....তার পর আর কিছুই মনে ছিলনা।প্রথমে ভেবেছিলাম খুব কষ্টে যাবে বাকি দিনগুলি,কিন্তু নাহ্ ,তেমন কষ্ট হয়নি।আমিও মনে হয় হাঁসের মত,সারা দিন পানিতে "ডুবাডুবি খেলা" খেললাম,পানি থেকে উঠে গা ঝাড়া দিলাম,ব্যাস সব পানি ঝরে পড়ল দেহ থেকে।
এই চার লাইনের একটা চড়া লিখেছি,শুনবে.....
"আষাঢ়-শ্রাবণ চোখ ভেজালো,
তবু মন ভেজাতে পারলো না।
আমার মরা ডালের ফুল গুলি,
দমকা হাওয়ায়ও ঝরলো না।"
জানো,আমার সময় ভালই কেটে যাচ্ছে।মাদের বাড়ির পাশে যে শ্যাওলা ধরা ভাঙ্গা বাড়িটা ছিল,সে বাড়িতে একটা লোককে ইদানিং দেখা যাচ্ছে।ব্যাটা মনে হয় ওখানেই থাকে।মানুষটা পাগলের মত নিজের সাথে নিজেই কথা বলে,আর সারাক্ষণ দার্শনিকদের মত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।আমি কৌতুহল বশত লোকটারে একদিন বলেই ফেললাম, "জনাব,৩ ঘন্টা ধরে হাঁ... করে আকাশের দিকে চেয়ে কি দেখছেন?"
কোন উত্তর না দিয়ে মানুষটা পাথরের মুর্তির মত দাড়িয়ে রইল।তার পর থেকে আমি উনারে অনুসরণ করতে শুরু করলাম।আমি এখন রোজ আকাশের দিকে চেয়ে থাকি।প্রথম দিকে কয়েকদিন প্রচন্ড মাথা ব্যথা করেছিল,কিন্তু এখন ঘন্টার পর ঘন্টা থাকিয়ে থাকতে পারি।গত কালতো ৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট একটানা আকাশ দেখেছি,মন্দ লাগেনি।
সবাই একরকম হয়না।আমাকে সাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য তুমার চেষ্টায় কোন কমতি ছিলনা।তুমি আমার খুব কাছের একজন ছিলে,এখনো আছো,, ,,,,,,,,,,
জানো,আমার পৃথিবীর সবাই আমাকে একটা নৌকায় চাপিয়ে দিয়ে এক অচেনা সাগরের মোহনায় ছেড়ে দিয়েছিল। "উপদেশ,আদেশ আর ঘৃনা" নামের তিনটা সাগরেই আমি ভাসতেছি,আমি বিষণ ক্লান্ত ,কিন্তু কোন কূল খোজে পাচ্ছিনা.....
প্রায়ই দেখতে পাই দূরে একটা তারা মিটি-মিটি জ্বলছে।আমি নিশ্চিত আমার আকাশে ঝলমল করা তারাটাই তুমি।তুমি আমাকে অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়েছ,সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছ।তুমি আমাকে তাদের মত করে কোনদিনও উপদেশ দাওনি,কড়া মেজাজে বলনি,"এটা করলে কেন?ওটা করলে কেন?"
বন্ধু আমার অনেক কথা বলার আছে,তোমাকে এক এক করে সবই বলব,,,,,,,,,,,,,,,
***************************(লেখাটা চলবে)*************************
অজানা এক মেয়েকে লেখা এই উড়ো চিঠিটা আমার নিজেরই খুব ভালো লাগে। এই লেখাটা আমার খুব কাছের একজন বন্ধুকে(সানি) উৎসর্গ করলাম।
সানি,,,আমি জানি আপনার মত ভালো বন্ধু আমি কোনদিনও পাবনা(না পাওয়াটাই স্বাভাবিক)।আপনার জন্য আমার শুভকামনা।
কলমিলতা (মীর ইমাম)