somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার একটি স্মরণীয় দিন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ভারতে প্রায় ৭ বছর পড়ালেখা করেছি। ওখান থেকে HSC পাশ করে দেশে ফিরেছি কয়েক মাস হল। বাকি পড়ালেখাটা এখানে করব ঠিক করেছি। আমার স্কুলটা ছিল রেসিডেনসিএল স্কুল। তাই সবই এক সাথে থাকতাম। যাই হোক খারাপ ভাল দুমিলে ছিল আমার জীবন। বেশী ভাগ সময় ভালই কেটেছে। সবচে বেশী খারাপ লাগত যখন ভারতিও খবরের কাগজে বাংলাদেশের কোনো খারাপ খবর শুনতে পেতাম। যেমন, বাংলাদেশ আবার দূনীতিতে প্রথম হয়েছে বা সন্রাসীরা ৫০০ টা বোমা ফাটিয়েছে সারা বাংলাদেশে। এরকম খবর দেখলে মাথা নিচু হয়ে আসতো এবং অনেক টিটকারিও শুনতে হয়েছে এর জন্য।
আবার মাথা উচুও হয়েছে অনেক বার, যেমন ডক্টার উইনুসের নোবেল পুরস্কার পাওয়া। আর সবচে স্মরণীয় দিন ছিল যখন বাংলাদেশ ভারতকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হারিয়েছিল। স্মরণীয় হয়ার মূল কারন ছিল ভারতে বসে ভারতিওদের সংগে পুরো খেলাটা দেখা। প্রথমে ভারত ব্যাট করতে নামে, তাতেই ওরা খুশিতে লুটুপুটি খেতে থাকে, বলে যে ভারত ৩৫০ করে ছারবে। সবচে মজা হল যখন সেবাগ ২ রান করে, মাশরাফি বলে বোল্ড হল। ওরা সব চুপ, আমারা বাংলাদেশীরা খুশিতে তালি বাজাচ্ছি। ভারতের অবত্থা প্রতি বলে খারাপ হতে লাগল আর ভারতিওরা আসতে আসতে টিভি রুম থেকে যেতে লাগল। ধোনী, হরভজন আর আগারকার যখন ০ রানে ফিরে গেল, তখন আমরা কি করবো কিছু বুঝছিলাম না, কেও নাচতে ছিল, কেও চিৎকার করছিল। আমি গান গাচ্ছিলাম " আহৃ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে "। ভারত ১৯১ রানে অল আওট।
বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, ২৪ রানে একটি উইকেট পরলো। এবার ওদের আনন্দ করার পালা। একজন বলল ১০০ রানে বাংলাদেশ অল আওট হয়ে যাবে। কিন্তু শকুনের দোয়াই গরু মরে না। তানিম ইকবাল চার ছক্কা মারতে লাগল আর ওদের মুখ কাল হতে লাগল। শেষের দিকে ওরা নিজেদের দেশের খেলোয়াড়দের গালাগালি দিতে শুরু করল। যখন বাংলাদেশ জিতে গলো, তখন অনেক রাত হয়ে গিয়ে ছিল। তবুও আমরা লাফালাফি করলাম। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ জিতেছিল এবং এটি ছিল আমার সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।আমি ভারতে প্রায় ৭ বছর পড়ালেখা করেছি। ওখান থেকে HSC পাশ করে দেশে ফিরেছি কয়েক মাস হল। বাকি পড়ালেখাটা এখানে করব ঠিক করেছি। আমার স্কুলটা ছিল রেসিডেনসিএল স্কুল। তাই সবই এক সাথে থাকতাম। যাই হোক খারাপ ভাল দুমিলে ছিল আমার জীবন। বেশী ভাগ সময় ভালই কেটেছে। সবচে বেশী খারাপ লাগত যখন ভারতিও খবরের কাগজে বাংলাদেশের কোনো খারাপ খবর শুনতে পেতাম। যেমন, বাংলাদেশ আবার দূনীতিতে প্রথম হয়েছে বা সন্রাসীরা ৫০০ টা বোমা ফাটিয়েছে সারা বাংলাদেশে। এরকম খবর দেখলে মাথা নিচু হয়ে আসতো এবং অনেক টিটকারিও শুনতে হয়েছে এর জন্য।
আবার মাথা উচুও হয়েছে অনেক বার, যেমন ডক্টার উইনুসের নোবেল পুরস্কার পাওয়া। আর সবচে স্মরণীয় দিন ছিল যখন বাংলাদেশ ভারতকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হারিয়েছিল। স্মরণীয় হয়ার মূল কারন ছিল ভারতে বসে ভারতিওদের সংগে পুরো খেলাটা দেখা। প্রথমে ভারত ব্যাট করতে নামে, তাতেই ওরা খুশিতে লুটুপুটি খেতে থাকে, বলে যে ভারত ৩৫০ করে ছারবে। সবচে মজা হল যখন সেবাগ ২ রান করে, মাশরাফি বলে বোল্ড হল। ওরা সব চুপ, আমারা বাংলাদেশীরা খুশিতে তালি বাজাচ্ছি। ভারতের অবত্থা প্রতি বলে খারাপ হতে লাগল আর ভারতিওরা আসতে আসতে টিভি রুম থেকে যেতে লাগল। ধোনী, হরভজন আর আগারকার যখন ০ রানে ফিরে গেল, তখন আমরা কি করবো কিছু বুঝছিলাম না, কেও নাচতে ছিল, কেও চিৎকার করছিল। আমি গান গাচ্ছিলাম " আহৃ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে "। ভারত ১৯১ রানে অল আওট।
বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, ২৪ রানে একটি উইকেট পরলো। এবার ওদের আনন্দ করার পালা। একজন বলল ১০০ রানে বাংলাদেশ অল আওট হয়ে যাবে। কিন্তু শকুনের দোয়াই গরু মরে না। তানিম ইকবাল চার ছক্কা মারতে লাগল আর ওদের মুখ কাল হতে লাগল। শেষের দিকে ওরা নিজেদের দেশের খেলোয়াড়দের গালাগালি দিতে শুরু করল। যখন বাংলাদেশ জিতে গলো, তখন অনেক রাত হয়ে গিয়ে ছিল। তবুও আমরা লাফালাফি করলাম। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ জিতেছিল এবং এটি ছিল আমার সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×