somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Page- 19,20,21

২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কথোপকথনে রাগীব হাসান

রাগীব হাসান- সিএসই বুয়েটের ’৯৬ ব্যাচের ছাত্র। শীর্ষ সিজিপিএ নিয়ে পাস করার পর কিছুদিন সিএসই ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতাও করেছেন। এরপর পিএইচডি করতে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা শ্যাম্পেইন-এ এবং বর্তমানে সেখানেই পিএইচডি গবেষণারত। একাডেমিক উৎকর্ষের পাশাপাশি তাঁর আরেকটি বড় পরিচয় হল বাংলাদেশকে, বাংলা ভাষাভাষীদেরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারাবিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলা উইকিপিডিয়াকে আজকের অবস্থানে আনতে কিংবা ওপেন সোর্স আন্দোলনকে জনপ্রিয় করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয় সিএসই ডিপার্টমেন্টের এলামনাই হিসেবে এলামনাইদের ওয়েবসাইট মেইনটেইন করা কিংবা সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র হৃদয়ের জন্য ফান্ড ক্যাম্পেইনে প্রবাসীদের সংগঠিত করতে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তিনি।

অন্বীক্ষা: আমরা জানি যে, গ্রাজুয়েশন এর পর আপনি কিছুদিন BUET এ Lecturer হিসেবে চাকরি করেছেন। আপনার এই শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলুন।
রাগীব হাসান: BUET এ Lecturer হিসেবে আমি এক semister-এ একটি theory এবং দুই/তিনটি sessional course নিয়েছিলাম। এখানে পড়াতে গিয়ে আমি যা দেখেছি তা হল BUET এর Studentদের quality বেশ ভালো। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয় বরং বিশ্বের প্রেক্ষিতেও তাদের মান বেশ ভালো। যেমন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থাৎ UIUC তে পিএইচডি program এ যত Student নেয়া হয় তারা ডিগ্রী নিয়ে আসে BUET থেকে। সেখানে তাদের Result-ও বেশ ভালো আর BUET এর syllabus সম্পর্কে যা বলতে চাই, এখানে স্নাতক পর্যায়ে কিছু কিছু বিষয় বেশ গভীরে গিয়ে এবং ব্যাপকভাবে পড়ানো হয় যা অনেক সময় বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পড়ানো হয় না।

অ.: আপনি যখন ক্লাস নিতেন তখনকার অভিজ্ঞতার আলোকে বলুন- আপনার কি মনে হয় যে BUET এ Teacher, Student দের মাঝে দূরত্ব কিছু বেশি? এটা কি আরও কমিয়ে আনা প্রয়োজন?
রা.হা.: আমার মনে হয় BUET-এ Teacher এবং Student দের মাঝে Interaction টা আরও বাড়ানো উচিত। CSE Department এ যেটা হয়, এখানে Teacher এবং Student দের মাঝে সম্পর্ক খুবই ভালো, কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা Teacher হচ্ছে তাদের সাথে ছাত্র থাকাকালীন বর্তমান ছাত্রদের পরিচয় ছিল। অবশ্য Class এ Student দের সাথে সাথে Teacher দের একটা Formal সম্পর্কে থাকে সেটা সবসময়ই থাকবে। কিন্তু ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কটাকে আরও সহজ এবং কার্যকর করার জন্য যেটা দরকার সেটা হল Class এর বাইরে বিভিন্ন Activities এর মাধ্যমে তাদের Interaction টা বাড়ানো। এজন্য প্রয়োজন একটি Common জায়গার যেখানে ছাত্র-শিক্ষক সকলেই যেতে পারবে। কিন্তু BUET এ এমন একটি জায়গার বেশ অভাব।

