somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১০

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রুজার দিনে লুকজনের ইবাদত বন্দেগিতে ভক্তি একটু বেশি । শুধু বুড়ারা না কিছু ছুড পুলাপাইনরেও দেখি এত আগেই পাইন্জাবি-টুপি পইড়া মসজিদের দিকে যাইতাছে । ভালাই লাগে দেখতে । যদিও আমি নিজে যাইতাছে বাকীর খাতা হাতে নিয়া ট্যাকা উসুলে । উসুল করার জিনিস আরো থাকে । তয় সেইডা নিয়া বেশী আশা করি না আইজকাল । আশা কইরা লাত্থি খাওনের চাইতে কাঠের পুতুলের মত নিজের কাম কৈরা যাওন ভালো । মন বৈলা কিছু থাইকলেই যত যন্ত্রণা । আর তাছাড়া খালেদা এখন হুজুরের বউ । তার পর্দার ডর আছে, দুযখের ডর আছে । সেদিনের সেই খালেদা হয়ত এখন নাই । অবশ্য ফরিদ ভাই চৈলা যাওনের পর যে কয়বার গেছি স্বাভাবিক ভাবেই তো কথা কৈল । হালকা রঙ তামাশাও করলো । পর্দার কাঠিন্য বারেবারে কমতাছে । তাই আশা ।

খালেদার বুড়া শ্বাশুড়ি লোকজনের আসা যাওয়া আন্দাজ করতে পারেন মনে হয় দরজা থেকে আসা আলোর বাড়া কমা দিয়া । আইজ শুইয়া ছিলেন চৌকিতে , সামনের ঘরে । রুজা রাইখা মনে হয় কাহিল । আমি ঢুকলাম বুঝেন নাই মনে হয় । কথা বলার পর বুঝলেন । হুজুরের ঘর । বাইরের ঘরই আন্ধার পর্দার লাইগা । ভিতরের ঘরে দিনেও রাইত । ফরিদ ভাই থাকার সময় একবার খালি ঢুকছিলাম । বাইরের ঘর থাইকাই চিক্কুর মারলাম । ভাবী ট্যাকাটুকা দিবেন নি কিছু । খালেদারেও ভাবী কৈতে হয় । দুইন্যার কি রঙ । ভিতরের ঘর থাইকা খালেদা হাতে দুই তিনখান একশ ট্যাকার নুট লৈয়া বাইর হয় । এই এক যন্ত্রণা দোকান করতে । বাকী পইড়া আছে দশ বার হাজার । বাইর হৈছে দুই তিনশ লৈয়া ।

খালেদার হিসাব বুঝাই জুরে জুরে । শ্বাশুড়ি পাশ ফিরা শুইছেন ঠিকাছে । ধ্যান্ধাতো আর হয়া যান নাই । তাছাড়া বুড়ির চোখ না থাকনে কান অনেক কড়া মনে হয় । হিসাব বুঝাইতে বুঝাইতে কোমরে একটু হাত রাখি । দেখি কিছু কয় না । আমার সাহস বাড়ে । ইচ্ছা কৈরা একটু রানের লগে শইল লাগাই । কিছু কয় না । আমার সাহস আরো বাড়ে । কথা কৈতে কৈতেই এইবার এক্কেরে দুধে হাত দিই । একটু ভ্রু কুচকায় খালেদা কিন্তু নড়েচড়ে না । হিসাবে গোলমাল লাগাইয়া ফালাই আমি । সময় লম্বা করার লাইগা না । মাথার ভিতরে এমনেই জট ধৈরা যায় । ব্লাউজের ভিতর দিয়া হাত ঢুকাইতে গেলে আবার সরাইয়া দেয় । দোটানায় পইড়া যাই । আবার উপরে দিয়া ধরলে দেখি কিছু কয় না । হিসাব বুঝানি শেষে জোরেই কই চাচিই গেলাম । খালেদা চৈলা যায় ভিতরের ঘরে ।

