নেতিবাচক ধারনার ধ্বজা ধারী হয়ে উঠছি ক্রমাগত....
এমন ই একটা পরিস্থিতি মাথায় গজাতে দিয়েছি বলেই অনেকসময় গোবরে পদ্মফুল নয় আমি পদ্মফুলের পাতায় গোবর খুঁজি ।
সে কারনেই স্যাটেলাইট বাংলা চ্যানেলগুলোতে রিমোর্ট টিপে টিপে ক্রমাগত পরিবর্তনের যে দূর্ণিবার নেশায় ভাসতে থাকি সন্ধ্যায় বা রাতে আজকাল তখন প্রতিটা চ্যানেলে চোখে পড়ে একধরনের বিজ্ঞাপন যা অতি আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কিত।
খুবই দরকারই বিজ্ঞাপন যে সে বিষয়ে অনস্বীকার্য মন্তব্য আমার । কারন বিজ্ঞাপনে যা নিয়ে আমি বক্তব্য রাখছি তা `না` ভোট বিষয়ক।
হ্যা এই না ভোটের বিষয় টি এবারের নির্বাচনের জন্য একটা খুবই নতুন আঙ্গিক এবং বর্তমান সরকারেরর আমলেই খুব ঘটা করে মানুষকে না ভোটের জন্য উৎসাহিত করে বিজ্ঞাপন গুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় ।
বিজ্ঞাপন একটাতে দেখলাম ...ভোট দিতে গিয়ে একজন সিল মারতে পারছেনা ভাবানার বা বিবেকের বাঁধার জন্য.....সবাই দূর্ণিতীবাজ ...সন্ত্রাসী ..কাকে ভোট দেবে...তখনই না ভোট বিষয়টাকে হাইলাইট করা হলো....
এই বিষয়ে আমার স্পষ্ট প্রশ্ন ...
১. যদি প্রার্থীরা সবাই দূর্ণিতীবাজ, সন্ত্রাসী বা কালোবাজারী বা রাজাকার বা অপরাধী আর অপরাধী হয় ..তবে কোন আইনের দূর্বলাতায় তারা সব প্রার্থী হয়?
২. না ভোট দিয়ে যদি সবাই কে নাকোজ করা হয় ...দেশের বিপুল অর্থ অপচয় , আবার নির্বাচন ...আবার কারা দাঁড়াবে ?
আইন তো পরিবর্তন হচ্ছেনা ...খুব সহজেই আবার আরেক সেট দূর্ণিতীবাজ, সন্ত্রাসী বা কালোবাজারী বা রাজাকার ই তো ভোটে দাঁড়িয়ে যাবে
ফলে আবার সেই না ....ভোট এর আধিক্য হওয়া উচিৎ
৩. শংকা --এই সরকার না ভোট এর উপর জোড় দিয়ে নিজের দূর্বলতা প্রমান করতে চায় অগোচরে মানে আমরা আইনী দূর্বলতায় ঠেকাতে পারলাম না , আপনারা জনগণ ঠেকান।এমনটাকি?
৪. আচ্ছা কোন আসনে যদি ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে না ভোট সবচেয় বেশী ভোট পায় , তবে কি না ভোট জয়ী হবে?
নাকি আইন টি কি ---- ৫০% না ভোট পেলেই না জয়ী এমন।
৫ . না ভোট কোন সুষ্ঠ সমাধান হতে পারেনা...
আর আমি যতক্ষন পর্যন্ত সবকজন প্রার্থীকে স্পষ্ট ভাবে না জানি না বুঝি ততক্ষণ তাদের জন্য না ---ব্যবহার করা টা অনৈতিক। কি বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১০