somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রাসা শিক্ষা ভাবনা

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাদ্রাসা ব্যবস্থা বন্ধ হবে না থাকবে না নিয়ে বিতর্ক আজকের নতুন নয়। কিন্তু হতাশার কথা হচ্ছে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে রাষ্ট্রের অঘোষিত মালিকেরা এ বিতর্ক চালু করেছে এবং চালিয়েও যাচ্ছে; কখনোই তার অবসান করেনি। একদিকে যেমন ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা সচল রেখেছে, তেমনি বুর্জোয়া-শখ মেটাতে আলাদা রকমের ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থাও চলছে। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি। বাঙালি মুসলমানেরা এখন তাদের সন্তানদের জন্য এ দুই শ্রেণীর শিক্ষার পেছনে ছুটছে নিরন্তর। বাংলা মাধ্যমে যত ভালো সিলেবাসই থাকুক না কেন তাতে এখন আর বাঙালির রোচে না। যারা অর্থনৈতিক কারণে পারছে না সে মধ্যবিত্তরাই কেবলমাত্র নিজেদের সন্তানদের এই মধ্যম শ্রেণীর শিক্ষা দিচ্ছে - বাধ্য হয়েই দিচ্ছে; পারলে অন্য লাইন ধরতো।

যাই হোক, ধর্মভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা যে সমাজকে ধীরে ধীরে বন্ধ্যাত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এতে কারো কোন সন্দেহ নেই। মাদ্রাসার ছাত্ররা যতটা না ধর্মজ্ঞান অর্জন করে তার চেয়ে বেশি শেখে পরধর্ম ঘৃনা করা, যতটা না ধার্মিক হয় তার চেয়ে বেশি হয় অসৎ। এর কারণ কি? মৌলিক দু’টো কারণ হচ্ছে, ১) ধর্মকে ব্যবহার করে একদল লোক তাদের ফায়দা হাসিল করতে চেষ্টা করছে আর ২) ধর্মের প্রসারের অত্যাবশ্যক নিয়ামক হিসেবে ধর্ম এসব লৌকিক দুর্বলতাকে মেনেই নিয়েছে। অথচ ধর্মের উদ্দেশ্যই হওয়ার কথা ছিল মানব কল্যান। প্রাচীন ও মধ্যযুগে ধর্মের এইরকম স্ববিরোধীতা খুব একটা অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু এই আধুনিক কালে যখন রাস্ট্র স্থিত কাঠামো পেয়েছে, সেখানে এধরনের সাংঘর্ষিক ব্যবস্থা কিছুতেই থাকতে পারে না।

একইভাবে পাশ্চাত্যের অনুকরণে ইংরেজী শিক্ষা ব্যবস্থাও সমাজে আরেকটি প্যারালাল শ্রেণী তৈরি করছে এবং ইতিমধ্যে করেছেও। কথা বাড়িয়ে পাঠকের আর বিরক্তি উৎপাদন করতে চাই না। শুধু দু’টো কথা বলি - এসব অকল্যানকর পদ্ধতি যত দ্রুত বন্ধ হয় ততই মঙ্গল। কিন্তু, যমুনার পানি অনেকদূর গড়িয়ে গেছে। মোল্লা-তাল্লবেলেমরা এখন রিভল্ট করতে শিখে গেছে অন্যদিকে মাথার উপর তাদের ধর্মের অন্ধ পাষান-বোঝা। চাইলেই আর এখন মাদ্রাসা বন্ধ করা সম্ভব না। এ সত্য স্বীকার করে নিয়েই আমাদের সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৪
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×