somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন সেনা কর্মকর্তা যাকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে নির্ভয়, পেশাদার ও প্রায় হৃদয়হীন করে। সে সৈনিকটিও বাচ্চার মতো হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে শেষ মূহুর্তে এসে পোশাক শ্রমিক শাহীনুরকে আর বাঁচাতে পারল না।

শাহীনুর বেগমকে বাঁচানোর কথা দিয়েছিলেন সেনা সদস্য লেফটেন্যান্ট আশরাফ। কিন্তু উদ্ধার কাজের শেষ পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টায় ধ্বংস্তুপের নিচে আগুন ধরে গেলে মারা যান শাহীনুর বেগম। তাকে বাঁচাতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ঐ কর্মকর্তা।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কংক্রিট চাপা পড়া সত্ত্বেও দেড় বছরের সন্তানকে একটি বার দেখার আশায় দীর্ঘ ৫ দিন বাঁচার লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না শাহীনুররের। উদ্ধার হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই আবারও ভাগ্যের পরিহাসের শিকার হতে হলো তাকে।

ধ্বংসস্তূপের ভেতর রোববার সকাল ৯টায় যে চার জন জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় তাদেরই একজন শাহানা। সকালে চারজন জীবিত থাকলেও দুপুর ২টার মধ্যেই তাদের তিনজন নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

কিন্তু শাহীনুর হাল ছাড়েননি। দাঁতে দাঁতে কামড়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছিলেন তিনি।

সর্বশেষ ৮ জনের উদ্ধারকারী দলের যে সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে তাদের একজন সেনা সদস্য লে. আশরাফ বলেন, "শাহীনুর আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, হ্যান্ডশেকও করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, তার দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বেঁচে থাকার কী আকুল আকুতি তা শাহীনুরের সঙ্গে কথা না বললে বোঝানো যাবে না।"

তিনি আরও বলেন, "কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে রড কাটার সময় আগুন লেগে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমরা তাকে উদ্ধার করতে পারিনি। কারণ আমাদের সঙ্গে ছিল অক্সিজেন। আমি নিজেও সে আগুনে আহত হয়েছি। আগুনের তাপ ছিল প্রচণ্ড। আমরা কোনো রকমে সেখান থেকে বেঁচে আসি।"

এমনি অনেক ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও আটকেপরাদের উদ্ধারে ব্যার্থ হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না, তারা অনেক ক্ষেত্রেই জীনবন বাজি রেখে উদ্ধার তৎপরতা চলিয়েছেন। দিনের পর দিন অবিশ্রান্ত কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আহত হয়েছেন। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিয়েছেন।

জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
একজন সেনা কর্মকর্তা যাকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে নির্ভয়, পেশাদার ও প্রায় হৃদয়হীন করে। সে সৈনিকটিও বাচ্চার মতো হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে শেষ মূহুর্তে এসে পোশাক শ্রমিক শাহীনুরকে আর বাঁচাতে পারল না।

শাহীনুর বেগমকে বাঁচানোর কথা দিয়েছিলেন সেনা সদস্য লেফটেন্যান্ট আশরাফ। কিন্তু উদ্ধার কাজের শেষ পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টায় ধ্বংস্তুপের নিচে আগুন ধরে গেলে মারা যান শাহীনুর বেগম। তাকে বাঁচাতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ঐ কর্মকর্তা।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কংক্রিট চাপা পড়া সত্ত্বেও দেড় বছরের সন্তানকে একটি বার দেখার আশায় দীর্ঘ ৫ দিন বাঁচার লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না শাহীনুররের। উদ্ধার হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই আবারও ভাগ্যের পরিহাসের শিকার হতে হলো তাকে।

ধ্বংসস্তূপের ভেতর রোববার সকাল ৯টায় যে চার জন জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় তাদেরই একজন শাহানা। সকালে চারজন জীবিত থাকলেও দুপুর ২টার মধ্যেই তাদের তিনজন নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

কিন্তু শাহীনুর হাল ছাড়েননি। দাঁতে দাঁতে কামড়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছিলেন তিনি।

সর্বশেষ ৮ জনের উদ্ধারকারী দলের যে সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে তাদের একজন সেনা সদস্য লে. আশরাফ বলেন, "শাহীনুর আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, হ্যান্ডশেকও করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, তার দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বেঁচে থাকার কী আকুল আকুতি তা শাহীনুরের সঙ্গে কথা না বললে বোঝানো যাবে না।"

তিনি আরও বলেন, "কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে রড কাটার সময় আগুন লেগে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমরা তাকে উদ্ধার করতে পারিনি। কারণ আমাদের সঙ্গে ছিল অক্সিজেন। আমি নিজেও সে আগুনে আহত হয়েছি। আগুনের তাপ ছিল প্রচণ্ড। আমরা কোনো রকমে সেখান থেকে বেঁচে আসি।"

এমনি অনেক ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও আটকেপরাদের উদ্ধারে ব্যার্থ হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না, তারা অনেক ক্ষেত্রেই জীনবন বাজি রেখে উদ্ধার তৎপরতা চলিয়েছেন। দিনের পর দিন অবিশ্রান্ত কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আহত হয়েছেন। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিয়েছেন।

জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×