চার দলের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করে তা পুস্তিকা আকারে ছেপেছে। শিগগিরই এটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন ইশতেহারে নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় জামায়াত স্ববিরোধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত গত নির্বাচনে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম ধর্মে প্রদত্ত নারীর মর্যাদার কথা বললেও এবার সেখান থেকে ইসলাম প্রদত্ত শব্দ দুটি বাদ দিয়েছে।
৩৯ পৃষ্ঠার ইশতেহারে জামায়াত প্রশাসনিক সংস্কার, প্রতিরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা, দুর্নীতি, নারী, শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে দলীয় কর্মসূচি প্রকাশ করে। তবে এবারের ইশতেহারে গতবার ছিল না এমন দুটি বিষয় সংসদ বিষয়ক সংস্কার ও ইসলামী গবেষণা ও প্রচার নামে দুটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার ব্যাপারে জামায়াত ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রণীত ইশতেহারে বলেছিল, ইসলাম প্রদত্ত নারীর সর্বোচ্চ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের প্রতিভা ও যোগ্যতানুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সর্বত্র নারী নির্যাতন দমন ও নারীর সার্বিক অধিকার সংরক্ষণে অসহায় বিধবাসহ দুস্থ ও আশ্রয়হীন মহিলাদের পুনর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু ২০০৮ সালের ইশতেহারে ইসলাম প্রদত্ত নারীর সর্বোচ্চ মর্যাদা ও অধিকারের জায়গায় নারীর যথার্থ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে... যথাযথ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জমিয়তে ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এ বিষয়ে মন্তব্য করেন, ওদের দিক থেকে ভালোই হয়েছে। কারণ এর আগে তারা গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহু ও আক্বিমুদদীন বাদ দিয়েছে। এখন ইশতেহার থেকে ইসলাম বাদ দিয়েছে। তারা আসলে ইসলামের জন্য রাজনীতি করে না, রাজনীতির ইসলাম করে। তাই যখন প্রয়োজন পড়বে না তখন ইসলাম ছেড়ে দেবে এটাই স্বাভাবিক।
(সূত্র: দৈনিক সমকাল, ৭/১২/২০০৮)