somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট ছোট ইচ্ছা আর তা পুরন না হওয়ার কষ্টগুলো...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৃষ্টিশীল মানুষের রোগ নাকি অনিদ্রা আর যারা হাবুগাবু ধরনের মানুষ তাদের নাকি ঘুমের কোনও সমস্যা হয়না...;)...অনেক বছর আগে হুমায়ুন আহমেদের কোন এক বইয়ে পড়েছিলাম একথাটা, পড়ে অনেক হাসলেও মনের ভিতরে কোথায় যেন একটা আনন্দের বান ডেকেছিল...মনে হয়েছিল আহা! আমিও তবে জিনিয়াসদের মাঝে আছি...!

আজকাল আর এসব মনে হয়না...বড় হয়ে গেছি মনে হয়...গভীর রাতে যখন ঘুম আসেনা...আর একজনের পর একজন মেসেঞ্জার কন্ট্যাক্ট বাই দিয়ে যখন ঘুমাতে চলে যায় তখন মনে হয় হাবুগাবুরা[!] কি আনন্দেই না আছে...বালিশে মাথা রাখলেই ঘুম...ইশ! হাহাহাহাহা...গত তিনরাতে ঘুমাতে গেছি ৫টার পরে, [তাও শুয়ে পড়তে হয়েছে ঘাড় ব্যথার জন্য ঘুম এসেছে বলে না...সারাদিন পিসির সামনে বসে থাকলে ঘাড় ব্যথাতো হবেই, আর একটা শাড়িতে কাজ করছি তাও ঘাড় গুজেই...ঘাড়ের আর কি দোষ...] আর উঠেছি সকাল ১১টার পরে...[আজকে উঠেছি ১২টায়!]...উঠার পরে লজ্জা লাগে...সামনে ঈদ আর আমি একটা ধামড়া মেয়ে আম্মুর কোনও সাহায্যই করিনা...

খনিকক্ষন আগে ফেসবুকে আমার এক বান্ধবীর স্ট্যাটাস মেসেজ পড়ে দেখি ওর এক ইউনি ফ্রেন্ডের ৫ বছর বয়েসী ভাই মারা গেছে লিউকোমিয়াতে...খুব মন খারাপ হল...কি জানি এতটুকু বাচ্চাকে আল্লাহ কেন এত তাড়াতাড়ি তুলে নিলেন...অসহায় লাগল...অনেকদিন পর সারাক্ষন বকবক করা আমি অনুভব করলাম, আমার বলার কিছু নাই...সান্তনা যে দিব...দিয়ে কি লাভ?...বান্ধবীকে বললাম ওর কাছে যা, আর গিয়ে পারলে একটুক্ষন ওকে জড়িয়ে ধরে রাখ...একটু উষ্ণতা, এছাড়া আমাদের আর কিইবা দেয়ার আছে...!

আজ আমার ভাবনাগুলো খুব এলোমেলো...একটার পর একটা চিন্তা এসে মনটাকে এলোমেলো করে দিচ্ছে...গুছিয়ে লিখতে পারছিনা বলে যারা পড়ছেন তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি...

জাহাঙ্গীরনগরে থাকতে আমি খুব একটা পছন্দ করিনা...আমাদের স্যারেরা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় এত ক্লাস পরীক্ষা রিপোর্ট আর এসাইনমেন্ট দিয়ে এমন ভোগান্তিতে ফেলে রেখেছেন যে ক্লাস শেষ হওয়া মাত্রই আমরা দুদ্দাড় করে বাসে চড়ে বসি...একটা মুহুর্তও আর ওখানে থাকতে ইচ্ছা করেনা... যতটা সময় আমি জাবিতে থাকি তার মাঝে অনেকটাই আমার যায় নিছক আড্ডাবাজীতে...ক্লাসে যে আমি কিকরি তাতো আগেই দেখেছেন ক্লাসের বাইরের সময় টুকুতে চানাচুড় আর ভেলপুড়ি খাওয়াতে অনেক সময় কাটে...আর সমাজ বিজ্ঞানের সামনের চানাচুড় আর ভেলপুড়ি বেচার দুই মামার সাথেও আমার ব্যাপক খাতির...

আমার খাতির জমাতে বেশি সময় লাগেনা এই ব্যাপারটেতো আছেই...আবার আরেকটা জিনিস হল আমি মোটামুটি এদের লয়াল কাস্টোমার, তাই এক্সট্রা খাতির পেয়েই থাকি...হরহামেশাই...!
একদিন পার্লে জি খেতে খেতে সমাজ বিজ্ঞান পরিষদের সামনে এসে মামাকে তিনি এবং তার ফ্যামিলির সবাই কেমন আছে জিজ্ঞেস করার পর উনি হেসে বললেন, খালা আমার ছোট মাইয়াটা এই বিস্কুট খুব ভালা পায়...তারপর থেকে আমার কাজ ছিল হঠাৎ হঠাৎ পার্লে জির প্যাকেট কিনে এই দুই মামার পিচ্চিদের জন্যে দেয়া [ভেল মামার বাচ্চাও বিস্কুট কুট কুট করে খায়...:)]...এবার এস এস সি এর রেজাল্টের পর ভেল মামা বললেন উনার বড় ছেলে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে শুনে খুশিতো হলামই আবার পরক্ষনেই মনে হল আমার নিজের ভাই সামনের বছর ম্যাট্রিক দিবে সেইন্ট জোসেফ থেকে ওর পিছনে যে খরচ করা হয় তার ছিটেফোটাও ভেল মামা তার ছেলের জন্য করতে পারেনা, আমার ভাই যখন এ+ পাবে...[ইনশাল্লাহ!] তখন আমার এই পাতানো মামাতো ভাইটা [ ভেল মামার ছেলে] হয়তোবা টাকার অভাবে ভালো কলেজে পড়তে না পারার দুঃখে কাতরাবে...[কি লিখছি জানিনা...চিন্তাগুলা খুব এলোমেলো...]
আমার একটা মানত ছিল যে কিছু টাকা আমি গরিব কাউকে দিব...ভেবেছিলাম সামনে ঈদ তাই এই দুই মামাকে কিছু টাকা দিয়ে বলবো যেন তাদের বাচ্চাদের জন্য কিছু কিনে দেয়...দিতে পারিনি...লজ্জা লেগেছে...যদি তাঁরা ভাবেন আমি ভিক্ষা দিচ্ছি...আমি উনার বাচ্চাদের জন্য বিস্কিট কিনে নিয়ে যাবার পরে আমার থেকে ইনারা টাকা নিতে চাননাই...উনাদের আমি ছোট করি কিভাবে...

ধুর...যা ভাবছি তার কিছুই লিখতে পারছিনা...আরও আবোল তাবোল লেখার আগে এখানেই বন্ধ করা উচিত...এর চেয়ে বরং আরও কিছু ছবি পেয়েছি সেগুলা পোস্টাই...

পিচ্চিটার মৃত্যুতে আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি...বাচ্চাটাকে কখনও দেখিনাই তারপরেও কান্না পাচ্ছে...আমি নিজেকে বুঝিনা...আমি এত আজব কেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×