somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রথম ভারত ভ্রমন পর্ব - ৬

২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ট্রেন মুম্বাই পৌছলো সকাল ১০ টায়। প্রথম কাজ হোটেল খুজে হোটেলে উঠা।
ভারতের প্রায় সবগুলো রেল স্টশনেই মালামাল গচ্ছিত রাখার জন্য একটি রুমের ব্যবস্থা আছে যাকে cloak room বলা হয় । যেখানে শুধু মাত্র রেল যাত্রীদের মালামাল গচ্ছিত রাখা যায়। সেখানে বিশাল লাইন দিয়ে যখান মালামাল রেখে স্টেশন থেকে বেরুচ্ছি তখন প্রায় ১১টা।

স্টেশনটির নাম ভিক্টোরিয়া টার্মিনাল লোকে যাকে সংক্ষেপে ভি টি বলে । স্টেশনটি সম্ভবত ব্রিটিশ আমলে তৈরী। দেখলেই বুঝা যায় যে এটি একটি ইংরেজ স্থাপত্য। বিশাল একটি স্টেশন যেখানে প্রায় ২২টি প্লাটফর্ম আছে।
বর্তমানে স্টেশনটির নাম ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল।

প্রথমেই স্টেশনের সামনে হোটেল খুজলাম । একটি মাত্র ভালো হোটেল পেলাম যার ভাড়া ১০০০ রুপী। বাজেট সল্পতার কারনে এত ভাড়া দিয়ে থাকা সম্ভব ছিল না। অন্যন্য যেসব হোটেলের ভাড়া ৪০০ - ৫০০ রুপীর মধ্যে সেগুলো এত নিম্ন মানের যে ঐসব জাগায় থাকা সম্ভব নয়। অনেকক্ষন হেটে হেটে হোটেল খুজেও যখন হোটেল পেলাম না তখন আমার মনে হলো যে কোন এক ভ্রমন বিষয়ক বইতে পড়েছিলাম যে বম্বের দাদাড় নামক এলাকায় সস্তায় হোটেল পাওয়া যায়। জনগনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে জনালাম যে লোকাল ট্রেনে করে দাদার যাওয়া যায়। সেখানেও গেলাম কিন্তুু একই অবস্থা। যদিওবা কম ভাড়ার হোটেল পাই তা পছন্দ হয় না। কয়েকদিনের ভ্রমনের ধকালের পর একটু গোছল করে ফ্রেস হবার জন্য তখন ত্রহী অবস্থা।

আমার সাধারনত চিপা চাপা ও অপরিস্কার হোটেল দেখলেই মনে হয় যে সেটি নারী ব্যবসার আড্ডা। শুনেছি বম্বেতে এসব একটু বেশীই হয়। তাই হোটেলটি সেফ কিনা তাও ভাবতে হচ্ছিল।

সবদিক ভেবে যখন কোন হোটেল পাচ্ছি না তখন ভাবলাম ১০০০ রুপী ভাড়ার সেই হোটেল যেটি প্রথমে দেখেছি সেটিতেই উঠব। আবার লোকাল ট্রনে উঠে ভি টি স্টেশনে গেলাম। স্টেশন থেকে বেড়িয়েই একজন দালালের খপ্পরে পড়লাম । দালাল জিগ্গেস করল হোটেল লাগবে কিনা, কম ভড়ায় খুব ভালো হোটেলের খোজ তার কাছে আছে। আলাপ করে জানলাম যে ৫০০ রুপী ভারায় ভালো হোটেল আছে তবে ট্যাক্সীতে যেতে ২০ রুপী লাগবে। দালালদের সাথে যাওয়া একটু রিস্ক জেনেও ভাবলাম দেখি না কি হয়। আমরা দুজনেই ব্যাচেলর এবং ইয়াং । অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সে একটি হোটেলে নিয়ে গেল । হোটেল টি ভালোই ছিল ভাড়া মাত্র ৫০০ রুপী। বুঝলাম দালাল হলেই যে খারাপ হবে তা নয়।
হোটেলে উঠলাম কিন্তূ তখন প্রায় সন্ধা।

বম্বেতে আমাদের থাকার প্লান ছিল দু দিন এক রাত। একটি দিন হোটেল খুজতে খুজতেই গেল। দুজনেই তখন কাহিল । ফ্রেস হয়ে খেতে গেলাম নীচের হোটেলে। খাবার খুবই ভালো ছিল । রুটি মাংশ সবজী ইত্যাদি। ক্ষিদে বেশী ছিল বলে ভালো লেগেছে এমনও হতে পারে।

খাবারের পর সাইবার ক্যাফে খুজতে বেরুলাম । প্রায় ৩০ মিনিট খোজা খুজির পর পেলামও একটি । প্রয়োজনীয় কিছু মেইল সেরে হোটেলে ফিরে পরবর্তী দিন কি করা যায় ভাবতে বসলাম। হোটেলের বয় জানালো যে দিনব্যপী শহর দেখার জন্য গাইড সহ টুরিস্ট বাস আছে যা সকাল ৭ টায় আসে । বললে সে সেখানে দুটি সিট রিজার্ভের ব্যবস্থা করতে পারবে। যদিও আমার সবসময় নিজে নিজে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে তবুও সময় সল্পতার দিক বিবেচনা করে রাজী হলাম ।

অতএব আগামী দিন থাকছে বম্বে শহর দেখার প্রোগাম ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×