somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরমী কবি হাসনরাজার কদর কই ?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উপমহাদেশের বিখ্যাত মরমী সাধক হাসন রাজা। তাঁর সৃষ্ঠি মরমী গান আজো দেশের সংগীত পাগল মানুষকে আলোড়িত করে। হাসন রাজার গান গেয়ে অনেকে হয়েছেন বিখ্যাতও। বাংলা গানের মরমী অধ্যায় জুড়ে এ অমর গুণী ব্যাক্তিটির অবস্থান থাকলেও রাষ্ঠ্রীয়ভাবে তাঁকে কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয়নি আজো। বছর আসে বছর যায় কিন্তু তাঁর জন্ম ও মৃত্যু খবর রাখেনা কেউই।
মরমী কবি হাছনরাজার জন্ম সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া গ্রামে ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বরে। তাঁর পিতার নাম দেওয়ান আলীরাজা চৌধুরী এবং মাতার নাম মোসাম্মত হুরমত বিবি। জমিদার পরিবারে জন্ম হওয়ায় পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১৫ বছর বয়সে হাছনরাজা ১৮৬৯ সালে জমিদারিত্ব গ্রহন করেন। প্রায় ৫ লাখ ২৭ হাজার বিঘা জমির অধিকারী ছিলেন তিনি। তাই প্রথম জীবনে হাছনরাজা ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে উঠেন। গানের আসর জমানো, গায়কী দল নিয়ে নৌকা ভ্রমন, নৌকাবাইচ, ঘোরদৌড়, পাখি শিকার ছিল তাঁর অন্যতম শখ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ৪০ দিনের ব্যবধানে তিনি পিতা ও বড় ভাইকে হারান এবং সেসময় আসাম ও সিলেট জুড়ে ভুমিকম্পে ব্যাপক য়তি হয়। আর এসব কারনে হাছনরাজা ভোগ বিলাস ছেড়ে আধ্যাতিœক জগতে প্রবেশ করেন। শুরু হয় মরমী সাধনা। তাঁর রচিত গান জনপ্রিয়তা পায় চারদিক দিয়ে।
ব্যক্তিগত জীবনে হাছনরাজা ৫টি বিয়ে করেন। তিনি ৪ পুত্র ও ৪ কন্যার জনক ছিলেন। মরমী এ সাধক ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
বর্তমানে হাছনরাজার বাড়িতে তাঁর সময়কালের তেমন কোনো স্থাপত্য নিদর্শন না থাকলেও আছে তাঁর ব্যবহার্য্য কিছু আসবাবপত্র। গেল বছর হাছনরাজার প্রপৌত্র দেওয়ান সামারিন এ বাড়ির দুটি কে ‘হাছনরাজা মিউজিয়াম’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কিছু দর্শনার্থী আসেন এ বাড়িতে। আর হাছনরাজা মিউজিয়ামে রাখা হাছনরাজার ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখে অভিভুত হন পর্যটকরা। পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত রাষ্ঠ্রীয় কোনো উদ্যোগ চোখে না দেখে েক্ষাভও প্রকাশ করেন তারা।
বছরের পর বছর ধরে হাছনরাজার বাড়িতে পর্যটকরা আসলেও কোনো কিছু না দেখে বিফল মন নিয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের। সরকার স¤প্রতি হাছনরাজার বাড়িতে একটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। আর এটি প্রতিষ্ঠা হলে দর্শনার্থীরা সামান্য সময়ের জন্য হলেও ডুব দিতে পারবেন মরমী এ কবির স্মৃতি গাঁথায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:২৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

বামিঙ্গিয়ান উপাখ্যান

লিখেছেন যুবায়ের আলিফ, ১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০




মাঝ রাতে কড়া একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভাঙলো জ্যাকের৷ ঘুমের ঘোরে দেখতে পেল কেউ চোখ ধাঁধানো পোষাক পরে ডাইনিংয়ে একটা চামচ রেখে দরজা গলিয়ে চলে যাচ্ছে৷ গা ও পোষাকের উজ্জ্বলতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×