(গাজায় বর্বরোচিত হামলায় নিহত শিশুদের স্মরণে)
মৃত শিশুদের মুখ হেসে ওঠে
পরিণত মানুঘের মত নয়
হা-হা-হো-হো অট্টহাস্য শিখেনি এখোনো
তবু ঠোঁটের ত্রিকোনে ফুটে ওঠা
আদুরে হাসির রেশ ফুরোয়নি
মাথার ওপর যদিও চক্কর খায় জঙ্গি বিমান
ধ্বংসস্তূপে সমাহিত শিশুরা তাকায়
মৃত ওরা;
ওদের চোখ থেকে ফুরিয়ে যায়নি
তবু দৃষ্টির কিরণ
মৃত শিশুদের সাথে
একই তালে,একই লয়ে,একই ছন্দে
হামাগুড়ি দিয়ে চলে
সাঁজোয়া ট্যাংকের দল
গোলাবারুদের চেয়ে প্রিয় কোনো
উপহার নেই বলে
দলে দলে শরণার্থী শিবিরের
পথের দুধারে চলে সার বেঁধে
বারুদ বৃক্ষের চাষ
নিজ নিজ হাতে ওরা বুনে গেছে বীজ
মৃত শিশুদের দল
গাজা উপত্যকা যদি সেইসব
বারুদ বৃক্ষের পরিচর্যা করে যায়,
যেতে পারে,তবে কিছু
ফল যদি ধরে ওই গাছে
বিধ্বস্ত জনপদে একদিন
বারুদের বাম্পার ফলন হয় যদি
বানিজ্য জাহাজ নিয়ে ঠিকঠাক
পৌঁছে যাবে কারবারীগণ
সেইদিন মৃত শিশুদের হাত
পরিমাপ করে দেবে
কয়টি প্রাণের বিনিময়ে
প্রাপ্য হতে পারে কতটা বারুদ
এই সুখে বুঝি আজ হেসে ওঠে
মৃত শিশুদের মুখ !