somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রুই কাতলার ব্যবসা বাদ দিয়ে দালালী ব্যবসা শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমএ মতিন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মুখোমুখি করার কৃতিত্ব নিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমএ মতিন।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কাছে এ ব্যাপারে তার ভূমিকা বর্ণনা করে উপদেষ্টা এমএ মতিন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "দুই নেত্রী ম্যাডাম শেখ হাসিনা ও ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কথা বলার ব্যবস্থা করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি। কারণ জাতি গত দুই বছর তাদের একখানে করা এবং কথা বলার দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করেছে। সেই মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত দুর্লভ।"
ইতিমধ্যে টেলিভিশনে অসংখ্যবার প্রচারিত আলোচিত দৃশ্যটির বর্ণনা করতে গিয়ে এমএ মতিন বলেন, "সেনাকুঞ্জের ওই অনুষ্ঠানে আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যাডাম শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় দেখি ম্যাডাম খালেদা জিয়াও সেদিক দিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় ম্যাডাম হাসিনাকে একটু অপেক্ষা করতে বলি। তাকে অপেক্ষায় রেখে আমি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কাছে যাই।"
উপদেষ্টা বলেন, এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে যান এবং বলেন, "ম্যাডাম এইদিক দিয়ে যেতে হবে।" খালেদা জিয়া উপদেষ্টাকে অনুসরণ করলে তিনি দুই নেত্রীকে মুখোমুখি করে তাদের কথা বলার অনুরোধ করেন।
এম এ মতিন বলেন, "তারা দু'জন কথা বলতে শুরু করলে তা উপস্থিত সবার কাছে এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা করে।"

শেখ হাসিনার মন্তব্য উদ্ধৃত করে উপদেষ্টা আরও বলেন, "এ সময় ম্যাডাম হাসিনা বলেন, 'আমরা কথা বলি না, তাতো নয়। আমরা তো কথা বলি।' এ সময় আমি তাকে বলি, 'এজন্যই তো ম্যাডাম আমরা আপনাদের একই জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম'। তখন ম্যাডাম হাসিনা বলেন, 'একখানে ছিলাম ঠিকই, তবে মাঝখানে দেয়াল ছিল'।"
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, "তখন আমি তাকে বলি, 'ম্যাডাম দেয়াল তো ভাঙা ছিল। সেখানে ছিল কাঁচের দরজা। তাই আপনাদের কথা বলতে কোন সমস্যা হয়নি বলেই আমরা শুনেছি'। তখন ম্যাডাম হাসিনা বলেন, 'কাঁচের দরজায় তো ঝালাই করা ছিল। তাই আমরা কথা বলতে পারিনি, তবে আমার ওখানে রান্না করার ব্যবস্থা ছিল। সেখানের রান্না আমি টিফিন বাটিতে করে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কাছে পাঠিয়েছি, তিনিও তা খেয়েছেন'।" খালেদা জিয়া ওই খাবার পাওয়ার কথা স্বীকার করেন বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

অথচ ১/১১ পর এই উপদেষ্টা দাম্ভিকতার সাথে বলে ছিলেন তারা চুনো পুটি নিয়ে নয় রুই, কাতলা ধরবেন। নির্বাচন সামনে রেখে এম এ মতিন এখনি দালালি শুরু করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৪
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×