ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টিকেট না পেয়ে ঢাকা মাওয়া হয়ে খুলনা গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় ফেরীর উপর ভরসা না করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে খুব অল্প সময়ে খুলনা পৌছাতে সক্ষম হই। এবং ফেরার পথে ঢাকা খুলনা (আরিচা হয়ে) টিকেট না পেয়ে মাওয়া রুটের গাড়িতে (পর্যটক পরিবহনে) টিকেট কাটি। রাত নয়টায় খুলনা থেকে রওনা হয়ে সময়মত অর্থাৎ রাত ১২ টায় মাওয়া ফেরী ঘাটে পৌছি। পৌছেই চোখ চড়ক গাছ। আমরা ঘাট থেকে প্রায় ৮ কি:মি: দূরে অবস্থান করছি । ঘাটে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি প্রচন্ড কুয়াশায় একটি ফেরী মাঝ পথে আটকা পড়েছে এবং অন্যান্য ফেরী গুলি এজন্য আসতে পারছে না। শুরু হলো অপেক্ষার পালা। অপেক্ষা করতে করতে সকাল হলো, কিন্তু ফেরীর দেখা নেই। একবার ভাবলাম স্পিড বোটে পার হয়ে যে ভাবে হোক ডাকা পৌছে অফিস করি, কিন্তু লাগেজের দিকে তাকিয়ে সে ভাবনা ত্যাগ করে অপেক্ষা করাটাকেই সমীচীন মনে হলো।
অপেক্ষা করতে করতে দুপুর বারোটায় ফেরীর দেখা পেলাম। ফেরী ছাড়তে ছাড়তে সাড়ে বারোটা। আর পার হতে হতে বিকাল চারটা। পার হয়ে যখন সায়েদাবাদ পৌছালাম তখন সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা। সেখানে এস নতুন লড়াই সিএনজি খুঁজে পাওয়া। আধাঘন্টা যুদ্ধ করে যখন একটি সিএনজি পেলাম তারপর রওনা হয়ে বাসায় পৌছাতে রাত সাড়ে সাতটা।
যাক বাবা দীর্ঘ্য সাড়ে বাইশ ঘন্টার যাত্রা শেষ হলো। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো খুলনা টু সায়েদাবাদ গাড়ি চলেছে মাত্র সাড়ে চার ঘন্টা।