গোটা দুনিয়াব্যাপি যে সংকট চলছে তা থেকে মুক্তি পেতে রাসূল (সাঃ) এর সীরাতের সার্থক অনুসরণ করতে হবে। আর কুরআনের সার্থক অনুসরণের মাধ্যমেই রাসূল (সাঃ) এর সীরাত অনুসরণ করা সম্ভব।রাসূল (সাঃ) এর আদর্শ বলতে আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ কিতাব আর কুরআনকেই বুঝায়। রাসূল (সাঃ) হচ্ছেন কুরআনের জীবন্ত নমুনা। কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ মানব সমাজ ও মানব জাতিকে যে নিদের্শনা দিয়েছেন তা হাতে কলমে বাস্তবায়ন করেছেন রাসূল(সাঃ)।সব আসমানী কিতাবের মূল লক্ষ্য মানুষের সমাজে শান্তি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। সবাই যেন ন্যায় ও ইনসাফ পেতে পারে এ জন্যই আসমানী কিতাব এসেছে।
এখন শ্লোগান উঠেছে নারী পুরুষ সমান করতে হবে। সারা দুনিয়ার পুরুষ মানুষ মিলে কি নারী জাতির মতো শিশু জন্ম দিতে পারবে? আসলে সমান পাওয়ার দাবি প্রাকৃতিক নীতি বিরোধী। যার যা পাওনা তাকে তাই দিতে হবে।গোটা বিশ্ব প্রকৃতি আল্লাহর দেয়া বিধান মেনে চলছে। এ কারণে দুনিয়ায় সর্বত্র ভারসাম্য আছে। আর মানব সমাজের জন্যও আল্লাহর বিধান আছে। এটা যদি মানুষ অনুসরণ করে তাহলে দুনিয়ায় অনাচার দুরাচার, বিশৃংখলা দেখা দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।মানুষের জন্য আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন তা অনুসরণ না করার জন্যই এতো সংঘাত, দাঙ্গা, ফ্যাসাদ।আল্লাহর দেয়া বিধান মানব প্রকৃতির সাথে পরিপূর্ণ সামঞ্জস্যশীল, বাস্তবধর্মী।মিসরী আইন হচ্ছে মানব প্রকৃতির সাথে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ, সর্বোৎকৃষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত। এতে বৃটিশরাও হাত দিতে সাহস পায়নি। কিছু দিন আগে বৃটেনে মুসলমানদের জন্য আহকামে শরীয়াহ অনুমোদনের জন্য পোপ সুপারিশ করেছেন। যার বিরোধিতা করেছে নামধারী কিছু মুসলমান।
রাসূল (সাঃ) যে আদর্শ নিয়ে এসেছেন মানুষের সমাজে সর্বক্ষেত্রে অনুসরণের জন্য বাস্তবসম্মত বিধান। এটা বাস্তবসম্মত বিধান বলে একে প্রচলিত সব বিধি বিধানের ওপর এটাকে কর্তৃত্বের আসনে বসাতে হবে।দুনিয়াব্যাপি আল্লাহর দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। এ আন্দোলন যারা করছে তাদের মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।এ চক্রান্ত শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, গোটা মানবতার বিরুদ্ধে। কেননা আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। একে আড়াল করার ষড়যন্ত্র চলছে।
আল্লাহর দেয়া বিধান হচ্ছে সর্বোত্তম আদর্শ। এটাকে খন্ডিতভাবে মানার কোন সুযোগ নেই। খণ্ডিতভাবে মানাকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।রাষ্ট্র পরিচালনা ও মসজিদে ইমামতির ক্ষেত্রে রাসূল(সাঃ) কিংবা সাহাবায়ে কেরামের নেতৃত্ব আলাদা ছিল না। তাঁর সুন্নতের দাবী হচ্ছে রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব এক হাতে আনতে হবে।ইহুদীবাদী গোষ্ঠি সারা দুনিয়াব্যাপী মুসলমানদের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। তারা জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। ইসলামী শক্তিকে কুৎসিতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তার দেয়া সঠিক ও নির্ভুল পথে চলার তৌফিক দান করুন।আমীন।