somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন সরকারের সামনে অনেকগুলো চ্যালেন্জ

২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামীললীগের নেতৃত্বাধীন মহহাজোটের নিরন্কুশ মহাবিজয়ের পর শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভা গঠনে চমক সৃষ্টি করেছেন।যা মন্ত্রীসভা গঠনে পূর্বমহুর্ত পর্যন্ত কারো ধারনার মধ্যে ছিলনা ।কারা কারা মন্ত্রীসভায় স্হান পেতে যাচ্ছেন তা শেখ হাসিনা একান্ততই নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছেন।সংসদীয় গণতন্ত্রে সাংবিধানিকভাবেই মন্ত্রীসভা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা রয়েছে,কারো সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই ঊনি সেটা করতে পারেন। এবারের নির্বাচনেও শেখ হাসিনা তরুনদের মনোয়ন দিয়েছেন এবং মন্ত্রীসভা গঠনেও তরুনদের সুযোগ দিয়েছেন যা নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়।বাদ পড়েছেন অনেক ডাক সাইটের নেতা, যাদের রয়েছে বর্ণাঢ্যময় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিঙ্ঞতা । শেখ হাসিনা এসব মেধা কাজে লাগালে বোধ হয় ভালো হতো। যদিও এ মন্ত্রীসভার রদ বদলের সম্ভাবনাও রয়েছে।পরবর্তীতে এসব নেতারা হয়তো মন্ত্রীসভায় জায়গা পাবেন। শুরু থেকেই নতুন পুরাতনের সম্মিলন হওয়াটা ভালো ছিল কেননা প্রশাসনিক ব্যবস্হায় আমলা নির্ভরশীলতা সেই বৃটিশ আমল থেকে। আমলারা দুরন্ধর হওয়ায় নতুন মন্ত্র্রীদেরকে সামলাতে হিমশিম খেতে হবে। একেবারে আনকোরা মন্ত্রীদেরকে প্রশাসনিক দক্ষতা না থাকায় আমলাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে, সেক্ষেত্রে দূর্নীতি স্বজনপ্রীতির মাত্রা বেড়ে যাবে বহুলাংশে। মন্ত্রী যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যদি আমলাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন তবে সে মন্ত্রনালয় যন্ত্রনালয়ে পরিণত হবে। মন্ত্রীকে হতে হবে তড়িতকর্মা মন্ত্রী তার সিদ্ধান্ত আমলাদের দিয়ে বাস্তবায়ন করাবেন এর ব্যতয় ঘটলে মন্ত্রীর রুপ ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা।অভিঙ্গ বর্ষীয়ান নেতা মন্ত্রী হলে আমলাদের খবরদারি আমলারাই কমিয়ে নেন, মন্ত্রনালয়ে কাজের গতিও বেড়ে যায় বহুগুনে। তবে চৌকষ ট্যালেন্টেড ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে। সেটা একান্তই তার নিজস্ব গুন,সবার ক্ষেত্রে এমনটি নাও হতে পারে। শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভার সবচেয়ে বড় চমক হলো স্বরাষ্ট্র,পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দুজন নারীকে বসানো, যা সত্যিই দারুন চমক। নারীদের দায়িত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা হয়তো যথাপযুক্ত সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অভিঙ্গ কাউকে দিলেই ভালো করতেন ।পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে দক্ষ ও বিচক্ষন হতে হয় ফরেন পলিসি ডিপ্লোমেসি সম্পর্কে গভীর ঙ্ঞান না থাকলে বিদেশে দেশের ভাব মূর্তি উজ্জল করা অনেকাংশেই অসস্তিকর হয়ে পড়ে। বিদেশ মন্ত্রীকে দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক জায়গায় অনেক ফোরামে দৌড়াতে হয়, বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির বাজার সৃষ্টিতে মন্ত্রীকে কুটনীতিক তত্পরতা বৃদ্ধিসহ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। অভিঙ্গ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কাজটি যতোটা সহজের অনভিঙ্গ ব্যক্তির ক্ষেত্রে তেমনটি না ও হতে পারে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের জন শক্তি রপ্তানিতে স্হবিরতা দেখা দিয়েছে। মধ্য প্র্রাচ্য থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শ্র্রমিকরা নির্যাতনে স্বিকার হয়েছে, বাংলাদেশি দুতাবাসগুলোর ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল । পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এর দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেনা ।এ সরকারের জন্য ফাল হয়ে দাড়াঁবে আওয়ামিলীগের গৃহ বিবাদ।দলের ভিতরে এবং বাহিরের নানামুখি ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা কিভাবে মোকাবেলা করবেন সেটাই দেখার বিষয়। এ মন্ত্রীসভার ব্যর্থতার কারনে ডাক সাইটের নেতারা যদি মন্ত্রীসভায় ফিরে আসেন, তাহলে তারা অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে যাবেন, তাদের লাগাম টেনে ধরা কষ্টকর হবে। হয়তোবা রাজনীতি আবার পূর্বাবস্হায় স্বরুপে ফিরে যাবে।যার ফফল হবে ভয়ানক গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়বে। মানুষ গণতন্ত্রের উপর থেকে একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে পূণরায় গণতন্ত্রে ফিরা বেশ কষ্টদায়ক হবে।আওয়ামিলীগের সহযোগি সংগঠনগুলো যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে এ বিষয়টাতে শেখ হাসিনার সরকারকে ভালোই বেকায়দায় ফেলবে। সর্বপরি এ সরকার তার দিনগুলো সুন্দরমতো পার করুক এবং জনগনের আশা আকাঙ্কার সফল বাস্তবায়ন হোক এ প্রতাশায় ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×