somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৪

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বড় ভাইজানের বিয়ার খরচ টরচ, টুকটাক বাড়ীর জন্য কেনাকাটা এইসবকিছুই যাওয়া আসা এবং থাকা খাওয়ার খরচের মইধ্যে ঢুকাইয়া দিয়া ফাইনাল হিসাব কৈরা দেখি মাদরাছার জন্য ফান্ড থাকাতো দুরের কথা উল্টা আমাগোই লোকসান হৈছে বৈলা দেখাইতে হয় । কিন্তু এইটাতে সমস্যা আছে । এক মাঘেতে তো শীত যাইব না । সামনের বচ্ছরের কথাও ভাবন লাগে । মামা খালাদের কাছ থেকে ধার করা ট্যাকার হিসাব অবশ্য ঢুকাইয়া দিছি । সেটা সৎভাবেই যাওয়া আসার খরচের মইধ্যে পড়ে । মাদরাছাকে একটা ফান্ড দিতেই হৈব । ভাবনাচিন্তা কৈরা শেষে মোহতারাম ছাবের ট্যাকাডাই মাদরাছারে দিমু বৈলা ঠিক করি । মোহতারাম ছাবরে আগের বিশ হাজার ট্যাকা শোধ কৈরা দিই । এখনকার ট্যাকা পরে দিমু বৈলা কুনোরকেম মানানো যায় । সেই পন্চাইশ হাজার খুরশিদের মাদরাছারে তাদের ৬০ ভাগ বৈলা দিয়া আসি । একটু গাঁইগুই করে তারা । বলি, ভাইজানতো এইবার পরথম । হাবভাব ভালোমত জানতেন না । তাছাড়া আমরা যেই আরবি জানি সেইটাতো বইয়ের আরবি । চলিত আরবি তো এইবার ভালোমত জানতেন না ভাইজান, তাই ততটা লাভ হয় নাই । সামনের বার ইনশাল্লাহ আরো ভালোমত আনতে পারবেন । কিছুটা বুঝেন তারা ।

বড় ভাই নতুনভাবে আবার গেরামের মসজিদে ইমামতি শুরু করেন । আমার ঝামেলাটা কমে । নিজের কাছে আবার পুরাপুরি লাগতে পারি । বাকীর খাতা লৈয়া বাড়ী বাড়ী ঘুরা আবার শুরু করি । দুইটা মুখোশ লাগাইয়া রাখনের ঝামেলা আর থাকে না । খালেদার শ্বশুর বাড়ীতে যাওয়া আসাও চলে । কিন্তু খালেদার পাত্তা আর অর্জন করতে পারি না । কথাই যদি কৈতে না পারি তাইলে বুঝামু ক্যামনে । ইচ্ছা হয় ওরে নিয়া ডাকতরনির কাছে যাই । কিন্তু সেই উপায় নাই । দইমা যাইতে হয় শেষ পইর্যন্ত । ঐ আশা ছাড়তেই হয় ।

বেশ কয়েক মাস নিরানন্দ হাড়ভাঙা পরিশ্রমে কাইটা যায় । খুরশিদ নাই বৈলা আইজকাইল অগো বাড়িতে তেমন একটা যাওয়া হৈত না । ঐ বাড়ীতে কুনো প্রবাসি লুকের বউও নাই । বাকী নেয়ার পাব্লিক খালি খুরশিদেগো ঘর । ট্যাকা খুরশিদ এর কাছ থাইকাই নিই । বিষ্যুদবারে খুরশিদ আইলে দেয় । একদিন দুপুরে এমনেই যাই ঐ বাড়ীতে । গিয়া দেখি খুরশিদের ছুড বৈনের চুল আঁচড়াইয়া দিতাছে একটা কিশোরি মাইয়া । পনর ষোল বচ্ছর বয়স । শইল্যে মাশাল্লাহ সাস্থ্যবতী । স্বভাবে অনেকটা লাকির মত । অল্প কথাবার্তাতেই আড্ডা জইমা যায় । কার কি লাগে জানি না । আমারে মামা বৈলা ডাকে । কিন্তু কথাবার্তায় অনেক আন্তরিক । হাইসা গায়ে পড়ে । আমার সাহস একটু বাড়ে । স্বভাবে লাকির মত হৈলেও গেরামের মাইয়া । লাকির মত অতডা ডর আমার মইধ্যে তৈরি করেনা । খুরশিদের ছুড বৈনডা কি কামে জানি বাইরে গেলে নানান কথায় দুধে হাত দিয়া দিই আমি সরাসরি । হাসতে হাসতে কয় যান মামা কি করেন । খুরশিদের মা কানে কম শুননে ভালই হৈল । হাসিতে বুঝি আমি, সমস্যা নাই । তয় হুতাহুতি কৈরা প্যাঁচ লাগাইতে চাই না । জিজ্ঞাস করি কয়দিনের লাইগা আইছে । মাসখানেক থাকব । খুশি মনে বাড়ীতে এস্তেন্জার দিকে চৈলা যাই আমি ।

