আমাদের এই ঢাকা শহরে সকল ভদ্র, জ্ঞানী, বিভিন্ন বিষয়ের বিশেজ্ঞগ লোকের অবস্থান। আমরা অনেকেই প্রকৃতিকে বুঝি, অসম্ভব যুক্তি তর্কের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকৃতি প্রতি ভালবাসার প্রমাণ দিতে চাই। কিন্তু তারপরও আমার প্রকৃতির থেকে কেমন যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। সকল উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোতে প্রকৃতিকে কাগজে কলমে আর মুখে মুখে প্রাধান্য দিয়ে করা হলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তা দেওয়া হচ্ছে না। যেমন কয়েকদিন আগে পূবাঞ্চল যে শহর গড়ে ওঠছে তা দেখতে গিয়েছিলাম। দেখলাম হাজার হাজার গাছ, ছোট অসংখ্য টিলা দানব আকারে একটি গাড়ি দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে। খাল জলাধারগুলো ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু কয়েক বছর আগেও এই পূবাঞ্চল এর অনেক অংশ ছিল বক গ্রামের মত হাজার হাজার বক ছিল। উন্নয়নের নামে কতৃপক্ষ যা করছে তা কোনভাবেই উন্নয়ন বলা যায় না। হয়ত আজ থেকে বিশ বছর পর পূবাচঞ্চল একটি প্রকৃতি শূণ্য শহর হয়ে ওঠবে। কিন্তু একটু বিশেষ দৃষ্টি দিলে প্রকৃতির অবস্থান বজায় রাখা সম্ভব।
ঢাকায় এসে বাংলাদেশের বিপন্ন ব্ন্যপ্রাণী বিষয়ক আইইউসিএন এর বইটিতে খুঁজে দেখলাম যে বিপন্ন ব্ন্যপ্রাণীর তালিকায় এখনও এই পাখিটির নাম স্থান হয়নি। নিশ্চয় এটি ভাল সংবাদ। তবে যেভাবে জমিতে সার, কীট নাশক ব্যবহার, বন জঙ্গল ধ্বংসসহ হচ্ছে হয়ত আমাদের পরিচিত এই পাখিটির নাম উঠে যাবে বিপন্ন পাখির তালিকায়।
তবুও আশায় থাকতে চাই অনেক হারিয়েছি আমরা আর হারাতে চাই না। বিশ্বাস করি পরিকল্পনাবিদরা পরিকল্পনা করবে প্রকৃতির সাথে সহবস্থান এই রকম বিশ্বাসকে ধারন করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