তোমার চুল ও এথিকসে হামলে-পড়া উরাধুরা ভাইরাস
আমি, এইতো... বেশ শিখে ফেলছি বর্ষাবন্দনা -- রাগ মেঘমল্লার -- মন্দ না
ওগো অন্তর্যামী, দেখো দুইজন জবুথবু মনোগ্যামি --
হাঁটছি দুটি ভিন্ন ভিন্ন ছাতার প্রযত্নে
আমি হাঁসফাঁস, তুমি সমাহিত,
দু’জনেই সমান মীমাংসারহিত
রোড ও রেস্তোরাঁভিন্ন কোন যৌথগন্তব্য নাই, হায় আমাদের!
গল্প করতে করতে হাঁটি আমরা -- খুব নির্দোষ -- শিশু-শিশু
খুব একমত-একমত গন্ধ সেসব গল্পের গায়ে
তারপর আরও কিছু -- ধরো, খুব ধুরন্ধর -- সুঁইয়ের আগায় কারিকুলাম
বলছিলাম, ওরা তোমার চোখের চামড়ার নিচে নীল হয়ে জমতে থাকবে
তোমারই খাঁচার ভেতর পোষ্য হতে হতে
ওরাই তোমায় শেষে পোষ মানিয়ে ফেলবে!
তুমি তবু ভোঁতা তরবারিগুলোকেই ভয় পেতে পছন্দ করো
শক্তপোক্ত পাঁজরসমেত ওদের সামনে কম্পমান থাকাই তোমার পেশা
ফলে, তোমার বাদল দিনের মনমরা পৃষ্ঠাগুলোর কোনও ভাঁজে
এখন আমার হারিয়ে যাওয়া খুব সাজে
তোমাকে আমার আমাকে তোমার দেখবার সাধ লটকে যাচ্ছে যাক
আমাদের নিজ-নিজ পারিবারিক ফোটোগ্রাফের মাঝে
নেহাত ঘটনাচক্রে তোমার চুল ও এথিকস একসঙ্গে উড়ছিল
আর অবসর ছিল আমাদের। আমি বানিয়ে-বানিয়ে তোমায় বলছিলাম
নানান কৌশলের কথা -- যাদের ব্যর্থতা প্রমাণিত
সেগুলো শিখেছিলাম কোন এক কাঁঠালপাতা ও মাটির ঢেলার
প্রণয়কাহিনী পড়তে পড়তে:
আজ যখন বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া একজোট হয়ে এল -- আমাদেরও যৌথতায়
বোকা-বোকা মাধূর্য ছাড়া কিছুই রইল না
এমন বাদল দিনে, এমন উস্কানিভরা দিনে
একসঙ্গে হাঁটছি আমরা, বিদ্যাকুটের রাস্তা কোনোদিনও খুলবে না জেনে!