somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি মহিলা মাদ্রাসার অন্দরে… (৭)

২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তেলা মাথায় তেল সবাই দেয়। তবে সে কথা তো হুজুরদের সাথে যাওয়ার কথা না। কেননা, ইসলাম বলে ধনী-গরিব সব সমান। কালো-সাদা সবই এক আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু না। যেহেতু এরা ইসলামকে ব্যব হার করে মাত্র , সেহেতু এরা টাকা ওয়ালাদের খুব ভক্ত। কথাটা খুব ন গ্ন ভাবে বললেও সত্য। যে সমস্ত ছাত্রী ধনি পরিবাবর থেকে এসেছে এবং বড় হুজুর বা বড় খালাম্মা/ বড় আপার মেয়ে বা বোন তাদের কে চট করে শিক্ষিক-শিক্ষিকারা তুই বলেনা, ধমক দেয়না। তাদের কাছ থেকে স হজে ওস্তাদগন সেবা চাননা ,আশাও করেননা।

গুলশান ২নম্বরের ভাটারা মোড়ে এক মাদ্রাসায় (নাম মনে করতে পারছিনা) দেখলাম "স্পেশাল রুম" কিছু ছাত্রীর জন্য। সেই ৪-৫জন ছাত্রীর একজন সেই মাদ্রাসার বড় আপার আত্বীয়া এবং বাকি সবাই ধনী পরিবারের মেয়ে। তারা আলাদা রুমে বেশী টাকা দিয়ে থাকছে। তারা সেখানে খাট ,চেয়ার-টেবিলও ব্যব হার করছে।

যেখানে একটা হল রুমে শখানেক মেয়ে ,একেক জনের জন্য দেড় হাত বরাদ্দ করা যায়গায় গিজ গিজ করে রাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘুমাচ্ছে , সেখানে মাত্র ২জন ছাত্রী একটা রুম শেয়ার করছে। শখানের জন্য ২-৩ টা টয়লেট এর ব্যবস্থা সেখানে স্পেশাল রুমে ২-৩ জন এটাচড বাথ ব্যব হার করছে। তবে এ ব্যবস্থা অন্য কোন মাদ্রাসায় আছে কিনা এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা।।

বড় আপা / খালাম্মার বোন বা মেয়ে থাকলে তাদেরকেও ছাত্রীরা সমীহ করে চলে। অন্যায় হলেও কিছু বলার সাহস পায়না। সমস্যা হচ্ছে , বড় হুজুর কে বড় আপা/খালাম্মা ঠিক যেভাবে বলছে সেভাবেই বিচার হচ্ছে এবং সে রকমই ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে সে জানছে। সত্যি জানার বড় হুজুরের আর কোন ওয়ে নেই। তবে এরা যদি ইচ্ছে করে তাহলে হয়তো কওমি মাদ্রাসার ভেতরের অবস্থা গুলোর আসল অবস্থা জানতে পারে।

আমি বলবোনা যে সব বড় আপা/খালম্মাই নিজেরদের মত করে ঘটনা বলে বড় হুজুরকে। তবে খুব বড় অংশই এই কাজ করে। কওমি মহিলা মাদ্রাসার সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট বড় হুজুরের বউ কে মাদ্রাসার ভেতরের দায়িত্ব দেয়া। বড় আপা/বড় খালাম্মার মেয়ে বা বোনরা আরেক ধাপ আগানো। এসব বোন বা মেয়েরা যাদের কে পছন্দ করেননা, তাদের জীবন দোযখ বানিয়ে ছেড়ে দেয় তাদের মা/বোনের মাধ্যমে।
এসব মাদ্রাসা মেয়ে দেখার জন্য দারুন যায়গা। প্রতি মাসেই কেউ না কেউ মেয়ে দেখতে আসে। ফ্যামিলি ভালো লাগলে যদি বড় খালাম্মা/ বড় আপার উপযুক্ত মেয়ে বা বোন থাকে তবে সন্দেহ নাই তাদেরকেই দেখানো হয়। না থাকলে বা তাদের প্রোপোজাল পছন্দ না হলে পরে অন্যান্য মেয়েদের দেখানো হয়। যে মহিলা বা মহিলারা আসে মেয়ে দেখতে তারা সব রুম ঘুরে ঘুরে দেখে। মেয়ে পছন্দ হলে শিক্ষিকাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং শিক্ষিকারা ছাত্রীর অভিবাবকদের সাথে যোগাযগ করিয়ে দেয়।

শিক্ষিকারাও কোন কোন মেয়েকে তার ভাই/ছেলে/ কোন আত্বীয়র জন্য মনে মনে ঠিক করে রাখে। মজার ব্যপার হচ্ছে যে সমস্ত মেয়েরা খুব পর্দায় থাকে ভালো আমল করে তাদের কে শিক্ষিকারা পছন্দ করলেও তার ভাই/ছেলে/ আত্বীয়র জন্য পাত্রী পছন্দ করতে গিয়ে ৯৮% শিক্ষিকা ঠিকই সুন্দরী (তাদের মতে ফর্সা) এবং ধনী পরিবারের মেয়েকেই বেশী প্রায়োরটি দিয়ে থাকেন। হোক না সে কম পর্দানশীলা অথবা কম আমলদার। (কারন, এরা পর্দার গুরুত্বের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠায় ফেলে)। বিয়ের পর পর্দায় করায় নেয়া যাবে। এখন দরকার হচ্ছে ফর্সা,নাদুস-নুদুস একটা কচিপুতুল ।

চলবে............।

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫৮
১৪টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×