somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি আত্মসমর্পণের দলিল ও ব্যাক্তিগত কিছু প্রসঙ্গ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আত্মসমর্পণের দলিল।
১৯৭১ সালের ষোলই ডিসেম্বর। বিকাল ৫টা। রমনা রেসকোর্স স্বাক্ষরিত হয় আত্মসমর্পণের এক দলিল। যে দলিলের পিছনে ছিল- আক্ষরিক অর্থেই এক নদী রক্ত।

আজও আমার মনে আছে। ছোট একটি ছইঅলা নৌকা। রোদ। নদীর ঝিকিমিকি জল। ছইয়ের নিচে ক’টা উদ্বিগ্ন মুখ। খিদে পেলে নাবিস্কো বিসকিট। নীল রঙের প্লাসটিকের গ্লাসে পানি। নদীতে ভাসমান লাশ। লাশের ওপর ক’টা কাক। ঠোকরাচ্ছে সে লাশ।

আমার মা আমার চোখ ঢেকে দিচ্ছে।

১৯৭১। তখন আমার বয়স চার।’৭১ সালের কথা আমার বিশেষ ভাবে মনে আছে। অথচ ’৭২ বা ’৭৩ সালের কথা সেভাবে মনে নেই। এর কারণ কি? যুদ্ধের বছরটা নিয়ে পরে এত আলোচনা হয়েছে যে-মনে একটা ছবি গেঁথে গেছে।

১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষের দিকটায় ঢাকা শহরটা মাংসপোড়া গন্ধ আর কালো ধোঁওয়ায় ঢেকে যাচ্ছিল। আব্বা ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা সে সময় দাদাবাড়ি যেতে সদরঘাট থেকে লঞ্চে উঠতাম। এপ্রিলের শেষের দিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গিসল কিনা বলতে পারি না-আমরা ছইঅলা ছোট নৌকায় উঠলাম।

আমাদের সদরঘাট পৌঁছে দিয়েছিল আমার ছোটমামা। ছোট মামা এখন বিরাট পন্ডিত। অ্যামাজান ডটকমে ছোট মামার বই বিক্রি হয়। অবশ্য ইঞ্জিনীয়ারিং-এর টেক্স। তো মামার সঙ্গে দিন কয়েক আগে একটা ব্যাপারে আমার সামান্য মনমালিন্য হল। পরে আবার ঠিক হয়ে গেল। মামা বলল, কি রে মাইন্ড করছিস নাকি?
আমি বললাম, না।
সত্যি? পন্ডিতেরা কমবেশি সংশয়ী হয়।
আমি বললাম, হ্যাঁ। কারণ হিসেবে বললাম, সেভেনটি ওয়ানে আপনার লাল রঙের একটা ভক্সওয়াগেন ছিল। আপনি আমাদের সদরঘাট পৌঁছে দিয়েছিলেন। ঘাটে পাকিস্থানী আর্মি গিজগিজ করছিল।
মামা ইংরেজীতে বললেন, তোর ঐতিহাসিকের মন।
মনে মনে বললাম, হবে না কেন- একাত্তরে আমি সদরঘাটে পাকিস্থানী আর্মির ভিড় দেখেছি। নদীতে লাশের ওপর কাকের ঠোকরানি দেখেছি ...

ধনাগোদা নদীটা চাঁদপুরে কাছে মেঘনায় পড়েছে। তো, ধনাগোদা পাড়ে আমরা যে লঞ্চঘাটে নামতাম তার নাম নায়ের গাঁও বাজার। আমাদের গ্রামটা ধনাগোদা নদীর তীর থেকে এই মাইল আড়াই পুবে। সে পথে এখন রিক্সা চললেও ২০/২২ বছর আগে নৌকাই ছিল ভরসা। নায়ের গাঁও বাজারের পিছন ছিল খাল। খালের ঘাটে ছিল নৌকার ভিড়।

আমাদের গ্রামের নাম বারো গাঁ। বাড়ির নাম পাটারি বাড়ি। আসলে পাটোয়ারি বাড়ি। অনেকেই মনে করে পাটোয়ারিরা হল পাটের কারবারি। আসলে ঘটনা সেরকম নয়। পাটোয়ারিরা ছিল মুঘল আমলের হিসাব রক্ষক। পরে জেনেছি।

যাহোক। উঠান ঘেরা টিনের বাড়ি। পিছনে আবার উঠান, অবশ্য ছোট, ঢেঁকি ঘর, লাউমাচা, ক্ষিরা ক্ষেত, গাব গাছ, কালো পানির পানা পুকুর। ঘাটটা তালের গুঁড়ি। ওপাশে আবার খাল। খালে কচুরি পানা। খাল পেরিয়ে ধানের ক্ষেত। আমার দাদা ফজর আলী পাটারির তিন কানি ধানের ক্ষেত।
চাষবাস করেন আমার মেজ চাচা। মেজ চাচার নাম কেরামত আলী পাটারি। আমার বাপ-চাচারা সবাই চিটাগাঙে পড়াশোনা করেছেন।
অবশ্য কেরামত চাচার ভাগ্যে বিদ্যার্জন জোটেনি।
কেরামত চাচা চিটাগাঙে পড়তে গেলে ফজর আলী পাটারির কানি কানি সম্পদ রক্ষা করবে কে?

