somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আনুশকা শঙ্কর।

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আনুশকা শঙ্কর।
আনুশকার শঙ্করের জন্ম:৯ জুন ১৯৮১ । জন্ম লন্ডনে হলেও ৭ বছর বয়েস থেকে বাস করছেন ক্যালিফের্নিয়ায়। আট বছর বয়েস থেকে সেতার শেখা শুরু। ১৩ বছর বয়েসে প্রথম শ্রোতাদের সামনে বাজান।

আনুশকা শঙ্কর যতই লন্ডন-নিউ ইয়র্ক করে বেড়াক না কেন। সত্য হল এই যে- আনুশকা শঙ্কর আমাদের যশোরের মেয়ে। তার মানে আনুশকার বাপ-দাদাদের বাড়ি এককালে যশোরেই ছিল। আনুশকার বাবা পন্ডিত রবিশঙ্কর এখনও সেসব কথা গর্ব ভরে বলেন। পূর্ব বাংলায় ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী নৃশংস গনহত্যা চালালো।
সেই নির্মম গনহত্যা সম্পর্কে বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য রবিশঙ্কর সে সময় জর্জ হ্যারিসনদের নিয়ে নিউইয়র্কে একটি কনর্সাট করলেন। কেন? ঐ জন্যই। তিনিও বাংলার সন্তান। তাঁরও বাপ-দাদারা এককালে বেঁচে ছিলেন যশোরের সবুজশ্যামল কোনও গাঁয়ে।
আনুশকা শঙ্কর গুণী বাপের গুণী মেয়ে। যে কজন বাঙালি কন্যা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে আনুশকা শঙ্কর তাদের অন্যতম। সেতারে হাতেখড়ি মেয়েবেলায়; বাবার কাছে। এমন সৌভাগ্য হয় ক’জনের বলুন? রবিশঙ্করও কম সৌভাগ্যবান নন। কেন বললাম কথাটা? তাঁর এক মেয়ে ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের শিকড় ছুঁয়েছে তো অন্য মেয়ে ইংরেজি গানের পাখি। হ্যাঁ। আমি নোরা জোন্সের কথাই বলছি। ওর কথা আজ থাক। ওর কথা অন্যদিন বলব।
বলছিলাম, আনুশকা শঙ্করের সেতারে হাতেখড়ি মেয়েবেলায়; বাবার কাছে। এমন সৌভাগ্য হয় কজনের বলুন? এর আরও গভীর দিক রয়েছে। সে কথাই আজ না হয় বলি। সেতার হচ্ছে ভারতবর্ষে হিন্দুমুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের প্রতীক। সেই মিলনের প্রতীক নিয়ে আনুশকা শঙ্কর প্রতি মাসেই পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তের সঙ্গীত তৃষ্ণার্ত মানুষের কাছে। ও যেখানেই যায়। যাই বাজায়। আমি ভাবি যে আমাদেরই যশোরের একটি স্মার্ট সুন্দরী আর প্রতিভাবান মেয়ে নিজেই হিন্দুমুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
তা সেতার কেমন বাজায় আনুশকা?
নিচের লিঙ্কটা ক্লিক করে কষ্ট করে ডাউনলোড করেন দেখুন। তারপর বুঝতে পারবেন।
ইউটিউবেও ওর অনেক গুলি ক্লিপ পাওয়া যায়। হয়তো এই বাজনাটা শোনার পর আপনার সামনে একটি দুয়ার খুলে যেতেও পারে।

Click This Link

আনুশকার কিছু অন্যরকম ছবি

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৭
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×