somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এইটা আমার খুব প্রিয় একটি গল্প।এই গল্পের লেখকও আমার খুবই প্রিয় অকজন মানুষ।আশা করি আপনাদেরও এই গল্পটা ভালো লাগবে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সপ্ন
ধরমর করে ঘুম থেকে উঠে বসেন জুলিয়ান।সারা শরির ঘামে ভিজে গেছে,গলা শুকিয়ে কাঠ।হাতরে হাতরে মাথার কাছে রাখা টেবিল থেকে পানির গ্লাস টি তুলে ঢকঢক করে এক নিশাসে বুরতা শেস করে দেন।ধকধক করে হ্রিদপিন্ডো শব্দ করছে বুকের ভিতর,অনেক্ষন লাগে নিজেকে শান্ত করতে।কি আশকচয‍ আক্তা সপ্ন দেখেছেন তিনি।
বিছানা থেকে নেমে জানালার কাছে এসে দারান জুলিয়ান,ঝিরঝির করে ব্রিশটি পরছে বাইরে,পথঘাট পানিতে ভিজে চকচকে।লাম্পপোষট এর লম্বা ছায়া পরেছে রাস্তায়।বাইরে আন্ধকারের দিকে তাকিয়ে জুলিয়ান আপন মনে বল্লেন,কি আশচচয‍ সপ্ন।
সপ্ন তা ঘুরেফিরে মাথার মাজে খেলা করে তার,আশকচয‍ আক্তা সপ্ন,অথচ যতক্ষণ সপ্ন টি দেখেছিলেন,ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেন নি তিনি সপ্ন দেখেছেন তিনি।মনে হচ্চিল সত্যি বুঝি সবকিছু ঘটে যাচ্চে তার জিবনে।জানালার পাশে দারিয়ে জুলিয়ান এর মনে হল,এমন কি হতে পারে যে তিনি এখনো সপ্ন দেখছেন?এই গভির রাতে জানালার সামনে দারিয়ে থাকা,বাইরে বৃষ্টি-ভেজা চকচকে পথ আর লাম্পপোষ্ট এর ছায়া---সবই আসলে এক্তি সপ্ন?তার মনে হয়েছে যে ঘুম ভেঙ্গে গেছে,আসলে ভাঙ্গে নি?কী নিশ্চয়তা আছে যে তিনি সত্যি জেগে আছেন?
জুলিয়ান ঘরের ভিতর তাকালেন,না,এটা সপ্ন নয়।ঐ ত আবছা অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে বিছানায় ক্লান্ত ভঙ্গিতে ঘুমিয়ে আছে তার স্ত্রী।
সস্তির নিশাশ ফেলে জুলিয়ান আবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকান,আর তখুনি হঠাত একটা আশ্ছরয জিনিস মনে হল।এমন কি হতে পারে,যে-জীবনটাকে তিনি তার জীবন বলে জেনে এসেছেন,সেটা আসলে কোন- একজনের সপ্ন?এই ঘর,চেয়ার,টেবিল,বইয়ের সেলফ,জানালা,জানালার পাশে ঝিরঝির বৃষ্টি সবই এই সপ্নের দৃশ্য?তার মধুর শৈশব,বণাড যৌবন,হাসি-কান্না মিলিয়ে চমৎকার জীবনটা আসলে কারো সপ্নের কয়েকটা মুহূত?চারপাশের পৃথীবি সেই সপ্নের ছায়া?এমন কি হতে পারে?
জ়োর করে চিন্তাটা সরিয়ে রাকতে চান জুলিয়ান,কিন্তু পারেন না।ঘুরেফিরে তার বার-বার মনে হতে থাকে যে,তিনি হয়ত সপ্ন দেখছেন।শুধু যে সপ্ন তাই নয়,হয়ত অন্য কারো সপ্ন।হয়তো জুলিয়ান বলে কেউ নেই,তার পুরো জীবনটা আসলে কন একজনের সপ্নের কয়েকটি মুহূত।
ভাবতে ভাবতে জুলিয়ান উত্তেজিত হয়ে উঠেন,তার হৃদস্পন্দন বেরে যায়।নিজেকে প্রতারিত মনে হয় তার,ক্রোধ জমে উঠতে থাকে ধীরে ধীরে।সপ্নটা ভেঙ্গে জেগে ওঠার একটা আদম্য ইচ্ছা হতে থেকে আস্তে আস্তে।কিন্তু সপ্নটা ভাঙবেন কেমন করে?
জুলিয়ানের মনে পরে,একটু আগে তার সপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছিল যন্ত্রনায়,দেখেছিলেন,অসংখ্য বুনো কুকুর তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে,প্রচন্ড যন্ত্রনায় আতনাদ করে উঠেছেন তিনি,আর সাথে সাথে ঘুম ভেঙ্গে গেছে তাঁর।তাহলে কী যন্ত্রনা দিয়ে সপ্ন ভেঙ্গে দেয়া যায়।যন্ত্রনা যখন সহ্যের বাইরে চলে যায়,তখন সপ্ন আর সপ্ন থাকতে পারে না,সপ্ন তখন ভেঙ্গে যায়।জুলিয়ানের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওঠে,কোনভাবে আমানুসিক যন্ত্রনা দিতে পারেন না নিজেকে?
চুপি চুপি জুলিয়ান নিচে নেমে আসেন।সিঁড়ির নিচে ঘরের ব্যবহারয যন্ত্রপাতি রাখা আছে।হাতড়ে হাতড়ে হ্যান্ড-ড্রিলটা বের করে দেয়াল ফুটো করার আট নম্বর ড্রিল বিটটা লাগিয়ে নেন সাবধানে।পা টিপে টিপে বাথরুমে আয়নার সামনে আসে দাড়াঁন তিনি,উত্তেজনায় তখন তার হাত কাঁপছে।সুইচ টিপে দিতেই ড্রিল বিটটা ঘুরতে শুরু করে,কংক্রীট ফুটো করা যায় এতা দিয়ে।কপালের উপর চেপে ধরলে মাথার খুলি ফুটো হয়ে যাবে আনায়েসে।
জুলিয়ান কাঁপা হাতে হ্যান্ড-ড্রিলটা তুলে কপালের উপর চেপে ধরেন,প্রচন্ড আরতনাদ করে ওঠেন পরমুহূত......
কিলবিলে প্রাণীটার ঘুম ভেঙ্গে যায় দুঃসপ্ন দেখে।কী বিদ্ঘুটে একটা সপ্ন!প্রাণীটা অবাক না হয়ে পারে না।পিটপিট করে তাকায় তার কয়েকটি চোখ মেলে,সূয দুটি আনেক উপরে উঠে গেছে।প্রাণীটি তার আসংখ্য পা ফেলে হাঁটতে শুরু করে লাল রঙের পাথরের উপর দিয়ে।
আরেকটি সুদিরঘ দিন শুরু হল তার।


সয়েন্স ফিকশান সমগ্র
মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×