somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গতির রাজ্যে রেলওয়ে শ্লথিময়

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারা পৃথিবীতে গন যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম রেলওয়ে । সস্তায় একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার মাধ্যম হিসাবে বিশ্বব্যাপি খুবই জনপ্রিয় এই একটি যানবাহন।

উন্নত বিশ্বে এই বাহনটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিন করে চলেছে গবেষনা। রকেট ট্রেন বা ইলেক্ট্রিক ট্রেন এর গতি প্রতিদিন বাড়ীয়ে চলেছে। সেই সব দেশে প্রতি ঘন্টায় যখন ট্রেন চলে ৫০০ কিঃমিঃ এর অধিক। হয়ত এর গতি ভবিষ্যতে আরো কয়েকগুন বাড়াবে। আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ন দেশে রেলওয়েকে একটি গন পরিবহন এর ব্যবস্থায় পরিচালনা করা গুরুত্ব সহকারে অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে রেলওয়ের সংস্কার উন্নত প্রযুক্তির দ্রুতগতির ইঞ্জিন সংগ্রহ করে এটিকে যদি যুগ-উপোযোগী করা যায়। তাহলে পন্য পরিবহন সহ যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশে একটি টেকসই যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। তার সূদুর প্রসারী প্রকল্প সফলতার সহিত বাংলাদেশের অর্থনিতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

আমার মতে ধনীক শ্রেনীর জন্য দামী মোটাচাক্কা ওয়ালা গাড়ীর সুবিধার্থে রাজপথের জন্য বাজেটে বড় অনুদান না রেখে। আগামী পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনায় রেলওয়েকে সম্প্রসারন সহ অব-কাঠামোগত উন্নয়ন সহ মানুষের কাছে সস্তায় যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করে একে একটি নিরাপদ পরিবহন ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

অধিকতর পন্য পরিবহনের সুবিধার্থে পন্য মূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে হলে। রেলওয়েকে দ্রুততার সহিত পন্য পরিবহন সুবিধা আরো সহজ ও গনমুখি করতে হবে। যদি এই যোগাযোগ মাধ্যমটিকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছানো না যায়। তাহলে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলবে। কারন মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীরা শুধু যানবাহনের বাড়তী ভাড়ার দোহাই দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ীয়ে চলছে। এই খাতে সরকারের কোন ভূমিকা নাই বললেই চলে। অনেক কিছু করা সম্ভব। সরকারের নিজস্ব যে জনবল আছে। যা আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় তাদের ভোরন পোষন চলে। জাতীর প্রয়োজনে যদি এই জনবলকে ভিন্নভাবে একটি লাভ জনক
কাজে লাগানো যায়। আমাদের সেনাবাহিনী যদি জাতীসংঘের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষি বাহিনীতে শান্তি রক্ষার প্রয়োজনে সম্মানের সহিত দায়িত্ব পালন করতে পারে । তাহলে আমাদের রেলওয়েকে কেন ব্যাবসা করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় থোক বরাদ্দ দিয়ে পন্য সামগ্রী এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে তাদের নিজস্ব লোকবল দিয়ে অনেকটা টিসিবির মতো পন্য মজুদ এবং বিতরনের দায়িত্‌ দেয়া হয় না। তাহলে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে সরকারের একটি অংশের সাথে মজুদদারী ব্যাবসায়ীদেরকে নিয়ন্ত্রন করা যেত। বি ডি আর এর নায্য মূল্যের দোকান গুলো লাভজনক হতো। যদি রেলওয়েকে তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যেত।
এখানে সরকার একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহন করতে পারে। যেমন পন্য বিতরন প্রকল্প।

থানা কৃষি অফিস বিক্রেতা + রেলওয়ে পরিবহন কমিশন এর ভিত্তিতে + থানা কৃষি অফিস ক্রেতা সার্বিক তত্বাবধানে বি ডি আর, সব ক্ষেত্রে মুনাফা কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে । তবে মূল্য মানুষের ক্রয় সিমার মধ্যে রাখার জন্য মুনাফা সরকারের লোকবল কম করবে বলেই বিশ্বাস রাখতে চাই। কারন বিশ্বাসে শান্তি মিলে। সব থানা কৃষি অফিস এর মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইট থাকতে পারে । যা কৃষকের পন্যের নায্যমূল্য কৃষি অফিসগুলো প্রান্তিক কৃষক সমিতির মাধ্যমে নির্ধারন করে, তা দিতে বাধ্য থাকবে। পন্য পরিবহন ব্যাবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। দালাল ও ফারিয়াদের দৌরাত্ব নিয়ন্ত্রন করতে হবে। প্রতিটি কৃষি অফিস একটি লাভ জনক খাত নির্ধারন করে এতে বিনিয়োগ করতে পারে। বীজ, সার, কীটনাশক, প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষি অফিস প্রয়োজনে সরাসরি আমদানী করার ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে।


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৩৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×