এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় ধর্ম না, বরং কিছু অবাস্তব দাবীর স্বরূপ বিশ্লেষণ । বিশ্বে ২৪ ঘন্টায় দিন-রাত ঘুরে ফিরে আসে, প্রতিটি মূহুর্তেই কখনও সূর্য উঠছে, কখনও ডুবছে । আর সারা বিশ্ব যোগাযোগের সুবিধার জন্য ২৬টা টাইম জোনে ভাগ করা হয়েছে ।
ফলে এক স্হানে যখন সূর্য ডুবছে ততক্ষনে অন্য স্হানে দিন হয়ে গেছে । আর তাদের সূর্য ডুবে চাদ উঠার খবর শুনে রোজা রাখতে হলে অন্য স্হানে ততক্ষনে তারাবী-সেহরীর সময় শেষ ! রোজাটা রাখবে কি করে ??
টাইম জোনের ম্যাপ দেখে নিন । ভৌগলিক জ্ঞান না থাকলে অনেক কিছুই দাবী করা যায়, যার প্রয়োগ বাস্তবে কখনই সম্ভব না।
নিউজীল্যান্ড টাইম জোন ১১+ এ, ফিজি ১২+ এ, ফিজির লোক যদি চাদ ওঠার খবরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে, বৃটেনে চাদ উঠতে উঠতে ওদের সকাল হয়ে যাবে । তারা রোজাটা রাখবে কি করে ? তারাবী পড়বে কিভাবে ? নিউইয়র্কে সন্ধা হবে আরো প্রায় চার ঘন্টা পর । সেখানে চাদ দেখার খবরের জন্যও অপেক্ষা করবে ? কিভাবে ?
বিশ্বের টাইম জোন বা দিন রাত্রির হিসাব না জানা কিছু লোক আবার সৌদী আরবের সাথে মিলিয়ে সব হিসাব করতে বলে। সেখানেও তো একই সমস্যা ! কোন ভাবেই সমস্যা কমে না বরং বাড়ে ।
সৌদী আরবের টাইম জোন +৩, ফিজির চেয়ে ৯ ঘন্টা কম । ফিজির লোক যদি শা'বানের ২৯ তারিখ সন্ধায় ( ৬টা-৭টার দিকে ) চাদ দেখতে না পেয়ে অপেক্ষা করতে থাকে, তবে সৌদীর চাদ দেখার খবর পেতে আরো ৯ ঘন্টা লাগবে। মানে দাড়াচ্ছে রাত ৩টা- ৪টা বাজবে চাদের খব পেতে ! সেসময় কি তারাবী পড়ার সময় থাকবে ? লোকজন সেহরী খেতে পারবে ? আর মানুষের পক্ষে কি সারা রাত ধরে জেগে থেকে চাদের খবরের জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব ?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১