অ.: আপনার কি মনে হয় BUET -এ CSE Department এর যে Course গুলো আছে এগুলোর কি কোন Modification দরকার/ প্রয়োজন?
রা.হা.: আমার মনে হয় Course গুলো up-to-date রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন আমরা যখন Software Engineering এর Course পড়তাম, এখন থেকে ৫/৬ বছর আগে, তখন আমাদের পড়ানো হত ৮০ এর দশকে ছাপা হওয়া বই। এখন আমার যা মনে হয় আমাদের Course গুলোর Syllabus এবং প্রয়োজনীয় বইগুলোকে প্রতিনিয়ত up-to-date করতে হবে। এছাড়া এখন অনেক নতুন নতুন Programning Language এসে গিয়েছে। এই Language গুলোও ছাত্রদের শেখানো যেতে পারে। Web Technology-এর উপর level-4/4th Year -এ একটি Course রাখা যেতে পারে যেখানে কেবলমাত্র নতুন Technology গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে যেন ছাত্ররা এসব শিখে ব্যবহার করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা পায়। এছাড়া class Lecture এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত slide এবং content গুলো ছাত্রদের ব্যবহার এর জন্য Internet এ upload করে দেয়া যেতে পারে। আর একটা প্রয়োজনীয় ব্যাপার হল Project Based Work এর উপর জোর দেয়া। বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে Theory Course গুলো হয়তো BUET- এর মতই কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখানে এ সকল Theory সংক্রান্ত বিভিন্ন Project এর কাজ করে Student রা আরও অনেক কিছু শিখতে পারছে যা কর্মক্ষেত্রে কাজে দিচ্ছে।

অ.: এবার আপনার Research Work সম্পর্কে কিছু বলুন।
রা.হা.: আমি কাজ করি মূলত: Computer Security নিয়ে। আমার অধ্যাপক হলেন Professor Marian Winslet. কাজটির মূল বিষয় হল Security Policy ঠিক করা। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থাৎ UIUC তে বেশ কয়েক বছর ধরে Security Policy উপর বড় একটি কাজ চলছে। এটা হচ্ছে Trust Negotiation. আমরা যখন একটি Distributed System (যেমন Internet) এ অন্য কোন Computer এর Resource-এ Access পেতে চাই তখন Traditional নিয়মে আমাকে ঐ System দ্বারা শনাক্ত হতে হবে। অর্থাৎ Username & Password দিতে হবে অথবা আমার নামে আগে থেকে কোন Certificate থাকতে হবে। এটাকে বলা হয় Identity Based Authentication. এর একটি বড় সমস্যা হল এই প্রক্রিয়ায় আগে থেকে শনাক্তকৃত না থাকলে নতুন কোন Resource-এ Access পাওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যা সমাধানের একটি সহজ উপায় হল Attribute Based Authentication. অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় আপনি কে তা গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং আপনার বৈশিষ্ট্যগুলো কি সেটা জানাই যথেষ্ট। যেমন BUET এর Library থেকে কাউকে বই দেয়ার জন্য Librarian এর এটা জানাই যথেষ্ট যে সে BUET এর ছাত্র এবং তার Library Card Valid. আবার এই Authentication টা একমুখী না হয়ে দ্বিমুখী হতে পারে যেখানে উভয়পক্ষ তাদের Attribute Share এর মাধ্যমে Trust Negotiate করবে। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে Storage Security’র উপর কাজ করি। বিভিন্ন Storage device এ কিভাবে তথ্য রাখা হচ্ছে এবং এই তথ্যকে কিভাবে আরও secure করা যায় এর উপর আমার বেশ কিছু কাজ আছে।