পরদিন দুপুরে দেখি রোকসানা আমাগো ঘরে । খোদেজারে খুজতে আইছে । দুপুরবেলা খোদেজা মরার মত ঘুমায় । মাঝে মাঝে বকা বাদ্যি করতাম খোদেজারে । দুপুরে মরার মত ঘুমায় বিকাল পইর্যন্ত, আবার রাইতে ৮ টা ৯ টা না বাজতেই ঢুলা শুরু করে । এত ঘুম মাইয়াডার । এই ঘুমের লাইগাই পরপর দুইবার এইট থাইকা নাইনে উঠতে পারল না । এখন বন্ধই কৈরা দিছে ইশকুলে যাওন । এখন মনে হয় আল্লাহপাক যা করেন ভালোর লাইগাই করেন । আমাগো চোখে যে কামডা খারাপ মনে হয়, যেটা দেইখা আমরা চেইতা যাই তার মইধ্যেও আল্লাহপাক কুনো না কুনো ভালো জিনিস লুকাইয়া রাখেন । সবসময় সেইডা দেখা যায় না । যখন ঘটে তখন দেখা যায় ।

রোখসানা কথা কৈতেছিল আমার ছুড একটা ভাইর লগে । খোদেজার ছুড দুইডা বৈন আমার । দুইডাই ইশকুলে । এক্কেবারে ছুডডা এখনো ভালোমত হাঁটতে পারে না । ঘুমাইতাছে মা আর খোদেজার লগে । আমার ছুড ভাই তিনজন । একডা দুই গেরাম পরের আবদুল্লাহপুর হেফজখানায় বোর্ডিং এ থাকে । বাড়ীতে থাইকা হেফজ হয় না । একডারে দোকানে বসাইয়া আমি বাকী কালেকশনে বাইর হয় । যেইডা বাকি আছিল হেইডার লগে রোকসানা গপসপ করতাছে । তিনগুডি খেলতাছে । ওরে ধমক মাইরা আমি দোকানে পাঠাইয়া দেই । ফারুকে একা পারব না তুইও যা ।

রোকসানা কয় যাইগা তাইলে । ছুড ভাইডা দৌড় মারতাছে দেইখা আমি কই , তোর আম্মা আয়ে নাই রে রোকসানা ? না , বাইত্যে অনেক কাম আম্মার । তুই সাহাইয্য করছ না ক্যান ? করিতো, বেড়াইতে আইছি অনেকদিন পর । সামনের ঘরে, এইডারেই আমরা বৈঠকখানা কই, আমি আর রোকসানা । দুই তিনখান চক্করবক্কর কথার পরে রোকসানারে আন্জা কৈরা ধরি । দুধে হাত দিই । ঐদিনের মত, যান মামা কি করেন কয় না । মুখের মইধ্যে গরম নিঃশ্বাস লাগে রোখসানার । চোখ বন্ধ মাইয়ার । বৈঠকখানার লগে একটা লাগোয়া টয়লেটের কাম শুরু করছিলাম । ট্যাকার কারণে আগাইতাছে না আর । ঘর করা হৈছে । আর কিছু নাই । ইট সিমেন্ট কাঠ পইড়া আছে খালি । আন্জা কৈরা ধইরা আমি রোকসানারে নিয়া ঐ ঘরে ঢুকি । ডলাডলিতেই পইড়া যায় আমার । কিছুক্ষণ হাত থামাইয়া রাখনে রোকসামার নিঃশ্বাস স্বাভাবিক হয় । ঢুলুঢুলু চোখ খুইলা রোকসানা চৈলা যায় । মুখ লাল হৈয়া আছে । হাসিটাসি নাই দেইখা মনে শান্তি লাগে আমার । কচি মাইয়া, এতকিছু বুঝে না । এতটুকুতেই তৃপ্ত । নবী করিম অল্প বয়সের মাইয়া বিয়া করনের লাইগা কৈছেন কিজন্য বুঝি আমি । মনে আমারও একটা ফুর্তি ভাব আসে । লুঙিডারে খুইলা ভিজা যায়গাডা ঘুরাইয়া ঠিক কৈরা পরি । আসরের সময় হৈতে চলল প্রায় । মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকি ।

