এখানে ঈদের নামায জামাতে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও পড়তে পারবেন কি পারবেন না তাও কাজ থাকা না থাকা আর সাধারন ছুটির দিন ঈদ না কাজের দিন ঈদ এ ধরনের নানা ফ্যক্টর কাজ করে। আরব দেশে ঈদের নামায় খুব সকালে হয়, প্রায় ভোরের পর পরই বলা যায়। ওখানেও প্রথম দুটো ঈদের নামায মিস করেছি।
গিয়ে দেখি নামায শেষ।
টরন্টোতে নানা দেশিও মসজিদ আছে। বসনিয়ান মস্ক, আলবানিয়ান মস্ক, আরবীয় মস্ক, ভারতীয় গুজরাতী মস্ক, পাকিস্তানী মস্ক, বাংলাদেশী মস্ক, গায়ানীজ মস্ক অর্থাৎ যে দেশ থেকে এসে মুসলমানেরা মসজিদ তৈরী করেছেন ঐ দেশীয় নামানুসারে ঐ মসজিদের একটি অলিখিত নাম হয়ে যায়। প্রায় প্রত্যেক মসজিদে মহিলাদের নামায আদায় করার আলাদা স্থান থাকে। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে গায়ানিজ মস্কে জুম্মা নামাজ পড়তে যেতাম। সেখানে দেখলাম মহিলাদের পুরুষদের দুই তিন কাতার পেছনে নামায করার ব্যবস্থা। তাও কোন পর্দা ছাড়া। বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, ভারতী ও আরবী মসজিদে এটা করা হয় নি। এদের মসজিদে পর্দা আছে।
প্রথম প্রথম সময় ও জায়গা খুজতে খুঁজতেই সময় পার হয়ে যেত। নামায আর আদায় করা হোত না। টোকিও তে ১৯৮৯ সালে কোন মসজিদ না পাওয়ায় কোন আরবী দুতাবাসের আঙ্গিনায় একবার জুমা নামাজ পড়তে হয়েছিল। ঐ সালেই টোকিওতে ঈদের নামায রাস্তায় পড়তে হয়েছিল আর পুলিশ চারদিকে টহল দিচ্ছিল। কারন সম্ভবত সাইড রোড দখল হয়ে গেছিল।
জেনেভাতে এক সপ্তাহ থাকাকালীন জুম্মা নামাজ পড়ার সুযোগ হয়েছিল। নিয়ে গিয়েছিল সুদানী লোকজন যদিও আমার পাশের ডেলিগেট আরবী ছিল। তারা নামাযে যেতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় নি। সেই জেনেভার মসজিদে খুতবা ইংরেজী অনুবাদে এফ এম রেডিও তে টিউন করে শুনতে হয়েছিল। সালটি ছিল ১৯৯৬।
এবারে ঈদের নামায আদায় করতে পেরেছিলাম। গুজরাতী মসজিদ নতুন করেছে। ঐ দিন তাপমাত্রা ছিল শুন্যের নিচে ১০ ডিগ্রি (ডিগৃ)। তুষারপাত হচ্ছিল কিন্তু আগের দিনের মত তুমুল বাতাস ছিল না বলে কিছুটা রক্ষা। এখানে বেশ কিছু মসজিদে জুম্মা বা ঈদের দুই, তিন এমনকি চার জামাত ও হয়ে থাকে।
আমার ভুগল জ্ঞান যদি সঠিক থাকে তা হলে, গুজরাতিরা ভারতের হায়দ্রাবাদের লোক। এদের অনেক মুসলিম অধিবাসী এখানে এসছেন সেই ১৯৪৮ সালে যখন ভারত হায়দ্রাবাদের কিছু এলাকা দখল করে নেয়।
দুটো ছবি ঐ দিনের মসজিদের ওপার থেকে আমার ক্যমেরায় নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৪