স্বদেশ প্রেম কি তা আমি জানি না।
আমার কিশোর কাল কেটেছে পৃথিবীর নামীদামী একটা পশ্চিমা দেশে ,কিন্তু কোন দিনও নিজের দেশ আর ভাষাকে ভুলে থাকতে পারিনি। জানি তা পারব না কোন দিনও।
সবসময় একটা চেষ্টা ছিল নিজের মাঝে,দেশটাকে বড় করে তোলে ধরা সবার সামনে।যখন সবার সাথে জোর গলাই বলে উঠি আমি একজন বাংলাদেশি।আমরা একমাত্র জাতি যারা নিজেদের ভাষার জন্য প্রান দিয়েছি।গর্বে তখন বুকটা ভরে উঠে।
ক্লাস৬/৭ পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি বাংলাদেশে তাই ভাল করে গুছিয়ে লিখতে পারিনা,তার উপর ছোট বেলাটা কেটেছে গ্রামে তাই সাথে মিশে গেছে গ্রাম্য ভাষাটাও।তবুও বাংলাই লিখতে-বলতে পছন্দ করি,বাংলাদেশকে পছন্দ করি ,দেশের মানুষ গুলিকে পছন্দ করি(দেশের মেয়ে গুলির সুন্দরেরত কোন তুলনাই নাই)।
কিন্তু খুব খারাপ লাগে যখন দেখি নিজের দেশের স্বাধীন মানুষ গুলি কেমন জানি নড়বড়ে অবস্থায় জিবন যাপন করে।রাজনীতি নামক রাজারনীতি কায়েম করেছে প্রশাসন।একদল মানুষ হাবুডুবি খাচ্ছে অর্থের সাগরে ,অন্য দল কাতরে বেড়াচ্ছে এক মুঠো খাবারের অভাবে।বিচার নামক অবিচার চলছে সবখানে।
আজ অনেক দিন পর হইত আবার দেশের মানুষ গুলি এক হয়েছে, দেশের পুরাতন শত্রুদের বিচারের দাবিতে । কিন্তু তাতেও বাধা দিচ্ছে আরেক দল নর পশু।
শাহাবাগের মোড় হইত চোখে দেখিনি,
তবে শুনেছি তাদের কথা ।
বুঝতে পেরেছি আর কোন স্বার্থের জন্য নয় দেশের জন্য আন্দোলন করছে সবাই ।কিন্তু এর মাঝেও ঢুকে যাচ্ছে কিছু সুযোগ সন্ধানী দল।অনেকে বলছে দাবী আদায় করার নামে নাকি বসেছে শয়তানের আড্ডা।
তাদের জন্য বলতে চায়ঃ যেখানে দেশের মানুষ সুবিচারের জন্য আন্দোলন করছে সেটা একটা পবিত্র স্থান।আপনারা ভুলে যাবেন না ,১৯৭১ সালেও মানুষ রুপের কিছু পশু ধর্মের অজুহাতে দেশেকে তোলে দিতে চেয়ে ছিল ঐ পাকিস্তানিদের হাতে। আজ ২০১৩ সালে ঐ নরপশুদের বাচানোর পাঁয়তারা করে ছগুদের খাতাই নিজের নাম লিখাবেন না ।দেশটা আমার,আপনার আমাদের সবার।কোন ভাল কাজে সাহায্য না করেন কিন্তু পিছে তার ক্ষতি করবেন না।
এইটাই হইত আমাদের গর্জে উঠার আরেকটা সুবর্ণ সুযোগ , আসুন সবাই মিলে দেশের ,দেশের সাধারন মানুষের পাশে দাড়াই। উপকার না করতে পারি কিন্তু অপকার করব না এই শপথ করি।
শেষ কথা!আমি আজ নিজেকে বড় বেশি অসহায় বোধ করছি ,কেননা আমি একজন বাংলাদেশি হয়েও আজ শাহাবাগ মোড়ের(প্রজন্ম চত্বরে)আন্দোলন কারিদের একজন হতে পারলামনা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