শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। পরিস্থিতি খুব কঠিন এমনটা বলা যাবে না। তবে তার আগে রফিক ও গোলাম মাবুদ প্রায় একসাথে ফিরে যাওয়ায় কিছুটা চাপের মধ্যে তখন হাবিবুল বাশারের দল। শংঙ্খা ভেতরে ভেতরে কাজ করলেও সাহস যোগাচ্ছিলেন ক্রিজে থাকা শাহরিয়ার নাফিস। তার উপর ধীমান ঘোষের মতো হার্ড হিটারও ক্রিজে তার সঙ্গি। ম্যাচকে তাই কিছুতেই ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন বলা যাচ্ছে না। যদিও শেষ দুই ওভারে বোলিং অনেক টাইট করে ফেলেছিল প্রতিপক্ষের বোলাররা। কিন্তু তাতেও সমস্যা হয়নি। কারণ শেষ পর্যন্ত নিজেদের নামের প্রতি যথাযথই সুবিচার করেছেন ক্রিজে থাকা দুই উইলোবাজ। আর তাতে নির্ধারিত ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই আসরের প্রথম জয়টা অনায়াসে মুঠোয় পুরে নেয় বাংলাদেশ একাদশ।
গতকাল ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভাই প্যাটেল স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ একাদশ। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ভাগ্য দেবী সাড়া দেন হাবিবুল বাশারের প্রতি। তাতে টসে জিতে আগের ম্যাচের মতোই প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের দলপতি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণের জন্যই যেন শুরু থেকে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনের উপর চড়াও হন তাপসরা। ফাস্ট পোলার ফরহাদ রেজা ও তাপসের সাথে হাত মিলিয়ে তিন স্পিনার মোহাম্মদ রফিক, অলক কাপালি আর মোশাররফ হোসেন মিলে ১৩ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে দেন মাত্র ৮৬ রান দেন। যদিও তখন ভারতের হাতে ছিল পুরো ৬টি উইকেট। প্রতিপরে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যদিও শেষ দিকে এসে কিছুটা চড়াও হন ভারতীয় অধিনায়ক রাজগোপাল সতীশ। তিনি ২০ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ঝড়োগতিতে ৪৪ রান তুলে ফেললে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৪ রান। তাছাড়া স্বাগতিক দলের ওপেনার ইব্রাহিম খলিল ২২ বলে ২৭ রান এবং স্টুয়ার্ট বিনি ১৭ বলে ২৭ রান করেন। বাংলাদেশের পে বল হাতে সবচেয়ে সফল মোশাররফ রুবেল তার ব্যয় বহুল স্পেলে ৪৮ রান দিলেও ঝুলিতে পুরেন ৩টি উইকেট। তাছাড়া তাপস ২টি উইকেট পান।
জবাবে খেলতে নামা বাংলাদেশ একাদশ তাদের নিয়মিত ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনে। শাহরিয়ার নাফিসের পরিবর্তে দলের ইনিংস গোড়পত্তন করতে নাজিমুদ্দিনের সঙ্গী হন আফতাব আহমদ। এই এক্সপেরিম্যান্টে আফতাব কিছুটা সফল হলেও নাজিম হতাশ করেন। তিনি ওভারের চতুর্থ বলে জয়সূর্যের শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান ব্যক্তিগত ২ রানে। তবে ওয়ানডাউনে খেলতে নামা শাহরিয়ার নাফিস শুরুর সেই ধাক্কাটা বেশ শক্ত হাতেই সামলে নেন। আফতাবকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলীয় স্কোরকে ৫৪ রান পর্যন্ত নিয়ে যাবার পর ১৮ বলে ৫টি চারের মারসহ ২৬ রান করা আফতাব রেড্ডির বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। এরপর ক্রিজে আসা অলক কাপালীকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের প্রাথমিক প্রস্তুতিটা সেরে ফেলেন নাফিস। এই জুটি ৩৬ বল সময় ক্রিজে থেকে দলীয় সংগ্রহে ৫৮ রান যোগ করার পর ২৩ বলে ২টি বাউন্ডারী ও ৪টি ছক্কার মারসহ ৪৪ রান করা অলকও ফিরে যান সেই রেড্ডির বলে জয়সূর্যের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। অন্যপাশে সতীর্থরা ফিরে ফিরে গেলেও নাফিস ছিলেন অনড়। তিনি ৫৪ বলের মোকাবিলা করে ৪টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এই ফাঁকে স্পিনার রফিক ১৩ বল খেলে ২টি বাউন্ডারীসহ ১৬ রান করে ফিরে গেলেও ধীমান ঘোষ ২ রান নিয়ে জয় অব্দি ক্রিজে ছিলেন। বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারের ৩ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের ল্েয পৌছে য়ায়। ভারতীয় একাদশের বোলার জয়সূর্য ও রেড্ডি দুটি করে উইকেট পান। নাফিস ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন