এক্কেবারে জুতার বাড়ি । এছাড়া একজন ইরাকীর হয়তো আর কিইবা করার ছিল । ইরাকী জনগন যা হারিয়ে এই এক জুতার বারি দিয়ে কি তা ফিরে পাওয়া সম্ভব ?? বোধকরি সকল ইরাকীও জানে এই জুতার বারি তাদের হারানো কিছুই ফেরত দেবে না । স্রেফ হয়তো একটু ক্ষোভ প্রশমিত ছাড়া ।
সারা বিশ্বে তোলপাড় করা ঘটনা । হয়তো ক'য়দিন পরেই সেই জুতার খোজ শুরু হবে , সেই জুতার আত্মকাহিনী সারা বিশ্বে হট কেক এর মতোন সেল হবে । জুতার প্রস্তুতকারককে নিয়ে মাতামাতি আর সম্ভব হলে সেই জুতা কোন পশুর চামড়ায় তৈরী হয়েছিল তারও খোজ নেয়া হবে । কিন্তু এতো কিছু হলেও ইরাকীরা কি তাদের হৃত স্বাধীনতা ফিরে পাবে ?? প্রশ্নটা উত্তর কিন্তু একটাই এতো সহজে না ।
মুনতাজের আল জায়েদী-র ভবিষ্যত কি তা ইরাকী নিয়োজিত খোদ মার্কিন চীফ নাকি জানেন না । নপুংশুক বর্তমান ইরাকী সরকারও হয়তো মুনতাজের আল জায়েদীর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত নয় , যতো চিন্তিত তাদের নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে । মুনতাজের আল জায়েদী কাণ্ডে তার লজ্জিত বড় ভাইদের কাছে, লজ্জায় দুঃখে তারা হয়তো বুশের জুতা ধরে বসে থাকবে । আর এমন ধিক্কারের পরের মুহুর্তে নির্লজ্জ বুশের উক্তি, আমি কিছু মনে করি নাই । আর সেই নিলর্জ্জতাকে কূটনৈতিক কূটচালে রুপান্তর করলেন কন্ডলিসা .... একজন ইরাকী জুতা মারিয়া প্রমান করিল যে ইরাকীরা কতটা স্বাধীন । যেন ঠিক যেভাবে আমাদের কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই ।
বেশ ক'দিন এবিষয় নিয়ে সারা বিশ্ব মাতামাতি করবে, সকৌশলে পাবলিক এর আগ্রহের বিষয় হয়তো দাড়িয়ে যাবে মুনতাজের আল জায়েদী নয়, মুনতাজের আল জায়েদী-র জুতও জোড়া । সেই জুতার কাহিনী নিয়ে বিশ্বে চলবে বেশ তোলপাড়, জুতা নিয়ে বই, সিনেমা চলবে হট কেকের মতন আর একজন মুনতাজের আল জায়েদী কালের গর্ভে হারিয়ে যাবেন । বুকে একজন চে নিয়ে বেড়ে ওঠা মুনতাজের আল জায়েদী-র এই কর্মকাণ্ড শিষ্টাচারের বর্হিভূত হিসেবে গণ্য হকে কিংবা তার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে । কিন্তু সারা বিশ্বের মানুষ কি মুনতাজের আল জায়েদী -র বুকে জমে থাকা পুরো ইরাকারে জনগনের জমে থাকা ক্ষোভের এই সামান্য প্রকাশ কি অন্য ভাবে ভাবাবে না ??