এখন পইর্যন্ত পুরা বালেগকাল কাটল আমার হাত মাইরা । স্বাভাবিকভাবে জীবনে মাত্র দুইবার । দুইবারের সাথেই জড়ানো লইজ্জা, অক্ষমতা , উপহাসের তিতা ইতিহাস । প্রতিদিন দুপুরের জন্য একটা নতুন রুটিন হৈয়া যায় আমার । আগেও মোটামুটি একটা ছিল । তয় কখনো ইচ্ছা না করলে বাইর হৈতাম না বাকীর খাতা নিয়া । এখন প্রতিদিন দুপুর একটু পইড়া আইলেই ছুড ভাইদুইডারে দোকানে বসাইয়া বাকীর খাতা হাতে লৈয়া গেরামের অন্য একটা রাস্তা দিয়া, কারো বাড়ীতে না গিয়া নিজের বাড়ীতে চৈলা আসি । রোকসানাও যেন নেশায় পাওয়া । প্রতিদিন একই সময়ে চৈলা যাইতাছে এমন একটা ভাব নিয়া বৈঠকঘরের দরজায় দাঁড়ানো । দুইএকটা রুটিন কথাবার্তার পরে আবার আগের জায়গায় । আবার আধা-কমপিলিট টয়লেটে । আস্তে আস্তে রোকসানা একটু সক্রিয় হয় । নিজ হাতে দড়ি খুইলা দেয় । কিন্তু আমার সাহসে কুলায় না । রোকসানা খালেদা না । আবিয়াত্যা । ডলাডলিতেই খুশি আমি । রোকসানাও কুনোদিন বেঁকা হাসি দেয় নাই ।

চলতাছিল এইভাবে ভালোই । প্রতিদিন দুপুরে রোকসানার বাইর হৈয়া যাওনের সময়ের ঢুলুঢুলু ভাব, লাল হৈয়া যাওয়া চেহারা দেইখা ভালো লাগে আমার । নিজের মর্দামির উপর একটা ভরসা আস্তে আস্তে ফিরা আসতে থাকে । যদিও প্রতিটা আসরই পড়া হৈতাছে ফরজ গোসল মাথার উপরে নিয়া । তাও পরদিন ফজরে ভোরে উইঠা নামাযের শেষে কোরান পড়ি কিছুক্ষণ । মুসল্লিরা সব চৈলা গেলে আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত চাই । চোখের পানি আইজকাল বাইর হয় না তেমন । গুনায় গুনায় দিল শক্ত হৈয়া যাইতাছে মনে নয় । যতটুক বাইর হয় তাই নিয়াই আমি আল্লারে বলি আমার অবস্থা, ভাগ্যের নিপীড়ন বুঝার জৈন্য । আল্লাহপাক অসীম দয়ালু । রাহমানুর রাহিম, গাফুরুর রাহিম । বান্দার মাইনকাচিপার কথা বুঝবেন, এই ভরসা হারাই না । হারাইলে আমার বাইচা থাকা সম্ভব না ।

বিশ বাইশ দিন পরে একদিন দুপুরে রোকসানার কথা শুইনা আমার কইলজার পানি শুকাইয়া যায় ।
--------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১৩
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি বললে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৭

তুমি বললে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

খুব তৃষ্ণার্ত, তুমি তৃষ্ণা মিটালে
খুব ক্ষুধার্ত, তুমি খাইয়ে দিলে।
শ্রমে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত দেহে তুমি
ঠান্ডা জলে মুছে দিলে, ঊর্মি
বাতাস বইবে, শীতল হবে হৃদয়
ঘুম ঘুম চোখে পাবে অভয়।
তোমার আলপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×