অদেখা আপন! তোকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে এই কথাটাই মনে এলো। হ্যালো রাশেদ। শুভ জন্মদিন কমরেড। আত্মার আত্মীয়ের চেয়ে বড় মানি যাদের, তুই তাদের একজন।
সামনে দিয়ে মিছিল গেলে, সেই ছেলেটা উঁকি দিতো
পর্দা সরিয়ে, জানালার আগল খুলে উঁকি দিতো
শ্লোগান শুনলেই, পড়ার টেবিলে বইখাতা ফেলে
টেলিফোনে বান্ধবী কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় তার উৎকর্ণ কান
কখন মিছিল যাবে। একেলা আয়নার সামনে মহড়া চলে
মুষ্ঠিবদ্ধ হাত, সেও বুঝি মিছিলে যাবে।
একদিন সত্যিই গুটিগুটি পায়ে সে এসে দাঁড়ায় দেয়ালের পাশে
মিছিল যায়, মুষ্ঠিবদ্ধ হাতটা আড়ালেই থাকে
তখনও খানিকটা সংশয়, অথবা লাজুকতা ভর করে
মিছিলের মুখেরা খুব ভদ্রস্থ নয়, সুশীলেরা খারাপ জানে।
এইভাবে বেশীদিন নয়। রক্তকণায় তোলপাড় নিয়ে
বিপ্লবীরা বেশীদিন ঘরকুনো থাকে না।
ছেলেটি মিছিলে যায়, সামনে থাকে
তার বজ্রমুঠিতে বজ্রকণ্ঠকে অনুসরণ করে মিছিল এগোয়
ছেলেটি মিছিলের মুখ, কিংবা গোটা মিছিল হয়ে যায়।।
কোথায় যেন একটা পোস্ট দেখলাম মনে হলো। বছরের আলোচিত চরিত্র। বাঙালী বিস্মৃতিপ্রবণ। এ আর নতুন কি! প্রতিদিন নতুন কতো ঘটনা, কতো আলোচনা। কে আর পুরানো কথা মনে রাখে! বিপ্লব শেষে সুবিধাভোগীরা যেমন ভুলে যায় বিপ্লবীদের কথা।
কারো কি মনে আছে এ বছর মার্চের ঘটনাপ্রবাহ? মুক্তিযুদ্ধের স্টিকি পোস্টের কনটেন্ট বদলে ব্যান খেয়েছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের দু'জন ব্লগার। এস্কিমো এবং রাশেদ। এস্কিমোর মুখে শুনেছি তিনি রাশেদকে অনুসরণ করেছেন মাত্র। কেনো অমন করেছিলো রাশেদ? স্বাধীনতা বিরোধী ব্লগারদের ঘৃণ্য আস্ফালনের প্রতিবাদে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবমাননার প্রতিবাদে। শুধু বাংলা নয়, ব্লগিংয়ের ইতিহাসে স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এমন ঘটনা সেই প্রথম।
এরপর পুরা ব্লগে বিপ্লব হয়ে গেলো। বীরের বেশে ফিরে এলো ওরা। সেইসঙ্গে আদায় করে নিলো একটি প্রাণের দাবি- স্বাধীনতা বিরোধী পোস্টের জন্য নীতিমালা। ছেলেটা নিজেও অবাক। এত মানুষ ওকে ভালোবাসে! আমি নিশ্চিত জানি দেশকে ভালোবেসে, স্বাধীনতার চেতনাকে ভালোবাসা এমন ঘটনা রাশেদ বারবার ঘটাবে।
তোর জন্মদিনে একটি গান :