অ.: বাংলাদেশে Research এর সুযোগ কেমন? এখানে বিভিন্ন Research Work করার প্রধান অন্তরায়গুলো কি কি?
রা.হা.: Research Work এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রধান অন্তরায় হল Internet এর Bandwidth সংকট. বাইরে বিভিন্ন Research Work এর ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় গিগাবিট স্পীডের bandwidth ও ব্যবহার করে যা বাংলাদেশে পাওয়া অসম্ভব। এছাড়া এখানে দেশের ভিতরে একটি Fibre optic Backbone Network গড়ে তোলাও খুবই জরুরী। অন্তত দেশে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি এই GB Network– এর মাঝে নিয়ে আসা যায় তাহলেও Research-এর কাজ অনেকটা সহজ হবে। আর এই Backbone Network ছাড়া Submarine Cable- এর পুরো সুবিধা আমরা নিতেও পারব না। Research- এর ক্ষেত্রে এরপর যে অসুবিধাটা রয়েছে তা হল Research Material- এর অভাব। বর্তমানে দেশের বাইরে যে কাজগুলো হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে। এজন্য আমাদের বিভিন্ন Journal, Research Paper, Conference Paper- এ Access থাকতে হবে। এগুলোর সবচেয়ে বড় দুইটি উৎস হল ACM (Association of Computer Machinery) ও IEEE (Institute of Electrical and Electronics Engineers). এই Research Paper এবং Journal গুলোতে Access পাওয়াটা অনেক সময় বেশ costly ব্যাপার। আমাদের সরকার যদি এই Access পাওয়ার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমাদের দেশে Research এর কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া অন্যান্য Research Facility-র ব্যাপারে বলব, যদি না Chip/ Microprocessor Level এ গবেষণা করা হয় অথবা এরকম গবেষণা না করা হয় যেখানে একটি Supercomputer প্রয়োজন তাহলে অন্যান্য Research Facility আমাদের দেশে মোটামুটি আছে। এখন Hardware বেশ সহজলভ্য এবং এখানকার Desktop Computer গুলোও অনেক শক্তিশালী। এমনকি এই Desktop গুলোকে ব্যবহার করে Cluster Based Super Computer ও আমরা তৈরি করতে পারি যা আমাদের Research এর কাজে সহায়ক হবে। সুতরাং Research Work-এর ক্ষেত্রে এসব তেমন একটা সমস্যা না। প্রধান সমস্যা হল Research material এবং Internet facilities এর অভাব।
Research এর ক্ষেত্রে আমাদের দেশে আর একটি অন্তরায় হল প্রয়োজনীয় Funding এর অভাব। উন্নত দেশগুলোতে Funding এর প্রধান দুইটি উৎসের একটি হল দেশের সরকার, যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের National Science Foundation এর মাধ্যমে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বরাদ্দ দেয়। আরেকটি উৎস হল বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানীগুলো যেমন- Intel, Microsoft, Google. বাংলাদেশের ক্ষেত্রে Private Sector থেকে Funding আসতে হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে দেশের সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

অ.: এবার Wikipedia সম্পর্কে কিছু বলুন।
রা.হা.: Wikipedia আসলে অত্যন্ত মহৎ একটা উদ্যোগ। আমাদের Traditional Encyclopedia-র যে ধারণাটা সেখানে একটি বিষয় সম্পর্কে ঐ বিষয়ের কোন বিশেষজ্ঞকে লিখতে বলা হয়। পরবর্তী সংস্করণে সেটা হয়তো কিছুটা edit করা হয়। এভাবে যে সমস্যাটা হয় তা হল অনেক ছোটোখাটো বিষয় বাদ পড়ে যায়। ধরা যাক, ঢাকার কোন এলাকার একটি চমৎকার ইতিহাস আছে। যা হয়তো কোন বিশেষজ্ঞ জানেন না কিন্তু ঐ এলাকার সাধারণ মানুষেরা জানেন। আবার সেই ইতিহাস হয়তো Britanica বা Encarta-য় প্রকাশও হবে না। কিন্তু এই ইতিহাসটা যারা জানেন তারা Wikipedia-র মাধ্যমে এটি প্রকাশ করতে পারেন। এভাবে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন তথ্যগুলো গণমানুষের মাধ্যমে এক জায়গায় জড় করাই Wikipedia-র মূল লক্ষ্য। Wikipedia প্রকাশ করা হয় Wiki-Technology’র মাধ্যমে। সেটি হল মূলত একটি Website, যা edit করা যায়। এই Technology-র কারণে এখন সারা বিশ্বের অনেক মানুষ এক সাথে কাজ করতে পারছে। আর সারা বিশ্বের মানুষের সংশি¬ষ্টতার কারণে Wikipedia-র নিবন্ধগুলোর একপেশে হয়ে যাবার সম্ভাবনাও অনেক কম, যেটা Encarta বা Britanica-র মত encyclopedia গুলোতে অনেক সময় দেখা যায়। এছাড়া web based হবার কারণে খুব সহজে এবং দ্রুততার সাথে এটিকে update করা সম্ভব হয়। আর wikipedia থেকে পাওয়া তথ্য এবং এর নিবন্ধগুলো যে কেউ ব্যবহার করতে পারে শুধু বলতে হবে সে এটা wikipedia থেকে নেওয়া।

