somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাকারিয়া পিন্টু, আপনি এটা কি করেছেন?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, আপনি এটা কি করেছেন? আপনাকে তো অনেক শ্রদ্ধা করতাম, এখন বুঝতে পারছি না কি করবো। নিচের খবরটা পড়ে আমি অবাক হয়ে গেছি!!!

স্বাধীনবাংলা ফুটবল দল নিয়ে পিন্টুর স্বেচ্ছাচার!

স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরও পরাধীনতার বৃত্তে আটকে আছে স্বাধীনবাংলা ফুটবল দল! দলটা স্বাধীন হতে চায়। কয়েকজন স্বার্থান্বেষী লোকের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়ে সঠিক ইতিহাস নিয়ে হাজির হতে চায় জাতির সামনে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই ঐতিহাসিক দলকে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে তার ইতিহাস নিয়ে, দলের সদস্য সংখ্যা ও তাদের নাম নিয়ে। শনিবার যেমন সরকারি গেজেটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে করে গেছেন বীরেন দাস বীরু। পত্র-পত্রিকায় সংবর্ধনার প্রস্তুতি খবর এবং দলের তালিকা দেখে তিনি খুলনা থেকে ছুটে এসেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে। তার জিজ্ঞাসা, "আমি ৯ মাস স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ক্যাম্পে ছিলাম। আমার সার্টিফিকেটও আছে। কিন্তু সরকারি গেজেটে আমার নাম নেই। তাই বলে কি আমি স্বাধীনবাংলা দলের সদস্য নই ?" বাফুফে সভাপতি নিজে এই দলের সদস্য হওয়ার সুবাদে বীরুকে চিনেছেন, কিন্তু তার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।

বীরু না হয় সংবর্ধনার খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন। কিন্তু এই দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্নার ছুটে যেতে আত্মসম্মানে বাধে আর প্রয়াত কোচ ননী বসাকের তো ছুটে যাওয়ার উপায়ই নেই। এই দুজনের নামও নেই ২০০৩ সালে প্রকাশিত সরকারি গেজেটের ৩১ জনের দলে। এটা শুনেই শনিবার বিকেলে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফোন করেন স্বাধীনবাংলা দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুকে। পিন্টুকে উদ্ধৃত করে সভাপতি বলেছেন, "পিন্টু ভাই বলেছেন এই ৩১ জনকে সংবর্ধনা দিতে। এই দল নিয়ে বাফুফের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই, এভাবেই আমাকে বলতে বলেছেন তিনি।" এ নিয়ে বাফুফে সভাপতির যেন বলার কোনো অধিকার নেই ! নিজে স্বাধীন বাংলা দলের সদস্য হয়েও !

অধিকার থাকলেও এখন নেই। কারণ দলের সব সদস্যের অধিকারের যোগফলেরও বেশি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন অধিনায়ক একাই ! স্বাধীনবাংলা দলের নাম করে সর্বস্ব নিংড়ে নিয়েছেন জাকারিয়া পিন্টু। সরকারি গেজেটের ব্যাপারে তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, "আমরাই সরকারকে এই তালিকা দিয়েছি।" বার বার প্রশ্ন করেও কাদেরকে নিয়ে 'আমরা' তার জবাব পাওয়া যায়নি। কিন্তু তালিকায় অনেকের অনুপস্থিতি নিয়ে তার বক্তব্য, "যারা যোগাযোগ করেছে তাদের নাম উঠেছে গেজেটে।" কিন্তু নিজের নাম না দেখে বীরু তো আপনার সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করেছেন। আপনি হচ্ছে-হবে বলেই কাটিয়ে দিয়েছেন। পিন্টুর জবাব, "অসময়ে যোগাযোগ করলে কাজ হয় না।" তাহলে বীরু, তান্না, ননী বসাকরা ইতিহাসের অংশ নন ? স্বাধীন বাংলা দলে তাদের কোনো ভূমিকা নেই ? জবাবে পিন্টু বলেছেন "তাদের কী ভূমিকা আমি জানি না। তবে যে ৩১ জনের তালিকা আছে তাদের সঙ্গে কেবল তান্না ও ননী বসাকের নাম যোগ করা যেতে পারে। অন্য কারো নাম যোগ করলে আমি অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগ করবো।" এই দল থেকে কীভাবে পদত্যাগ করা যায় তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে ম্যানেজার ও কোচের নাম যোগ হতে পারলে অন্যদের নাম সংযোজনে অসুবিধা কোথায় ?

ঐতিহাসিক এই ফুটবল দল নিয়ে সরকারি গেজেটের এমন দুরবস্থা দেখে তানভীর মাজহার তান্নাও ক্ষুব্ধ। তিনি এজন্য জাকারিয়া পিন্টুকে দায়ী করেছেন, "পিন্টু ভাই-ই এসব করেছেন। অন্যরা তো স্বাধীনবাংলা দল নিয়ে এত মাতামাতি করতো না। সেই সুযোগে তিনি নিজের মতো করে তালিকা দিয়েছেন সরকারকে। কিন্তু এটা হতে পারে না, মুক্তিযুদ্ধে ফুটবল দলের ইতিহাসকে বিকৃত করতে দেবো না।" শুধু দেশের জন্মেই এই দলের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা নয়, প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবলের স্বাধীন অগ্রযাত্রার ইতিহাস।

ইতিহাসের সেই সূর্যসন্তানদের নাম বাফুফে ভবনে খোদাই করে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর এ উপলক্ষে সংবর্ধনা সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পিছিয়ে গেছে। তবে নতুন তারিখ ঠিক হয়নি। তার আগে দলের সদস্য-সংখ্যা নিশ্চিত করতে চায় বাফুফে।

সোর্স: Click This Link
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×