এক বিকেলে উঠানে পিঁড়ির ওপর বসে আছি।
জেঠি আম্মা (কেরামত চাচার স্ত্রী) মাছ কুটছেন। মাঝারি সাইজের বোয়াল। বসে থেকে আমি মাছ কুটা দেখছি। বেয়ালের পেট থেকে বেরুল একটা ছোট লালচে সিঙ মাছ। আশ্চর্য! আমি অবাক
হঠাৎ খালপাড় থেকে কেরামত চাচার চিৎকার। হেরা আইসে, তোরা বাইর হ।হেরা আইসে, তোরা বাইর হ।
সবাই বুঝল পাকিস্থানী আর্মি। চুলায় আগুন ছিল। তাতে পানি ঢেলে কে কোন্ দিকে লুকাল।
আমি পুকুরপাড়ে দৌড়ে গেলাম। দলবেধে কারা যেন আসছে। অনেক লোক। খেয়াল করে দেখি। বড় চাচা, মেজো চাচা, চাচী, তাদের ছেলেমেয়ে। সবাই চট্টগ্রাম থাকে। সেখান থেকেই এসেছে।
পাটারি বাড়িতে হুল্লোড় পড়ে গেল। যেন যুদ্ধ নয় ঈদ!
আমার ঈদের আনন্দ তখন আরও গাঢ়। কেননা, ততদিনে আমার পুব পাড়ার এক তরুনের সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেছে। আমি তাকে রেখা কাকা বলে ডাকি। রেখা কাকা আমায় ভীষন আদর করত।
কোনও কোনও বিকেলে রেখা কাকার সঙ্গে চলে যেতাম পুব পাড়ার বিশাল ফাঁকা মাঠে। বিশাল সেই মাঠের ওপরের আকাশের যে কী রং ছিল আজ আর তা আমার মনে নেই।
রেখা কাকার হাতে নারকেলের মালা। তাতে কালো রঙের শক্ত সূতা জড়ানো।
আকাশে প্রকান্ড এক ঘুড়ি।
সেই বোঁ বোঁ আওয়াজ আজও শুনতে পাই।
সময়টা যুদ্ধের। অথচ-

পাটরি বাড়ি ভরতি লোক। অনেকটা আকস্মিক সম্মেলন। সময় সুখেই কাটছিল। তবে পাকবাহিনীর আক্রমনের আশঙ্কাও ছিল।
মোহনপুরে নাকি বাজার পুড়িয়ে দিয়েছে। আশ্বিনপুরের এক বাড়িরই অষ্টাশি জনকে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছে।
উঠানে পাটি পেতে সন্ধ্যা বেলায় সবাই বসতাম । স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনতাম। কিংবা বি বি সি।

কেরামত চাচা শান্তিকমিটির মেম্বার হয়েছেন।
বাড়ির সুখশান্তি বজায় রাখার জন্যই নাকি।
খুব বেশি আপত্তি ওঠেনি বলেই মনে হল।

মুক্তি যোদ্ধারা গভীর রাত্রে আসত।
নৌকায়। আমার মায়ের কাছে আসত। আমার মা ছিলেন আলোকিত সত্তা। ৬১ সালে ইডেন কলেজে আই এ পড়ার সময় নাটক করত মা। অপরকে আপন করে নিতে পারত মা মুহূর্তেই। মুক্তিযোদ্ধারা সব আমার ফুপাত ভাই ও তাদের গ্রামের বন্ধুরা। সবাই আমার আম্মার ভীষন ভক্ত। আমার মা আর জেটিম্মা ওদের খাওয়াত। মায়ের সঙ্গে ফিসফিস করে কী সব কথা হত মুক্তিযোদ্ধাদের । অন্যরা তখন ঘুমাত। বিশেষ করে পুরুষেরা। কেরামত চাচা শান্তি কমিটির মেম্বার হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা কেরামত চাচাকে ধরে নিয়ে যেতে চায়।
জবাই করবে।
পরে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
মায়া বশত ছেড়ে দিয়েছে।
আপন মামাকে জবাই করতে পারেনি ভাগ্নেরা!

