somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেকুব

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবকিছুর কিছুর একটা সীমা আছে। প্রত্যেকদিন কোন না কোন ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া। আরে বাপ এখনই যদি এই অবস্থা হয, বিয়ের পর কি হবে?আর ঝগড়া করেছিস কর, একদিন,দুইদিন না- সাতটা দিন কেটে গেল একবার ফোনটা পর্যন্ত করার নাম নেই। ছেলেটা নিজেই ফোন করতো, কিন্তু দোষটা তো তার না। সে ফোন করবে কেন? মেয়েটারই তো সব দোষ। সেই তো খুচিয়ে খুচিয়ে ঝগড়া শুরু করে। খুবই অস্থির লাগছে ছেলেটির। কতদিন সেই গলার স্বরটি শুনে না। হারামজাদী নিশ্চয়ই এখন অন্যকারো সাথে ফোনে আড্ডা মারছে। নিশ্চয়ই তার সেই কানাডায় থাকা কাজিন ছেলেটার সাথে। না হলে এতদিন তাকে ভুলে থাকতে পারছে কিভাবে? নাকি অন্য কারো সাথে প্রেম করছে? .. আচ্ছা অসুস্থ হলো না তো? মেয়েটার আবার যখন তখন ঠান্ডা লাগে। শীত নাই, বৃষ্টি নাই কটকটে রোদ, কথা নাই বার্তা নাই ঠান্ডা লেগে যাবে। সাইনাসেরও প্রব্লেম আছে। বেচারীর সাইনাসের ব্যাথাটা আবার উঠেনি তো?নাহ্, ছেলেটা আর থাকতে পারছে না। কোন একটা খোঁজ নেয়া দরকার। ফোন করবে? না, তাহলে তো প্রশ্রয় দেয়া হবে। এই ধাক্কায় শয়তানটাকে একটা শিক্ষা দেয়া দরকার। যাতে আর কোনদিন ঝগড়া না করে।ছেলেটা প্লান ঠিক করে ফেলে কি করবে।

ভিন্ন একটা সিম থেকে মেয়েটাকে ফোন দেয় ছেলেটি। বেশ কয়েকবার রিং হবার পর সেই পরিচিত কন্ঠস্বর ভেসে আসে ফোনের ওপাশ থেকে।
-‘হ্যালো, কে বলছেন?’।
ছেলেটা তার গলার স্বরটা পরিবর্তন করে নিজের নামটি না বলে অন্য একটি নাম বলে।
-‘দুঃখিত আপনাকে চিনতে পারছি না। কাকে চাইছেন?‘
-‘সুরভী বলছেন?’
-‘জ্বী বলছি, কিন্তু আপনাকে তো চিনতে পারছি না।আপনি আমার নাম্বার কোথা থেকে পেলেন?’
ছেলেটা প্রশ্নটা এরিয়ে যায়।এরপর কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের।ফোনটা রেখেই ছেলেটার মনটা খারাপ হয়ে যায়।যদিও সে গলার স্বর পরিবর্তন করে অন্য নাম নিয়ে কথা বলেছে, মেয়েটা কেন তাকে চিনলো না?কেন অপরিচিতের মত কথা বললো?সাত দিনেই সে তার এত অপরিচিত হয়ে গেছে?সামান্য গলার স্বর পরিবর্তনেই সে কেন তাকে চিনতে পারলো না।প্রচন্ড অভিমান হয় ছেলেটির।আবার ভালোও লাগে।মেয়েটা কত ভালো।সে অপরিচিত বলে তার সাথে কথাই বলতে চাইলো না।আর সে কিনা কি সব ভাবছিলো।বুকের ভেতরটা খালি খালি লাগে।ছুড়ে ফেলা ফোনটির দিকে তাকিয়ে থাকে।আবার কি ফোন দিবে সে?এখন মনে হচ্ছে তারই উচিৎ ফোন করে ক্ষমা চাওয়া। আবার এটা ভেবেও রাগ হচ্ছে মেয়েটা কেন তার গলা চিনতে পারলো না!

ফোনটা রেখেই মেয়েটি মুচকি হাসে। শেষবার ঝগড়ার পর থেকে মেয়েটা অপেক্ষা করছিলো কখন ছেলেটা নিজ থেকে ফোন দিবে।কি যে কষ্টে গেছে এই ক’টা দিন।শেষ পর্যন্ত ফোন ঠিকই দিলো।কি পরিমান বেকুব। সে ভেবেছে অন্য নাম্বার থেকে গলার স্বরটা একটু মোটা করে কথা বললেই বুঝি আর তাকে চিনতে পারবে না। সবাইকে নিজের মত বেকুব ভাবে।তার প্রেমিকটা এমন গবেট হলো কেন। একটা কাজ যদি ঠিকমতো করতে পারে।কি আর করা এই গাবলুকে নিয়ে সারা জীবন কাটাতে হবে।মেয়েটা ঠিকই জানে বেকুবটা আবার ফোন দিবে এখনই। গাবলুটার কথা ভাবতে তার যে কি পরিমান ভালো লাগে।
ফোন বাজছে। মেয়েটা আবারো একবার মুচকি হেসে ফোনটা তুলে নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৯
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×