অ.: wikipedia-র সাথে বাংলার সংশি¬ষ্টতা নিয়ে কিছু বলুন।
রা.হা.: wikipedia-র আরেকটি বড় সুবিধা হল এখানে আমরা আমাদের স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করতে পারছি যা বিশ্বের বেশির ভাগ encyclopedia-র ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। গত দুই/ এক বছরে বাংলা wikipedia নিয়ে যথেষ্ট বড় কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রায় বার থেকে তের হাজারের মত বাংলা নিবন্ধ আছে। আরও একটি বিষয় হল বাংলাদেশ সম্পর্কে বিন-এ তথ্য বেশ অপ্রতুল। আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে Internet-এ ছবি, নিবন্ধ এসব নেই বললেই চলে। Wikipedia-র মাধ্যমে আমরা সহজেই এই তথ্যগুলো আমাদের নিজের ভাষার প্রকাশ করতে পারছি। বর্তমানে Wikipedia বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বড় website. এখানে বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক page আছে।

অ.: বাংলা ভাষায় আমরা যে Article গুলো Wikipedia তে প্রকাশ করছি সেগুলো অন্য ভাষাভাষীরা কিভাবে পড়তে পারে?
রা.হা.: Wikipedia তে একটি সুবিধা আছে তা হল কোন Article অন্যান্য আর কোন কোন ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার একটি link article- এর পাশেই দেয়া আছে। কেউ যদি অন্য কোন ভাষায় article টি পড়তে চায় তাহলে সেই link এ click করলেই চলবে।

অ.: BUET এর যেসকল Alumni বর্তমানে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে PHD Programme এ আছেন অথবা Teaching বা অন্য কোন Profession- এ আছেন ওদের সাথে আমরা কিভাবে যোগাযোগ করতে পারি?
রা.হা.: BUET- এর Alumni দের সম্পর্কে তথ্য এবং তাদের Contact Address রাখার চেষ্টা করি। তবে অনেকে Privacy বজায় রাখার স্বার্থে তাদের E-mail Address বা অন্যান্য Contact Address দিতে চান না। ভবিষ্যতে আমরা হয়তো Site টিতে শুধু মাত্র BUET- এর Student দের Log-on করার ব্যবস্থা রাখতে পারি। তখন তারাই কেবলমাত্র Alamn দের Contact এবং other information গুলো দেখতে পারে।

অ.: এবার আপনার লেখা একটি article সম্পর্কে জানতে চাই। এটি হল "History of Linux" যা বিশ্বের আরও ৭টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এই Articleটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
রা.হা.: "History of Linux" নিবন্ধটি আমি লিখি BUET এ Level-2, Term-1 এ থাকাকালীন। সে সময় আমি এবং আমার এক বন্ধু Linux নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে Linux নিয়ে ঘাঁটতে গিয়ে এর শুরুটা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করে তোলে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের একটি Operating system লিখে ফেলার এই গল্প নিয়ে আমি এক রাতেই লিখে ফেলি "History of Linux" নিবন্ধটি। পরবর্তীতে এর সাথে আরও কিছু নতুন তথ্য এবং ছবি যোগ হলেও এর মূল ভাব অপরিবর্তিত আছে।

অ.: আপনি Cse buet Alumni Site টির Administrator, বাংলা Wikipedia'র Administrator এবং প্রবাসে BUET- এর Alumni Association- এর অন্যতম সমন্বয়কায়ক। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমাদের প্রয়োজনে আপনি সবসময়ই সাহায্য করেন। আপনার নিজের পিএইচডি এবং অন্যান্য Research Work এর পরও এত কিছু করার পিছনে আপনার Motivition টা কি?
রা.হা.: আমি BUET- এ graduation শেষ করার পর যখন বিদেশে গেলাম তখন বুঝতে পারলাম যে BUET- এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আমাকে কতটা সহায়তা করেছে। এখানে graduation করার সময়ে আমার দেশের মানুষ অন্ততপক্ষে ৫১০ লাখ টাকা খরচ করেছে। যার ফলে একটি বিশ্বমানের শিক্ষা আমি প্রায় বিনামূল্যেই পেয়েছি। এ কারণে আমার ভেতর সবসময়ই এমন একটা তাগিদ কাজ করে যে দেশের মানুষ আমাকে যা দিয়েছে তার ঋণ আমাকে শোধ করতে হবে।

অ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে সময় দেবার জন্য।


স্বাক্ষাৎকার গ্রহণে:
খালেদ মাহমুদ (ব্যাচ '০১)
নাশিদ শাহরিয়ার (৪/২)
ওয়াসিক মুরসালিন (৩/১)

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×