পূর্নাঙ্গ কবিতার বাহিরে ক,খ,গ----রা
--------------------------------------------------------
পূর্নাঙ্গ কবিতার বাহিরে যে কথারা শুইয়ে শেষমেষ হারিয়ে যায় প্রায়ইঃ
(ক)
গতরাতে আমি তার শিশু ছিলাম
গাল বেয়েবেয়ে উপচে পরা দুধে ভিজে তার পুরোন শাড়ি
তার ভেতরের পাখি আকাশে উড়াল দিলে কেউ এসে আমার গাল মুছে দেয়
দুধগন্ধ শাড়ি দিয়ে আমরা সবাই আকাশের জরায়ুতে ঝুলছি
(খ)
এইখানে ভূত থাকে
ভূতদ্বারা চা সিঙ্গারা নুডুলস মিষ্টি ভূনাখিচুরি পরিবেশন হয়
মূল্য পরিশোধের সাথে আপনার চোখ রেখে যান
-------------------সৌজন্যে [চা'রবেলার কানালাপাডাস]
(গ)
দাদরার বয়স প্রায় তিন মাস
তেত্রিশের দাদরাদের কবিতার শরীর কেমন হবে?
ব্যাপারটা ইদানিং আমাকে খুব ভাবাচ্ছে
নিজ বৃত্তের বাইরে রেখেছি
ধীরেধীরে অবাধ্য অর্জূন হৌক
এসে একদিন আমাকে নিবে নাকি বৃত্তের বাসিন্দা হবে এই ভাবনাটিও চলে আসে এবং এটা নিয়েও কথা বলতে পারি আমরা
কেননা;
পোষ্টমর্ডানের মানেটা আমার কাছে এখনো ধোঁয়াটে
(ঘ)
স্বচ্ছ যুক্তির পৃষ্ঠে বুট পরা আবাল যুক্তি,
এবং অবশ্যই তা জলপাই রঙ্গাদের।
আয়ত চোখে জলপাই এর চাষ,
ইজারা দিয়েছি নিজেকে------
চোখে তোমার অভিমানের মেঘ হাঁটে
তুমি বরং বৃষ্টি নামাও বালিশে
আমার চোখে জলপাই রঙ্গা ইনসোমনিয়া-----------
---------------------আজ আমরা আগুনপাখি হবোনা
(ঙ)
ঘটা করে অত সাজবার কি আছে বলতো
আমরা কোথাও নাচতে যাচ্ছিনা
মুখে তোমার কর্পোরেট প্রলেপ
গ্রীবায় প্রীয় তিলটা তো দেখছিনা
(চ)
রাতের স্বপ্নগুলো খুব এলোমেলো
রাতে নারীদেখি তারভেতরে নারি ঐখানে নক্ষত্র
আমার ধারালোদাতঁ দিয়ে তালা খুলি ভেতরে গিয়ে তারা গুনি
হুইসেল বাজিয়ে চলে আসে ময়াল পাতালে কবিতা লিখি
দাপ্তরিক টেবিলে এলোমেলো কাগজপাতি আমাকে দাপ্তরিক কবি বানায়
-----------------------------------
আল্লাইয়ার
১২ই ডিসেঃ
------------------------------------