আনুশকার শঙ্করের জন্ম:৯ জুন ১৯৮১ । জন্ম লন্ডনে হলেও ৭ বছর বয়েস থেকে বাস করছেন ক্যালিফের্নিয়ায়। আট বছর বয়েস থেকে সেতার শেখা শুরু। ১৩ বছর বয়েসে প্রথম শ্রোতাদের সামনে বাজান।
আনুশকা শঙ্কর যতই লন্ডন-নিউ ইয়র্ক করে বেড়াক না কেন। সত্য হল এই যে- আনুশকা শঙ্কর আমাদের যশোরের মেয়ে। তার মানে আনুশকার বাপ-দাদাদের বাড়ি এককালে যশোরেই ছিল। আনুশকার বাবা পন্ডিত রবিশঙ্কর এখনও সেসব কথা গর্ব ভরে বলেন। পূর্ব বাংলায় ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী নৃশংস গনহত্যা চালালো।
সেই নির্মম গনহত্যা সম্পর্কে বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য রবিশঙ্কর সে সময় জর্জ হ্যারিসনদের নিয়ে নিউইয়র্কে একটি কনর্সাট করলেন। কেন? ঐ জন্যই। তিনিও বাংলার সন্তান। তাঁরও বাপ-দাদারা এককালে বেঁচে ছিলেন যশোরের সবুজশ্যামল কোনও গাঁয়ে।
আনুশকা শঙ্কর গুণী বাপের গুণী মেয়ে। যে কজন বাঙালি কন্যা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে আনুশকা শঙ্কর তাদের অন্যতম। সেতারে হাতেখড়ি মেয়েবেলায়; বাবার কাছে। এমন সৌভাগ্য হয় ক’জনের বলুন? রবিশঙ্করও কম সৌভাগ্যবান নন। কেন বললাম কথাটা? তাঁর এক মেয়ে ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের শিকড় ছুঁয়েছে তো অন্য মেয়ে ইংরেজি গানের পাখি। হ্যাঁ। আমি নোরা জোন্সের কথাই বলছি। ওর কথা আজ থাক। ওর কথা অন্যদিন বলব।
বলছিলাম, আনুশকা শঙ্করের সেতারে হাতেখড়ি মেয়েবেলায়; বাবার কাছে। এমন সৌভাগ্য হয় কজনের বলুন? এর আরও গভীর দিক রয়েছে। সে কথাই আজ না হয় বলি। সেতার হচ্ছে ভারতবর্ষে হিন্দুমুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের প্রতীক। সেই মিলনের প্রতীক নিয়ে আনুশকা শঙ্কর প্রতি মাসেই পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তের সঙ্গীত তৃষ্ণার্ত মানুষের কাছে। ও যেখানেই যায়। যাই বাজায়। আমি ভাবি যে আমাদেরই যশোরের একটি স্মার্ট সুন্দরী আর প্রতিভাবান মেয়ে নিজেই হিন্দুমুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
তা সেতার কেমন বাজায় আনুশকা?
নিচের লিঙ্কটা ক্লিক করে কষ্ট করে ডাউনলোড করেন দেখুন। তারপর বুঝতে পারবেন।
ইউটিউবেও ওর অনেক গুলি ক্লিপ পাওয়া যায়। হয়তো এই বাজনাটা শোনার পর আপনার সামনে একটি দুয়ার খুলে যেতেও পারে।
Click This Link
আনুশকার কিছু অন্যরকম ছবি
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৭