somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদিনে লেখা কবিতা-৩

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩১০১০৬

অর্ধেকছায়া অর্ধেকরোদে হেঁটে হাঁটি
পান করি বাতাসের সোনালীবিমূর্ততা
আমি নিজের মধ্যে কীযে দেখেছি
কীযে দেখেছি
জলের স্তর বিভেদ করে তারপরে
দেখেছি অক্ষয়শরীর কোমলের
আমার মধ্যে রূপোলিঘাসবন
সূর্যের আলোয় লজ্জানত
তাই বলে কোমলতা শিশির হয় নাকি
কীযে শান্তি ছিলো দূরাগতপ্রেমিকার চোখের স্তব্ধতায়
একটা ঝিল বুনে দিয়ে তার হাতের কোরকে
আমি ছেড়ে গেছি সব
ছেড়ে গেছি বৌদ্ধবিহার
পাহাড়িপথ
শুকনোপাতার চাদর
অমৃতচুম্বন
দুইটা লালচোখ সিংহ প্রহরারত
অর্ধেকছায়া বুকে
বাকিটা রোদে জড়িয়ে তারপরও
আমি ছেড়ে যাই অবিরত


-------------------------------------------------------------

৩১০১০৬-২

ঝিমঝিম চোখে তাকিয়ে ক্লান্ত
কুকুর শুয়ে আছে নবীনধূলির আঁচলে
এইআঁচল পাতা আছে গতজন্মের শরীর হতে
স্তন তার বাড়ন্তশীতের কুসুম
শোয়া আছে আলোর মলিনসারথি
নিতম্বে অপার নৈঃশব্দ্য ধরে সে
বুকে হেঁটে পার হয় কাঁটাতৃণমরুতীর

কুকুর শুয়ে আছে অন্ধঅধীর
এই অধীরতা গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে ভোরে
গ্রামেরই পথ ধরে

অন্ধতা যাবে না

-----------------------------------------------------------------------

৩১০১০৬-৩

আমরা জটিলবাক্যে কথা বলি
আমি পারি না
সহজকথায় মোমবাতি জ্বালি
ক্ষয় হওয়া দেখি ধোঁয়াহীন
বাতিদান খুঁজি তার নিখাদ অন্ধকারে
ক্ষয়িষ্ণুআলোর মড়কে সাজাই অনাবিলউপহাস
একদিন উপহাস আসবে নদীজলে ভেসে
ভেসে যাওয়া জলে হাঁসের পালক ভিজে যাবে
অমৃতআষাঢ়ে ভিজে ক্ষয় হবে কচুপাতার বন
আর নিজেকে ভালোবেসে আমি
নিজেরই জন্যে জমাবো একফোঁটা ঘৃণা
কেউ জানবে না
আমাদের বৃত্তের বাইরে হয়তো আমিই থাকি
কেউ জানে না


--------------------------------------------------------------------


৩১০১০৬-৪

সুদিনের ঘরে সমতলরাতের বিভা
ছুঁয়ে গেছে বাড়ন্তশৈশব গোধূলির
গোধূলি সন্ধ্যাকালে দগ্ধ করে সন্ধ্যার নিরাসক্তঅধর
জানে না অপমৃতরঙের ললিতকণ্ঠস্বর
ওইস্বরে বেজে যাবে নাকি দানবীয়ঘড়ি
ঘড়িটির একটিমাত্র কাঁটা
বিলুপ্ত অন্যদুটি ডানাঅলা উড়ে গেছে
আকাশ শেষ হলে ডানাঅলা ঘড়িকাল থমকে থাকে
জড়ভুক মহাকাল
কারো মুখে ছিলো না শব্দকথা
সুদিনের ঘরেই ছিঁড়ে গেছে সকাতর সকলগীতা

-----------------------------------------------------------------


৩১০১০৬-৫

গলির অন্ধমধুকর সুখেই থাকে
দিনে রাতে পরিতৃপ্তবাঁশির কবচ পরে
পার করে সময়ের নীরক্তচর
চরে চরে উষ্ণবালুকায়া
খেলা করে রোদ্দুর
কী আসে যায়
সে খুব সহজেই গলিটিকে নদী বানায়
নদীজল মধু হয়
একধারে কাশবন শাদাকালো রঙ ধরে কাঁপে
মধুকর ছুঁয়ে তাহা কাঁপে উত্তাপে


---------------------------------------------------------------------


৩১০১০৬-৬

কারা কবে দেখতে চেয়েছে রোদের মূর্তিমান শান্ত চিল
তাদের চোখে ঝলসে আছে আলোকিতদিনের খরা
খরাতে প্রথমআষাঢ় এলে শীততপ্তশরীর ফুরোবে ভেবে
যারা গুটিয়ে নিয়েছিলো সনখ হতের দঙ্গল
তাদের হাতের তালুতে ধাতবপাথর হয়েছে শরীর
বিশীর্ণবনের একটিপ্রান্ত সাক্ষি রেখে
ওইপ্রান্তে বুঝি তারা এবং তারা মিশে যাবে
সত্যিকার চিল আর খরামৃতঝিলের কান্নার জলে


-----------------------------------------------------------------------


৩১০১০৬-৭

নিশ্চুপ চলে যাবে ওইধারে ঘটমানগাছের দেয়াল
দেয়ালে জংধরা সবুজ
সবুজের খামে উল্লসিতবাসনা নিঙড়ে আনে ঝড়ের ললিতগতি
গতিপথে যাকিছু উড়ে ঘুড়ি নয়
চিলও নয়
চোখ ধারন করে একটিমাত্র ভয়
ভয়ের নাম পাথর

তারপর
বাতাসের ঘাম শুধু একদিনই নিয়েছিলো রোদের শরীর
একদিন সবকিছু ছিলো অলসতা মৃত্যুক্লান্ত ধীর
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১৫
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×