয়া আবার সাইকেলে......

এবার মোটামুটি আগে আগে চালাচ্ছিলাম.......হটাৎ কইরা প্যাডেল খুইলা পড়লো........সাইকেল থামায় দেখলাম প্যাডেল পুরাই খুলে এসেছে.....করুন চোখে দেখলাম সবাই কি হইছে বইলা আগায় যাইতেছে.....পরে আমাদের গাড়ী যখন আসল মালিক ( মেকানিক ) কি কি যেন খুটা খুটি কইরা ঠিক কইরা দিল........

আবার আমার সাইকেল দৌড়.........আরতি ক্লান্ত হয়ে পড়ায় আবার সাইকেল চালাইতেছে রিনঝিন..........এবার প্রায় লাস্ট ল্যাপের কাছাকাছি...... রিনঝিনের সাইকেল পাংচার........ নারারে দেখি সাইকেল ছাইড়া হাইটা যাইতেছে........কি হইছে জিগাইতেই কইলো ভাই ক্লান্ত তাই সাইকেল রে রেস্ট দিতাছি........... প্রায় যখন আমাদের পোর্টে এসে গেছি জোগেন আমারে ক্রস করতে যেয়ে সাইকেল নিয়ে এবড়ো থেবড়ো রাস্তায়....তাকায় দেখলাম ওর সিট খুইলা পড়তাছে..........যাই হোক এন্ড পয়েন্ট এসে আরেকটা বিয়ার গলায় ঢালতেই একে একে সবাই এসে পরে ওমর ছাড়া.....পরে দেখি কিছু সময় পর হাটতে হাটতে আসতেছে.......ওর সাইকেল জ্যাম হয়ে গেছিল........

পরে ২.৫০ এ রূমে এসে কোনো রকমে লান্চ করেই আগে দুইটা প্যানাডল ( প্যারাসিটামল ) খাইয়া নিছি.....

( গতকাল ছবি গুলি পাইনাই দেখে নেট থেকে ছবি নিয়ে পোষ্ট দিছিলাম....আজকে বিকেলে সাইক্লিং এর ছবি গুলি পাবার পর নতুন করে ছবি আপলোড করলাম )
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩০
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×