বিষয়টি খুবই মর্মাহত করেছে আমাকে। একজন পুলিশ সদস্যর এমন অশোভন আচরণ! বেলা ১১.৪৫ মিনিটের দিকে আমি বসে ছিলাম চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশে ক্রিসেন্ট লেকের ধারে। আমাদের পাশেই বসে আড্ডা দিচ্ছল এক ছেলে এক মেয়ে। এমন সময় বাইকে করে একজন পুলিশ (বয়স ৫০) এসে সংসদ ভবন সংলগ্ন দাঁড়িয়ে থাকা একজন সাংবাদিকের গাড়ি তাড়া দিল। গাড়িটি চলে যাচ্ছে আর তার পেছন পেছন সেই পুলিশটি বাইক নিয়ে এসে ঠিক আমরা যেখানে বসে ছিলাম সেখান পর্যন্ত এসে বলল, তোদের মতো সাংবাদিকদের পেঠায় সোজা করে দেব। এরপর আরও একটি গাড়িকে আসাদ গেটের রাস্তায় তাড়িয়ে দিয়ে এবার সোজা আমার দিকে আসলো। আমার পাশে বসা সেই ছেলে-মেয়েদের উদ্দেশ্য করে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরএকজন পুলিশকে বলল, 'ওদের ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলে দে, মনে হয় পানি খুব পছন্দ, প্রেম করার জায়গা পাস না। এইখানে এসে ফূর্তি। এমন মাইর দেব, বাপের নাম ভুলে যাবি।' যে পুলিশকে লক্ষ্য করে বলল তাকে দেখে আমার মনে হয়েছে, সে বেচারাও অবাক হয়েছে। ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে ছিল ছেলে-মেয়েটার দিকে। আর সেই যুগল দুটোকে দেখে মনে হল, শিকারীর বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হরিন ছানা। আমার বুকের ভেতরটা খচখচ করছিল। সত্য বলতে কি পুলিশের সেই বাজে আচরনে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। একজন পুলিশ কিভাবে এতটা বাজে আচরন করতে পারে সাধারণ মানুষের সাথে। কেন জানি একজন সাংবাদিক হয়েও সেসময় এর কোনো প্রতিবাদ করতে পারলাম না। বাসায় গিয়ে বিষয়টি ভেবে অনেক কষ্ট পেয়েছি। সেই অপরিচিত বন্ধুটির (ছেলে+মেয়ে) কাছে সর্যি। পারলে ক্ষমা করো আমাদের মতো কাপুরুষদের, যারা বিপদে অসহায় মানুষদের পাশে হাত বাড়াতে কুন্ঠিতবোধ করে। আর শত ধীক্কার সেই বদমাশ পুলিশটিকে। ধীক ধীক ধীক তোদের মতো বদমাশ পুলিশদের...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০১