“পাবলিক ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে মা-বাবা খুব কষ্ট পেয়েছিল। এখন আমি আমার মা-বাবা কে বলি, দেখ ভার্সিটিতে টিকলে আমার অবস্থা এই রকম হত, আল্লাহ্র কাছে রাখো শুকরিয়া আমি মোটামুটি ভালো আছি এই সব শিক্ষিত কুত্তাদের তুলনায়।“
জাবি ছাত্রলীগের রাম দা মহড়া দেখে আবেগপ্লুত প্রাইভেট ভার্সিটি পড়ুয়া এক ভদ্রলোকের উক্তি!
উনার কনফিডেন্স লেভেল দেখে জ্ঞান হারাইতে ইচ্ছা করতেছে! উনি নিশ্চিৎ যে পাবলিক ভার্সিটিতে সব শিক্ষিত কুত্তা থাকে। প্রাইভেটে পড়ে উনি কুত্তা না হয়ে যে ভদ্র মানুষ হয়েছেন এ জন্য আল্লাহ্র দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়াও জানিয়েছেন!
সত্যিই আমার আফসোস হচ্ছে- “ইস! কেন যে প্রাইভেট ভার্সিটিতে চান্স পেলাম না!”
আরে প্রাইভেট জনাব, আপনাকে বলছি। আরে না, ধমকাবো না। শুনুন, কমপ্ল্যান অথবা হরলিক্স ডেইলি তিনবেলা করে খাবেন। আপনার বয়স বেড়েছে বুদ্ধি বাড়েনি। আরে মিস্টার এই রামদাওয়ালারা কোথায় নেই? শুধু আপনার স্বর্গতুল্য প্রাইভেট ভার্সিটিটি ছাড়া সব খানেই আছে। আপনি যে বাড়িতে থাকেন খোঁজ নিয়ে দেখুন হয়তোবা তার পাশেও আছে। নন্দলাল হয়ে থাকবেন না। আপনি তো বাংলাদেশেই থাকেন তাই না? এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সমস্যা, পাবলিক ভার্সিটির একার কোন সমস্যা নয়।
কিসের মধ্যে কি? পান্তা ভাতে ঘী! কারে কি বুঝাই। বলছি আগে প্রাইভেট আর পাবলিকের পার্থক্যটাই বোঝেন, তারপর না হয় এসব নিয়ে ভাববেন!