ভুইলা গেছি ও একটা ফাও গল্প
ক্যাডেট কলেজে পড়ি। মাসে একবার প্যারেন্টস ডে হতো। এক শুক্রবার সকালে অভিভাবকরা আসতো কলেজে, খাবার আনতো, দেখা করতাম, খেতাম। এক বেলা বাবা-মার সঙ্গে থাকার আশায় সারা মাস অপোয় থাকতাম। একবার ঢাকা থেকে আমার বাবা গেলেন একা, আমাকে দেখতে। নিয়ম ছিল প্যারেন্টসরা এসে একটা কাগজে নাম লিখে দেবেন, তারপর আমাদের কাছে খবর যাবে, আর আমরা যাবো নির্দিষ্ট স্থানে। হাউজের সামনে বাস্কেটবল কাম প্যারেড গ্রাউন্ডে সামিয়ানা খাটিয়ে প্যারেন্টসদের বসার ব্যবস্থা থাকতো।
আমি জানি বাবা আসবেন, অপোয় আছি। অথচ খবর আসে না। পরে সাগর এসে বললো যে আমার বাবা নাকি বসে আছেন অনেন ধরে। আমার বাবা কি করেছে জানেন? স্লিপে সাজ্জাদ হোসেন লিখে দিয়েছিলেন। এই নামে তো কেউ আর নাই। আসলে আমার ছোট ভাইয়ের নাম সাজ্জাদ হোসেন।
২.
মেয়েকে ভর্তি করাবো। ফর্ম নিয়ে আসছি। এখন পূরণ করে ভর্তি করার পালা। সুন্দর করে নাম লিখে নিয়ে গেছি গতকাল শনিবার। দেখি স্কুল বন্ধ। কাল রাতে বউকে বললাম আমার মেয়ের ভাল নামতো মানিতা তাই না? আমার বউ অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো মানিতা হবে কেনো? মানিতা তো বড় বোনের মেয়ের নাম। আমার মেয়ের নাম তানিশা। ফর্মে নাম কেটে আবার লিখলাম তানিশা। বউ কইলো কবে জানি বউরেও ভুইলা যাইবা। (চেষ্টা করতে দোষ কি?)
৩.
তারচেয়েও মারাত্বক গল্প আছে বায়রনের। রেজাউল করিম বায়রন, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক। একদিন অফিস থেকে সে ফোন করছে তার বউয়ের অফিসে। ফোন ধরতেই অপারেটরকে বায়রন বললো-আমার বউকে দেন তো।
অপারেটর-আপনার বউ কে? নাম কি?
এইবার বায়রন পড়লো মুশকিলে। বউয়ের নাম সে আসলে ভুলে গেছে, ঐ মুহূর্তে মনে করতে পারছিলো না। বায়রন বললো একটা দাঁড়ান। তারপর বায়রন মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে ফোনবুকে যেয়ে একটার পর একটা নাম ও নাম্বার দেখা শুরু করলো। একটা নাম দেখে মনে পড়লো এইটাই তার বউ। তারপর অপারেটররে বলতে পারলো তার বউয়ের নাম।
৪.
এইটা কি ভুলো মনের গল্প বলা যায়? একুশের রাত নামে একটা টকশো হয় রাত ১২টায় একুশে টেলিভিশনে। আমি আছি, সাথে আরও দুইজন। আর একজন সুন্দরী উপস্থাপিকা। আমি তার পাশে। আমার বা পাশে উপস্থাপিকা, আর ডান দিকে ক্যামেরাম্যান, একটু উচুতে বসা। লাইভ অনুষ্ঠান। চলছে। হঠাৎ ডান দিকে তাকাইয়া দেখি ক্যামেরাম্যান মনযোগ দেখে আর হাসে। তাকাইয়া দেখলাম আমার বাম দিকে শাড়ি পড়া উপস্থাপিকার কি কি যেন দেখা যায় আর ক্যামেরাম্যান বেটা সেইটাই দেখে আর হাসে। আমি তো ভদ্র ছেলে , তাই আমি হাসি নাই। তয় চোখের কথা এখন আর মনে নাই।
মাঝখানে ব্রেক, প্যানেলে বসা ছিল মোজাম্মেল বাবু ভাই। সেও খেয়াল করছে। বিরতির সময় আইসা বাবু ভাই কইলো ..........শাড়ি ঠিক করো। উপস্থাপিকা পায়ের কাছে শাড়ি ঠিক করলো। আবার কইলো বাবু ভাই, শাড়ি ঠিক করো। সে আবারও পায়ের কাছে ঠিক করে। তিনবারের বার বাবু ভাই আর না পাইরা নিজেই হাত দিয়া শাড়ি ঠিক কইরা দিলো।
অনুষ্ঠান শেষে ফোন দিলাম ডেইলি স্টারের ইনাম ভাইরে। কাহিনী শুইনাই সে ফোন দিল বাবু ভাইরে। বাবু ভাই আমারে ফোন দিয়া কইলো, ‘মাসুম, তুমি দেখলা আর আমি দেখলাম। কিন্তু পুরা জাতীর দেখার দরকার কী?’
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন