এলিকোর কপালে লাত্থি মারি! হন্তদন্ত, শীতের মধ্যে ঘর্মাক্ত, চিন্তিত, উত্তপ্ত বাক্য বর্ষায়মান কলিগের অশ্রাব্য অভব্যতায় কিঞ্চিত বিভ্রান্ত আমি। খিতা হইলোবা?
এক্সিডেন্ট পলিসি কেন করুম আমি? কন আমারে, কেন করুম? এই পলিসি করার পরে আমি রাস্তাঘাটে ঠিকমত হাঁটতে পারুম? সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকুম না?
চিন্তার কথা, বলি। কলিগ বলে, ধুরো মিয়া, বলেন দুশ্চিন্তার কথা, মহা মহা আমবশ্যার কথা! তাছাড়া আমার অনেক শত্রু আছে, ঘরের মধ্যেই শত্রু। বউ যখন ড্রাইভ করে তখন ইচ্ছা কইরা এক্সিডেন্ট কইরা মাইরা ফেলতে পারে ইন্সুরেন্সের টাকার জন্য!
বলেন কি? ভাবী! তাছাড়া গাড়ীর তো ইন্সুরেন্স আছে, সেইটা তো করছেন!
ভাবী হইছে তো কি হইছে, মানুষইতো! বলা যায় না কার কখন কি মতিভ্রম হয়। গাড়ীর ইন্সুরেন্সের কোন বেইল নাই, থাড পার্টি, ঐ টাকা জীবনেও পাওয়া যায় না। কলিগ উত্তেজিত। দূর্ঘটনা-বীমা আতঙ্কে ভীততায়িত। বললাম, তাইলে জীবনবীমা করেন!
কলিগ এবার পারলে আমারেই লাথি মারে। হুংকার ছেড়ে বলে, মিয়া আপনি একটা ভোদাই! আগে মারতে হইলে রাস্তায় নামতে হইতো, এখন তাইলে ঘরে বসেই মারতে চান!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:২৯