তার শরীলের চামড়া গুলো হারের ফাকে ফাকে ডুকে গেছে।চোখের নিচে কালো ছানি পড়েছে।চেহারাটা বিমুর্ষ যে কেউ দেখে ঘৃনা ছাড়া কিছূ দেয়না
তাকে।সারা দিন দরজায় হেলান দিয়ে বসে থাকে ।কখনো কাঁদে আবার
কখনো হাসে এ যেন রোদ বৃষ্টির খেলা।রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে এমন অপরিচিত
কোন মানুষ দেখলে বলে ।আমার বাবুকে দেেখছ তোমারা কেউ..বলে হু ...হু করে
কাঁদতে থাকে। ওকে বল তার তন্দ্রা এখনো ......................।তন্দ্রা এক
সময় আবল তাবল বলতে বলতে তার মনের নিবিড় হাঁহাকার গুলো ।এভাবে প্রকাশ করে..........................
মেয়েটা হিন্দু ভালবেসে ছিল মুসলিম ছেলে বাবু কে।চারদিকে পাক সেনার আক্রমনে ভারতে যাচ্ছে তন্দ্রার
মা বাবা ভাই বোন শেষ আশ্রয় জন্য।সে যায় নি ,অন্যকে বলে তোমরা যাচ্ছ কোথাই ?এই মাঠির প্রতি তোমাদের মায়া নেই ,এই মায়ের দুধ তোমরা খাও নি। আমি যাব না !!!! তার পর বাবুর বাবা তন্দ্রা কে বলল ও মা
তুমি আমার বুকে এসো ।তার পর মুসলিম রীতি অনুসারে বিবাহ হল কিন্তূ
বধু সেজে অপেক্ষায় পর অপেক্ষা তার তন্দ্রা বাসর ঘরে কাঁদতে থাকে তখন রাত ১ঃ৪৫মিঃ তন্দ্রা কান্না শুধু বাবু ভালবাসার জন্য নয়।তার চোখ
দিয়ে আগুনের ফুলকি ঝড়ছে ।কখন সে বাবু কে ?বলবে ওগো যাও না
এক বার আমাদের বাংলা মায়ের দুধের মুল্যটা দিয়ে এসো।ফিরে আসলে তোমার চরনে একটু ঠাই নেব। তা না হলে ফুলে ফুলে তোমায় বর্রন করব।
বংলার প্রত্যেক '' মা'' আচল দিয়ে তার জল মুছবে।তখন তোমায় খুজবে!বুজবে তখন বুবজে ।ঠিক তখন বাবু ঘরে আসল হাতে ফুলের মালার বদলে বন্দুক ।তন্দ্রা কাছে একটু দাড়াল ,আমি যাই । তন্দ্রা বলল কখন ফিরবে ..............ঊওর দিল বিজয়ের দিনে। রাজকারদের সহযোগিতায় বাবুর বাবা কে?পাকসেনারা গুলি করে হত্যা করল । গ্রামের সকল ঘরে আগুন লাগাল বৃষ্টির মত গুলি ছুড়ে মানুষ মারল করে রক্তের সাগর হল।
পাক সেনারা ধরে নিয়ে গেল বাবুর বোন ময়না ও তন্দ্রা কে?তােদর ক্যাম্পে ।তাদের অত্যাচার চলাত থাকে ঘন্টায় পর ঘন্টায় ।এক সাগর রক্ত বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হল ।ময়না লোক লজ্জার ভয়ে পানিতে ডুবে মরল।তন্দ্রা বাঁচল ঠিক । স্বাধীন দেশে আজ সেই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে ।তার ঘরের চালের খড় নেই । সকলে তাদের ধিক্কার দেয়। তন্দ্রা অপেক্ষা থাকে বছরের এই দিন ১৬ ডিসেম্বর জন্য । কারন বাবু আসবে এক প্লেট ভাত নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৮