জুন মাসে আমার এক চাচাতো বোন হল।
সংগ্রামের বছর বলেই সবাই উৎসাহভরে সে মেয়ের নাম রাখল ‘সংগ্রামী’।

২০০০ সাল। সংগ্রামী এফিডেভিড করে নাম বদলে ফেললো। সংগ্রামী নামটা নাকি চলে না। মানে, ভালো শোনায় না। সংগ্রামীর ভালো নাম ছিল দিলশাদ জাহান। ওই নামই চূড়ান্ত হল।

পরের বছরই বি এন পি -জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছিল।

আমার ৭১ সালের কথা বিশেষ ভাবে মনে আছে। অথচ ’৭২ বা ’৭৩ সালের কথা সেভাবে মনে নেই।এর কারণ কি? যুদ্ধের বছরটা নিয়ে পরে এত আলোচনা হয়েছে যে-মনে একটা ছবি গেঁথে গেছে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি আমরা ঢাকা ফিরে আসি। ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্তের কারণ জানি না। রেখা কাকা আমাদের সঙ্গে এল। আমাদের খুশি দেখে কে। এত গল্প জানত রেখা কাকা।

সদরঘাট থেকে ঘোড়াগাড়ি করে শান্তিনগর ফেরাটা মনে আছে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পশ্চিমে আমাদের বাড়ি। বিপদজনক এলাকা। আমরা বাসা বদলালাম। সেই বাড়িটা ছিল এখনকার বেলি রোডের একটা গলিতে। সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের একেবারে গা ঘেঁষে। এক তলা বাড়ি। বেশ বড় বড় রুম। আর কেমন নিঝুম। কেমন সোঁদা সোঁদা গন্ধ। দিনের বেলায় কেমন অন্ধকার অন্ধকার।

মনে আছে, আমরা ভাইবোনেরা পানিতে ডানো গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে খেতাম। মেঝেতে শুতাম। চিৎকার চেঁচামেচি একেবারে নিষেধ। তারপরও রেখা কাকা ফিসফিস করে রুপকথার গল্প শোনাত।

অনেক পরে জেনেছি। আমাদের বাড়ির পাশেই থাকতেন সেলিনা পারভীন। ষাটের দশকের প্রথিতযশা লেখিকা। বুদ্ধিজীবি বলেই খুন করতে মধ্য-ডিসেম্বরে আর্মিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। রাতে। আমি হয়তো ঘুমিয়ে ছিলাম ...

তারপর রায়ের বাজার বধ্যভূমি ...

একরাতের কথা মনে আছে। মেঝেতে বিছানা পেতে শুয়ে আছি। কেমন অন্ধকার। আর গাঢ় নির্জনতা। তখনকার ডিসেম্বরের শীত। অনেকক্ষন দরজায় ঠক ঠকঠক ঠক শব্দ।
আমরা মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। ওরা দরজা ভাঙ্গেনি। হয়তো মানুষ খুন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।

১৬ ডিসেম্বর। আজও মনে আছে। দিনটি ছিল রোদেলা । শীত শীত। আর নির্জন।
দুপুর তিনটের দিকে শুনলাম: জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলা
জয় বাংলা
জয় বাংলা
জয় বাংলা
জয় বাংলা ...................................

আম্মার মুখটা হাসিতে ভরে গেল। আব্বারও।
আমরা দরজার বাইরে এসে দাঁড়ালাম।
বেইলি রোডের রাস্তায় মোটরসাইকেলের মিছিল। ওরাই চিৎকার করছে।
শান্তিরগর মোড় থেকেও ভেসে আসছিল জয়বাংলা ধ্বনি।
আব্বা রেখা কাকাকে বললেন, যা তো, দেইখা আয় কী হইচে।
মিনিট দশেক পর রেখা কাকা লাফাতে লাফাতে ফিরে এসে বলল, দেশ স্বাধীন হইছে দেশ স্বাধীন হইছে দেশ স্বাধীন হইছে দেশ স্বাধীন হইছে দেশ স্বাধীন হইছে দেশ স্বাধীন হইছে ...

আমি তখন কী বুঝেছিলাম মনে নেই। আমি তো স্বাধীনই ছিলাম। নৌকা করে দাদাবাড়ি বেড়িয়ে এলাম। আমি তখনও জানিনি আর ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে একটি আত্মসমর্পনের দলিল, যে দলিলের পিছরে রয়েছে আক্ষরিক অর্থেই এক নদী রক্ত।

তখনও জানিনি-আজ জেনেছি-

At the time of surrender only a few countries had provided diplomatic recognition to the new nation. Bangladesh sought admission in the UN with most voting in its favor, but China vetoed this as Pakistan was its key ally. However, the United States was one of the last nations to accord Bangladesh recognition. To ensure a smooth transition, in 1972 the Simla Agreement was signed between India and Pakistan. The treaty ensured that Pakistan recognized the independence of Bangladesh in exchange for the return of the Pakistani PoWs. India treated all the PoWs in strict accordance with the Geneva Convention, rule 1925[citations. It released more than 90,000 Pakistani PoWs in five months.




সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
১৩টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×