somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তানী নাটকই পুন:অভিনিত হল

০১ লা জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগে এই লেখাটা পড়ে আসুন -
Click This Link

এই লেখায় আমার প্রশ্ন ছিল নাটকের ষেশ অংশে কী ঘটতে যাচ্ছে। এ'খন উত্তরটা পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানে বেনজীর ভুট্টকে যে মিশন দিয়ে পাঠান হয়েছিল দেশে ফিরে দেশের মানুষের মনোভাব বুঝতে পেরে তিনি তার সেই মিশন থেকে সরে আসার ইঙ্গীত দিয়েছিলেন। নেওয়াজ শরীফের সাথে একত্রে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই তাকে প্রান দিতে হয়েছিল। তা'ছাড়া সেখানে পি.পি.পিকে জিতিয়ে আনার জন্যও এই শোকের প্রয়োজন ছিল।

কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যে মিশন নিয়ে ফিরেছিলেন তা থেকে কখনই সরে আসেন নি। বরং নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে বলেছেন যে তিনি বিজয়ী হলে জরুরী সরকারকে বৈধতা দেবেন, চট্টগ্রাম বন্দর খুলে দেবেন, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দেশের মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালানোর সুযোগ দেবেন, দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়ন করবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আর পরাশক্তি হিসেব করে দেখেছে গত দুই বছরে বি.এন.পির সাংগঠনিক কাঠামো যেভাবে তছনছ করে দেয়া হয়েছে, সকল মিডিয়ায় যেভাবে একতরফা প্রচারণা চালান হয়েছে, যুদ্ধাপরাধ ইসুকে যেভাবে উপস্থাপন করা গেছে এবং সর্বপরি বিশ্ব মন্দার কারণে দ্রব্যমুল্য কমার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাকে কাজে লাগিয়েই আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনা খুবই সম্ভব। কিন্তু তার পরও তারা রিস্ক নিতে চায়নি, এজন্যই এরশাদ যখন মহাজোট থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তখন তাকে পুনোরায় মহাজোটে ফিরে আসতে বাধ্য করা হয়েছে - এ'জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ান হয়। তা না হলে এরশাদ যে দাবিতে মহাজোট থেকে বেড়িয়ে আসার ঘোষনা দিয়েছিলেন- জাতীয় পার্টির সকল আসনে থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রত্যাহার - তার বাস্তবায়ন ছাড়াই মহাজোটে ফিরে আসার আর কোন কারণ আছে বলে মনে হয় না।

এ'ভাবে আওয়ামী লীগের ২০০ শতাধিক আসন মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাবার কারণেই শেখ হাসিনাকে বেনজীর ভুট্টোর পরিনতি বরণ করতে হয় নি। কথায় বলে শেষ ভাল যার সব ভাল তার। জরুরী সরকার আগের কয়েকটা মিশনে ব্যার্থ হলেও রক্তপাতহীন ভাবে পাকিস্তানে অভিনিত নাটকের পুন:অভিনয় সম্পন্য করার ক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে।

এই পর্যালোচনার ভিত্তিতে নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে হয় -
১. দ্রব্যমুল্য কিছুটা কমবে - প্রধানত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলসহ অধিকাংশ জিনিসের মুল্য পতনের কারনে এবং জরুরী অবস্থা উঠে যাবার ফলে ব্যাবসায়ীদের আস্থাশীলতার সাথে বিনিয়োগ করার কারণে। সুতরাং আওয়ামী লীগ জোরের সাথে প্রচার করতে পারবে যে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরোন হতে শুরু করেছে।
২. জরুরী সরকার গত দুই বছরে যে দুটি ভাল কাজ করেছে তার প্রথমটি ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং দ্বিতীয়টি চট্টগ্রাম বন্দরের সংস্কার। সুতরাং চট্টগ্রাম বন্দর মোটামুটি প্রস্তুত হয়েই আছে - এখন স্বল্পতম সময়ে একে এশিয়ার জন্য উম্মুক্ত ঘোষনা করার মাধ্যমে ভারতের অনেক দিনের একটা দাবি পুরোন করা হবে।
৩. জরুরী সরকার ভারতের জন্য এয়ার ট্রাঞ্জিট দেয়ার পাসাপাসি ঢাকা কলকাতা রেল যোগাযোগ চালু করেছে। এ'খন ঢাকা আগরতলা ট্রেন চালু হলেই স্থল ট্রাঞ্জিটও হয়ে যাবে।
৪. দেশের বিভিন্ন স্থানে আবার বোমা হামলা শুরু হতে পারে, সন্ত্রাস বিরোধী দক্ষিন এশিয়ান টাস্কফোর্স গঠনকে ত্বরান্মিত ও যৌক্তিক করার জন্য। তাহলে অচিরেই হয়ত আমরা ইন্ডিয়ান সামরিক বাহীনিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় অভিজান চালাতে দেখব - যেমনটা মার্কিন বাহিনী করছে পাকিস্তানে।
এ'ছাড়া ভারতের তথা পরাশক্তির স্বার্থে আর কি কি করতে বাধ্য হয় সেটাই দেখার বিষয়।

আমার আগের লেখাটায় বাংলার জনগনকে আপোসকামী বলায় ২৩টা মাইনাস আর মাত্র ১টা প্লাস পেয়েছি। এই লেখায় মাইনাসের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই আশা করছি - তবে যদি আপনি কথাগুলো মনে রাখেন তাহলে অদুর ভবিষ্যতে হয়ত সেই মাইনাসটাকে প্লাস বানানোর ইচ্ছা হবে - কিন্তু স.ই. কর্তৃপক্ষ সেই সুযোগ রাখেনি। সুতারং মাইনাস দেবার আগে একটু ভেবে চিন্তে দেয়ার অনুরোধ করছি।
২০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×