আইজ মনে হয় আমার কইলজা হাতির মত বড় হৈয়া গ্যাছে , জিহ্বা দশহাত লম্বা । চাচি পাশ ফিরাই শুইয়া আছে দেইখা আস্তে কৈরা ভিতরের ঘরে ঢুইকা যাই । খালেদা দেখি তেমন অবাক হয় নাই । ঠোঁটে চুমা দিই । বুলুতে দেখছিলাম । কিন্তু আওয়াজ করন যাইব না । বুড়ির কান খাড়া । বেলাউজের ভিতরে দিয়া হাত দিলেও খালেদা কিছু কয় না । আস্তে কৈরা খালেদারে নিয়া খাটে শুইয়া পড়ি । আস্তে করতে হয় বুড়ির মরার কানের জৈন্য । সারা শইল্যে আমার যে আগুন ইচ্ছা হয় ঝাপাইয়া পড়ি । খালেদা আমার ধনে হাত দেয় । সারা দুইন্যা মনে হয় ভাইঙা পড়তাছে আমার । মাথা ঝিমঝিম কৈরা উঠে । জীবনে এই পরথম কুনো মাইয়ামানুষের হাত পড়ল । মানে ল্যাংটাকালেরডা বাদ দিলে । মিনিটখানেক ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া থাকি । জ্ঞান ফিরা আইলে লুঙিডা খুইলা খালেদার শাড়ি উপরে তুলি । আন্ধার ঘরে কিচ্ছু দেখা যাইতাছে না । জায়গাই খুইজা পাইনা আমি । এদিক সেদিক কতক্ষণ গুতাইয়া জায়গা খুইজা পাইলাম । ঢুকানির সাথে সাথে পুরা শইল ভাইঙা আইল যেন । চোক্ষে সইরষাফুলের মত দেখতে লাগলাম । সাথে সাথেই গেল পইড়া । একটু জোরেই বৈলা ফেল্ল খালেদা , ধুর । শ্বাশুড়ি বাইরের ঘর থাইকা ডাকলেন । কিরে বউ কি হৈছে । খালেদা জবাব দিল একটা পইসা পইড়া গেছে খাটের তলে । ও বৈলা শ্বাশুড়ি চুপ কৈরা গেলেন । চুরের মত লুঙি পরি আমি । খালেদা ঠোঁটের কোনায় একটা বেঁকা হাসি দিল । আমার মর্দামির অহংকার গৌরব সব কাঁচের মত ভাইঙা আকাশ থাইকা শইল্যে পড়ল যেন । বুড়া লোমপড়া কুত্তার মত নিচের দিকে চাইয়া আমি ঘর থাইকা বাইর হৈয়া গেলাম ।চৌকাঠে খাইলাম বাড়ি । খালেদার শ্বাশুড়ি আবার ডাক দিয়া উঠলেন কেডারে বউ । পিছন থাইকা খালেদার জবাব শুনি । ঐ আশফাকগো কুত্তাডা । হেহ, ছু, ছু ।

