somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবছরই বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হোক

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাগ্যিস, বঙ্গবন্ধু তাঁদেরকে সম্মান দেখিয়ে "বীরাঙ্গনা" উপাধিতে আখ্যায়িত করেছিলেন। এটুকু ছাড়া তাঁদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি। ঘূণে খাওয়া প্রচলিত সমাজের রক্ষণশীল জনগণ তাঁদেরকে অকুন্ঠ চিত্তে গ্রহণ করে নেয় নি। অথচ তাঁদের তো কোন অপরাধ ছিল না। তাঁরা ছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নির্মম নির্যাতনের শিকার। তাঁরা ধর্ষিত হয়েছিলেন দেশের জন্য, বাঙালির মু্ক্তির জন্য; তাঁরা তাঁদের সর্বস্ব বিসর্জন দিয়েছিলেন, চেয়েছিলেন গণমানুষের মুক্তি; কিন্তু এর বিনিময়ে তাঁরা সমাজের অবহেলা, গঞ্জনা আর বাজে কথা ছাড়া কিছুই পাননি। নির্যাতিত-ধর্ষিত হয়েছিলেন দেশের জন্য- এটাই তাঁদের অপরাধ!

ভাবতেও লজ্জা লাগে যে স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরেও আমরা তাঁদেরকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে পারিনি। তাঁরা লজ্জায় তাঁদের আত্মত্যাগের কথা পর্যন্ত বলতে পারেন না। অথচ এই আত্মত্যাগই হওয়া উচিত ছিল তাঁদের সবচেয়ে গর্বের ব্যাপার। আজো তাঁদের যথার্থভাবে পুনর্বাসন করা হয় নি; কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি যাতে করে তাঁরা গর্বিত চিত্তে সম্মানের সাথে সমাজে বসবাস করতে পারে।

ফিবছর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে আমাদের মু্ক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা কখনো শুনিনি যে বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে এভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। আমরা চাই, এবছরই মহান স্বাধীনতা দিবসে অর্থাৎ ২৬ মার্চ বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হোক।

বাঙালি জাতি বরাবরই অকৃতজ্ঞ জাতি। আমরা আমাদের জাতির জনককে হত্যা করেছি কোন সংকোচ ছাড়াই; হত্যা করেছি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে। আমরা আজ পর্যন্ত ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি ভাস্কর্য পর্যন্ত করতে পারিনি, পারিনি জর্জ হ্যারিসন, পন্ডিত রবি শংকরসহ আমাদের বিপদকালীন বন্ধুদের স্মৃতি রক্ষার্থে কোন ব্যবস্থা নিতে।

আমরা কতদিন এই লজ্জা সহ্য করে যাব, কতদিন আমরা পূজযুক্ত থাকব!

আজ সময় এসেছে গ্লানিমুক্ত হওয়ার! এবং এর প্রক্রিয়া শুরু হোক বীরাঙ্গনাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×