somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইজি এ (২০১০)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইজি এ ২০১০ সালের একটি টিন কমেডি মুভি । মুভির স্ক্রিন-প্লে কিছুটা ‘দ্য স্কারলেট লেটার’ নভেল থেকে অনুপ্রাণিত ছিলো

কাহিনী : হাই-স্কুল স্টুডেন্ট অলিভ পেন্ডারঘাস্ট (এমা স্টোন ) তার স্কুলের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিনিত হয় যখন সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড রিহাননের (অ্যালিসন মিচালকা ) কাছে তার ভার্জিনিটি হারানোর ব্যাপারে মিথ্যা বলে এবং কোনোভাবে ম্যারিয়েন (অ্যামান্ডা বেইনেস ) সেটা শুনে ফেলে এবং পুরা স্কুলজুড়ে তা প্রচার করতে থাকে । অলিভ প্রথমদিকে এই হঠাত খ্যাতি উপভোগ করতে থাকলেও আস্তে আস্তে এটা তার মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়ায় । পরবর্তীতে অলিভকে অনেক বড় বিপদে পড়তে হয় ।

অলিভ কীভাবে সেই বিপদের মোকাবেলা করে সেটা জানতে হলে মুভিটা দেখে ফেলুন ।



মুভির প্রধান আকর্ষণ এমা স্টোন । এমা স্টোনকে আমি চিনি এই মুভির মাধ্যমেই এবং ‘ইজি এ’ দেখার পর থেকেই আমি এমার ফ্যান । মুভির বেশিরভাগ সময় জুড়েই ছিলো এমা । সো , তার অভিনয়ের উপরেই মুভি ভালো লাগা অথবা না লাগা অনেকাংশে নির্ভরশীল । এক্ষেত্রে বলতে হয় মুভিটা একাই টেনে নিয়ে গিয়েছেন এমা । যদিও এমার গলার ভয়েস তেমন ভালো না , তবুও পুরা মুভিতেই এমার প্যাঁচাল শুনতে বেশ ভালো লাগছে । এমার চোখের ভাষা , এক্সপ্রেশন , স্যারকাজম , Attitude , হাসি এমনকি কান্নাও অসম্ভব ভালো লেগেছে । মুভি দেখার সময় মনেই হচ্ছিলো না যে এটা একটা মুভি দেখছি । আরও মনে হচ্ছিলো যে এমা স্টোন বোধহয় আসলেই এমন :P । অ্যামান্ডা বেইনেসের অভিনয়ও ছিলো প্লাস পাওয়ার মত । অ্যামান্ডার চোখের ভাষা আর এক্সপ্রেশনও ছিলো এমার মতই অসাধারন । অ্যালিসন মিচালকার অভিনয় তেমন ভালো না হলেও চলে টাইপের । মুভিতে আরো ছোটো-খাটো অনেক চরিত্র ছিলো ।

মুভিতে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এমা স্টোন আর অ্যামান্ডা বেইনেসের একসাথের দৃশ্যগুলা । দুইজনের স্যারকাজম , একে অন্যের প্রতি ঘৃণা এই দৃশ্যগুলা সেইরকমের মজার । এমা স্টোন আর অ্যালি মিচালকার স্ক্রিন শেয়ারিংও ভালো লেগেছে । তাদের কথপোকথন হিলো এক্সট্রিম লেভেলের ফানি ।

আমি বেশ কিছু মুভি প্রতিদিনই দেখি । ইজি এ তাদের মধ্যে অন্যতম । কারন , মুভিটা দেখলেই কেনো জানি মুড ভালো হয়ে যায় । প্রথমবার মুভি দেখার সময়ও খুব হেসেছি । প্রায় প্রত্যেকটা সিনই হাসির । না চাইলেও হাসি আটকিয়ে রাখা যায় না । জোর করে হাসানোর চেষ্টা করেননি পরিচালক । কিন্তু মুভি দেখতে থাকলে হাসি এমনিতেই চলে আসবে ।


উইল গ্লুকের দুইটা মুভি দেখেছি আমি । এইটা আর ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিটস । দুইটা মুভিই আমার কাছে ভালো লাগছে । উইল গ্লুক খুব ভালোভাবে মুভি দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন । ভবিষ্যতে উইল গ্লুকের কাছে আরো ভালো ভালো রোম্যান্টিক-কমেডি মুভি আশা করছি ।

মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিলো অসাধারন । মুভি শেষ করেই আগে মিউজিক নামাইছি সব । শুধু মিউজিকের জন্য হলেও মুভিটা দেখতে পারেন । মুভির ওপেনিং সিনে যে মিউজিক আছে সেটা শুনলেই মুভিটা দেখতে ইচ্ছা করবে । আর নাতাশা বেডিংফিল্ডের ‘পকেটফুল অব সানশাইন’ গানটা তো মুভি পজ করেই ডাউনলোড করে শোনা শুরু করছিলাম ।

মুভির লোকেশন হলো এই মুভির আরেকটা প্লাস-পয়েন্ট । অসাধারন মিউজিক দিয়ে যেমন মুভিটা শুরু হয়েছে , তেমনি ওপেনিং ক্রেডিটের দৃশ্য দেখলেও আপনার পুরা মুভিটা সেষ করতে ইচ্ছা করবে । পুরা মুভির শুটিং হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার Ojai তে । আর অলিভের স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ‘Ojai North High School’ । মুভি দেখার পরেই আমার এখন খালি ক্যালিফোর্নিয়ার Ojai তে যাইতে ইচ্ছা করে ।

মুভিটা না দেখা থাকলে দেখে ফেলুন । সময়টা ভালোই কাটবে ।




২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×