somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সফটওয়্যার মার্কেটে স্থানীয় ডেভেলপারদের ভূমিকা (আইটি সেক্টর ও বাংলাদেশ)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুদিন আগে দেশীয় সফটওয়্যার মার্কেটে Consumer Behave নিয়ে বলছিলাম। বলছিলাম, অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যক্তাদের দেশের পরিবর্তে বিদেশি সফটওয়্যার এর প্রতি আগ্রহ।

এটা কিন্তু মুদ্রার এক পিঠ। আরেক পিঠে আমরা যারা সার্ভিস প্রদান করছি তাদের কিছু গাফিলতি ও আছে।

প্রায় দেখা যায় কোন জায়গায় মার্কেটিং এ গেলে তারা আগে কোন এক সফটওয়্যার কোম্পানীর উপর খুবই বিরক্ত ভাব প্রকাশ করে, আর রাগটা ক্ষেত্রবিশেষ গিয়ে পড়ে আমাদের উপর।--"না! না! আপনারা ও তাদের মতন করবেন।"

তাদের অভিযোগগুলা থাকে অনেকটা একই রকমঃ

১. আরে আগের কোম্পানি টাকা নিয়েছে কিন্তু কাজ কিছুই করেনি।
২. সফটওয়্যার দিয়েছে, কিন্তু এরপর সফটওয়্যার এর সমস্যা হওয়ার পর যখন ডাক দেই আর আসেনা, খুজে পাওয়া যায় না, ফোন ধরেনা
ইত্যকার।

অভিযোগগুলা একেবারে মিথ্যে না। তবে যারা মার্কেট এ নিজেদের Reputation নিয়ে সচেতন এরকম কোন কোম্পানির ব্যাপারে এ ধরনের অভিযোগ পায়নি। তাহলে অভিযোগ কাদের বিরুদ্ধে।

দুঃখজনক হলেও সত্য এই অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে করা হয় দেখা গেছে তারা কোন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ও না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ কোন ব্যক্তির কাছে থেকে সফটওয়্যার তৈরি করে নিয়েছে।

একটা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে Requirement Collection একটা অন্যতম ব্যাপার। এই Requirement Collection যত ভাল ভাবে করতে পারব Client এর প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার ঠিক সেই ভাবে তৈরি করে দেয়া সম্ভব। কিন্তু বেশ কিছু কোম্পানিতে দেখেছি Requirement Collection এর জন্য Dedicated কেউ নেই। যে ব্যক্তি প্রোগ্রামার সেই আবার Requirement Collection এর জন্য দৌড়াচ্ছে। দুইটা আলাদা কাজ এক ব্যক্তিকে দিয়ে করানোর কারণে কোন কাজেই সে ঠিকমত মনযোগ দিতে পারছে না।

একই ব্যাপার প্রযোজ্য পরবর্তী সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে। অনেককেই দেখা গেছে এরকম ভাবতে, "আসল সফটওয়্যারের টাকা ত পেয়ে গেছি। এখন সার্ভিস না দিলে সার্ভিস চার্জ টা ই না হয় পেলাম না।"

এছাড়া অনেককেই দেখা যায় টাকা বাচানোর মানসিকতা নিয়ে শিক্ষানবিশ কারো থেকে নামমাত্র মূল্যে সফটওয়্যার তৈরি করে নিতে। কিন্তু পরবর্তীতে সফটওয়্যার ডেভেলপার ব্যক্তিটি কোন চাকরি তে যোগদানের ফলে সার্ভিস প্রদানের জন্য সময় দিতে পারছে না।

আমাদের সার্ভিস টীম এর এমনো দিন গেছে রাত ২ টার সময় ফোন Receive করতে হয়েছে Party'র দিক থেকে। চাইলেই এড়ানো যেত, না এড়িয়ে সেই রাতেই যতটুকু সার্ভিস দেয়া যায় দিয়েছি। ঘটনাটা ঘটেছিলঃ এক শোরুমে, ২০১১ এর রমজানের ঈদের আগে। ঐ ব্যক্তির কাছে ভরা ঈদের মৌসুমে রাত ২টা ও কোন ব্যাপার না, আর আমরাও তার এই প্রয়োজনটা বুঝেছিলাম।

সার্ভিস এর ক্ষেত্রে ডেভেলপার দের দিক থেকেও একটা অভিযোগ শোনা যায়ঃ "আরে উনি সার্ভিস চার্জ দিতে চায় না কিন্তু খালি এইটা করেন-ঐটা করেন বইলা জ্বালায়!"

এই সমস্যা হত না যদি Work Order এ সার্ভিস এবং আপগ্রেডেশন এর শর্তাবলী পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকত।

পরিশেষে বলি, যে কোন কাজ করার আগে কাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন তার ব্যাপারে আরেকটু খোজ খবর নিয়ে নেন। খরচ না বরং তার সামর্থ্য টা আগে দেখুন। কারণ যাকে দিয়ে আপনার কাজ হবে না তাকে কাজ দেয়ার মানে হল, যে টাকা টা প্রাথমিক চুক্তির সময় দিবেন তার পুরাটাই পানিতে গেল।

আর সার্ভিস চার্জ, আপগ্রেডেশন শর্তাবলী , সফটওয়্যার প্রদানের মেয়াদ কাল এবং ট্রেনিং পিরিয়ড সম্পর্কে আগে ঠিক করে নিন।

আমার হিসেবে, আগে তিতা পরে মিঠা ভাল। তাই ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×