somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চায়ের কাপ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চা খেতে অনেকেই ভালো বাসে।আবার অনেকেই আছে চা খেতে পছন্দ করেন না। আবার কেও পছন্দ করে লেবু দিয়ে লাল চা,আবার কেও দুধ চা, কেওবা আবার ঘন দুধের চা। পৃথিবির প্রায় সব দেশেই এই চায়ের প্রচলন খুবই দেখা যায়। তবে শীত প্রধান দেশের মানুষেরা বেশ ঘন ঘন চা পান করে থাকেন। আমাদের এই গরমের দেশেও যে চায়ের প্রচলন নেহায়াৎই কম সেটা কিন্ত বলা যাবে না। আমাদের দেশেও শহরে, গ্রামে -গঞ্জে,চাযের প্রচলন বেশ দেখাযায়।অতিথি আপ্যায়নে ঘরে কিছু না থাকলেও অন্তত আমরা অতিথিকে এক কাপ চা খাওয়ার কথা বলতে কখনও ভুলিনা। আমাদের দেশে হোটেল,রেস্তারা , ফুটপাতের টং দোকান , প্রামাঞ্চলে দেকান পাট সর্বক্ষেত্রেই চা খাওয়ার জন্য মানুষের ভিড় দেখা যায়। আর বাঙ্গালীদের কাছে আড্ডা, গল্প,সেই সাথে চা সে এক অন্য রকম অনুভূতি। কোথাও ভ্রমনে যাবার সময় ট্রেনে, বাসে, লঞ্চেও বিন্ত এক কাপ গরম চা থেতে বেশ ভালেই লাগে। এসবের মধ্যেও কেও পছন্দ করেন বাড়ীতে বানানো চা, কেও হোটেলের চা, কেও বা আবার টং দোকানের চা। কখনও এমন যদি হয় একটি সন্দর ঝকঝকে বড় এক কাপ চা নিয়ে একটি সুন্দর পিরিচ সহ আপনার কিংবা আমার সামনে হাত বাড়িযে দিয়ে বললো এই নিন আপনার চা।সেটাও হয়তো অনেকের কাছে বেশ ভালোই লাগবে। যাই হোক, চা নিয়ে অনেক কথা বলা হয়ে গেল । কিন্ত আমার আসল কথা চা নিয়ে বলা নয়। চায়ের কাপ। আমরা যারা হোটেলে রেস্তারা, টং দোকানে চা খাই তারাই ভালো বলতে পারবেন সেই চাযের কাপ সর্ম্পকে। এসব দোকানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায কাপগুলো অত্যন্ত নোংড়া ,পুরানো দাগ বিশিষ্ট এবং খু্বই ছোট অনেক ক্ষেত্রে তা ফাটাও থাকে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্টান গুলো এতই ছোট ময়লা যুক্ত কাপ ব্যবহার করে যে, তার বর্ননা দেওয়াও বেশ কঠিন। ছোট বচ্চাদের খেলনা হাড়ি পাতিল,কাপের সাথে তুলনা করা যায়। এবং দেখা যায় যে, যারা চা বিক্রি করছে তারা সেই কাপ গুলো ভালো পানিতে পরিষ্কার পর্যন্ত করছে না। নোংড়া একই পানিতে কোন রকম বার বার ধুয়ে একই কাপে বিভিন্ন জনকে চা পরিবেশন করাচ্ছে। যা দেখতে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং আনহাইজিনিং। সত্যি কথা বলতে কি ঐ সমস্ত কাপে চা খেতে প্রচন্ড ঘৃনা লাগে। যে পাত্রে কোন জিনিস খাব সেই পাত্র যদি সুন্দর পরিষ্কার না হয় সেখানে কি খাবার রুচি থাকে? সেদিন কোন এক কাজে রেজিষ্টার বিল্ডিং এ গিয়েছিলাম। সেখানে কোন এক পরিচিত ব্যক্তির সাথে দেখা হওয়াতে উনার অনুরোধে অনিচ্ছা সত্বেও বাধ্য হয়ে টিএসসিতে গেলাম এক কাপ চা খেতে। কিন্ত হায় সেখানেও ওই একই দশা। যে কাপের বর্ননা দেওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার।তার পর ও সন্মান রক্ষার্থে এক কাপ চা আমাকে খেতে হল। কিন্ত মনের দুঃখ ,ক্ষোব কোন মতেই গেল না। সেই জন্যই এ লিখা। যদি দুঃখটা কিছুটা লাঘব হয়। আমি বলতে চাই এই আধুনিক যুগে যে কোন জিনিস পত্রের কোন অভাব বাজারে আছে বলে আমার মনে হয় না। মার্কেট গুলোতে কোম্পানীগুলো প্রতিযোগীতা করে বাজারে পণ্য ছাড়চ্ছে। যা দেখতে খুবই দৃস্টিনন্দিত। এত সুন্দর সুন্দর কাপ পিরিচ বাজারে পাওযা যায় যা দেখলে বার বার কিনতে ইচ্ছা হয়। খুব ভালো লাগে। যেখানে কোম্পাণীগুলো এত প্রতিযোগীতা করে বাজারে পণ্য ছাড়ছে সেখানে কাপ নিয়ে কেন এত হিন্যমনতা? এটা কি শুধুই মানুষের অসেচতনা? নাকি অন্য কিছু? যারা চায়ের ব্যবসা করেন, তারা কি পারেন না সুন্দর সুন্দর কাপ ব্যবহার করতে ? এবং এক্ষেত্রে চায়ের ন্যয্য মূল্যও তারা অব্শ্যই নিতে পারেন। কিন্ত করেন না । কেন? জানি না। এদের বোধদয় কখন হবে তাও জানি না। তবে একটা কাজ করা যেতে পারে সেটা হল যে ব্যক্তিই যেখানে চা খাবেন তিনি যদি কাপের এ বেহাল দশা দেখেন তিনি সেখানেই মালিককে কাপ পরিবর্তনের কথা বলে আসতে পারেন। শেষে এটাও বলা যেতে পারে এরপর থেকে যদি আপনার কাপ সুন্দর ,পরিষ্কার না হয় পরবর্তীতে আপনার দোকানের চা আর আমরা খাব না।প্রতিনিয়তই এটা বলে যেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×