আকাশ ভাইঙা মাথায় পড়লেও মনে অয় এত খারাপ লাগত না । আর কুনো বাড়িতে যাওনের মত মনের অবস্থা নাই । আল্লাহপাক কি শাস্তি দিল আমারে এইডা । আমি কি মাউরা , হিজড়া । জীবনে ভাগ্যের পুন্দানিতো কম খাইলাম না । এই কি বাকি আছিল খালি । লুকজনের বাড়ী বাড়ী গিয়া বাকীর ট্যাকা উসুল করি আমি । আল্লাহ কি আমার উপর বাকি থাকা পুন্দানি উসুল করেন ? জীবনের পাপের কথা ভাবি । মোন্তাজির আর আমি যেই কাম করছি, আল্লার আরশ কাইপা উঠে শুনছি সেই কামে । সেই পাপের ফল কি এইডা । সোজা দোকানে গিয়া বাকীর খাতাডা রাইখা রেললাইনে গিয়া বসি । জন্মের পর থাইকা দেইখা আইতাছি এই রেললাইন । এখনো বিরক্তি আসে নাই । এখনো মন খারাপ হৈলে সোজা অইন্য দুনিয়াত চৈলা যাওয়া রেললাইনডার দিকে তাকাইয়া থাকি । ইচ্ছা করতাছিল একডা টেরেন আসুক , উঠমু না । এই জীবন টাইন্যা রাইখা আর কিছু পাওনের আশা নাই । মনের মইধ্যে খালি খুঁজতে থাকি কি হৈল কি হৈল । জীবনের হিসটরি ঘাটি । কখনো কি বুঝছিলাম , কুনো ঘটনাই কি নাই যেইডা দেইখা বুঝা যাইত আমি মাউরা , আমি হিজরা । আয়েশার কথা মনে হয় । ঐ ঘটনাতে কি আমার বুঝন দরকার আছিল ? জবাব পাইনা । জীবনে বুলু দেখছি কত । কিন্তু শিখিতো নাই কিচ্ছু । হাত মারা শিখাইছিল খুরশিদ । খুরশিদ শিখছিল অর এক খালাত ভাইয়ের কাছ থাইকা ।

রেলরাস্তার পাশ দিয়া কত মানুষ হাইটা যায় । কত বেদ্বীন লুকজন । চ্যাংরা পুলাপাইন । জিন্সের প্যান্ট পইড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে হাইটা যাইতাছে । আজ শুক্কুরবার দিন । হেইদিকে কুনো খেয়াল নাই । দেইখাই বুঝা যায় ফেনী যাইতাছে সিনেমা দেখনের লাইগা । রুজার দিন । অগো জীবনে ঘটাইতে পারে না আল্লাহ এই জিনিস ? আমার জীবনে কেন । ভাবি আর খালেদার বেঁকা হাসিডার কতা মনে হয় । দুইন্যাডা খালি খালি লাগা শুরু করে । নিজের জীবনরে একটা বালছাল মনে হওন শুরু করে । জুয়ান পুলা রুজার দিনে সিরকেট টানতে টানতে যাইতাছে । অর জীবনে হয়না ক্যান এইরকম কিছু । খালি আমার জীবনে ক্যান ? দুইডা দশবার বছরের মাইয়া হাইটা যায় রেলের পাশ দিয়া । হাসাহাসি করতে করতে । ওগো হাসিও আমার খালেদার হাসির মত লাগে । নাকি ওরা আমারে দেইখা হাসে ।

এক বুড়া ছালাম দেয় । সালামালাইকুম হুজুর । মসজিদে যাইবেন না ? আইজকা জুম্মাবার , খোতবা দেওল লাগবো না ? ভুইলাই গেছিলাম আমি হেই কথা । গোছল এখন করন যাইবো না । সকালে একবার করছি । আমি নতুন বিয়া করা লুক না । আমারে দিনে দুইবার গোসল করতে দেখলে পাব্লিক উল্টাপাল্টা মনে করব । পাব্লিকের মনের মইধ্যে খালি বিষ । খালি কুচিন্তা । উপরের দিকে তাকাইয়া একটা মেঘ দেইখা মনে হয় ঐটা খালেদার বেঁকা হাসি দেয়া মুখের মত । আবার খুতবার কথা ভুইলা যাই । আবার দুইন্যা খালি খালি লাগে । রেলরাস্তা কাঁপা শুরু করে তিরতির কইরা । টেরেন আইতাছে । মনে হয় বইসাই থাকি ।

অত সাহস হয় না । উইঠা মসজিদের দিকে হাঁটতে থাকি । মনে মনে আইজকার খোতবার বিষয় নিয়া ভাবতে থাকি । কি কওন যায় । আরবীডাতো ঠিক করাই আছে সারাবচ্ছরেরডা । তার আগে বাংলা খোতবাতো দেওন লাগবো । কি কওন যায় আইজ ?
--------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৯ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×