প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহসহ চারজনকে তলব করেছে ঢাকার আদালত।
Published : 28 May 2013, 01:14 PM
ঢাকার নিবার্হী হাকিম মোরারজী দেশাই বর্মন মঙ্গলবার এক গৃহবধূর দায়ের করা এ মামলা গ্রহণ করে ওই চারজনকে আগামী ১৭ জুন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি, রাজধানীর রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বাসিন্দা মোসাম্মত সাজেদা বেগম তার আরজিতে বলেন, তার স্বামী মো. জামাল উদ্দিনের সঙ্গে ব্যাবসা নিয়ে ঝামেলার জের ধরে আসামিরা তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন।
অজ্ঞাতপরিচয় হিসাবে ‘আরো কয়েকজনকে’ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আরজিতে বলা হয়, গত ৬ মে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে এবং অন্য আসামিদের প্ররোচনায় কয়েকজন লোক গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদির ছেলে সুজনকে নাটোরের বড়াইগ্রামে তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
তারা সুজনকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গার এসপির কার্যালয়ে এবং পরে চুয়াডাঙ্গার এক আওয়ামী লীগ নেতার জিম্মায় রাখে। এ ঘটনায় বাদির স্বামী ব্যবসায়ী জামালউদ্দিন যাতে আইনের আশ্রয় না নেন সেজন্য তাদের হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
আরজিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বাদিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এরপর গত ১৪ মে ডাকযোগে ওই সাধারণ ডায়েরি থানায় পাঠানো হয়। এর অনুলিপি পাঠানো হয় পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ।
গত ১৫ মে সুজনকে নির্যাতন করে ছেড়ে দেয় আসামিরা। বাদির পরিবার ১ কোটি টাকা না দিলে তাকে আবারো তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয় বলে আদালতে জানান বাদি।
তার আইনজীবী এ এফ এম আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়েও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার বাদির স্বামীর সঙ্গে ব্যবসার চুক্তি করেছেন । এটাও তার একটি অপরাধ।