somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজাকার পুত্র ও একজন রিকশাওয়ালা (সম্পুর্ণ)

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের সকালে একটু তাড়াতাড়ী উঠলাম একটা ইন্টারভিউ আছে।
এমনিতেই আমি অনেক ইন্টারভিউ দিয়েছি,বলতে পারেন একটা বই লিখতে পারি ইন্টারভিউ এর উপর নাম হবে 'How to Fail in Job Interview'.মাঝে মাঝে আমার মনে হ্য়, যে কোম্পানী গুলোর আমার মেধার তীক্ষ্নতা বোঝার মত ক্ষমতা হয় নাই।তাই আমর চাকরী পেতে দেরী হচ্ছে। এমনিতে সকালে গোসল করার অভ্যাস নাই কিন্তু আজকে গোসল করতে হচ্ছে।
যা হোক রেডী হয়ে নাস্তা করে বের হলাম।যেতে হবে গুলশান।
রোদ টাও আজকে পরসে খুব বেশী।বাসে যেতে ইচ্ছে করছেনা।কিন্তু মাসের প্রায় শেষ, পকেটে পয়সাও কম।সি এন জি তে যাবার টাকা হবেনা।তাই বাসের লাইনেই দাড়িয়ে পড়লাম।কে জানে কখন বাস আসে?

সবুর মিয়া আজকে তেমন ক্ষেপ পাচ্ছেনা।গুলশানের এই গলিতে তেমন ভাড়া পাওয়া যায় না।গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের আগের গলিটাতে বসে আছে ভাড়ার জন্য।

সবুর মিয়া রিকশা চালায় দশ বছর হল।তবে ঢাকায় আছে বেশিদিন না আনুমানিক তিন বছর হলো।এর আগে মানিকগন্জে সদরে চালাত।এমনিতেই তার দিন মাসের তেমন হিসাব রাখেনা।কিন্তু আজকে রাস্তায় পতাকা বিক্রী করা দেখে বুঝল এটা মার্চ মাস আর কয়দিন পরই হয়ত আসবে ২৬শে মার্চ।

দাড়িয়ে আছি প্রায় অনেকক্ষন। লাইনে লোকসমাগম বাড়তে থাকল।অবশেষে বাস আসল। তিন জনের পিছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবার শেষেই উঠতে হলো।আজকে আর ধাক্কা ধাক্কি করলাম না কাপড় নষ্ট হয়ে গেলে সব শেষ।আজকাল আবার মেধা থেকে স্মর্টনেস এর গুরুত্ব বেশী।অনেকেই বলে প্রেজেন্টেশন ভাল না থাকলে বলে মেধা থেকে লাভ নেই।আমি তাদের সাথে একমত না, তাহলে তো আইনস্টাইন হতো দুনিয়ার সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ।কিন্তু আমি এখন বাধ্য হয়েছি আমার ধারনা পরিবর্তন করতে কারন দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলাই ভাল না হলে একদিন ডাইনোসারে মতো আমাকেও বিলুপ্ত হতে হবে। ডাইনোসার যেমন বিলুপ্ত হলো নিজেকে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে।আরে বেটা কি দরকার ছিল তোর মানুষ খাবার দুনিয়ায় কি তোর খাবারের অভাব।এই বার ভাল হইলোনা মানুষ ই তোরে খাইয়া ফেললো।আর তা না হলে এখন কি সুন্দর গরু,ছাগলের সাথে একসাথে ঘাস খেতি।এসব ভাবতে ভাবতে বাস প্রায় চলে এসেছে চত্বরের সামনে আস্তে আস্তে গেটের সামনে যাচ্ছি।
অবশেষে নামলাম।এখানে একটা বায়িং হাউসে আমার ইন্টারভিউ ।ঠিকানাটা পকেট থেকে বের করে হাতে রাখলাম যদি কাউ কে জিগ্যেস করতে হয়।


মার্চ আর ডিসেম্বর এই দুটি মাস আসলেই সবুর মিয়ার মনটা খারাপ লাগে কোন কাজ কাম করতে ইচ্ছা করে না।মনের ভিটর টা কেমন জানি অস্হিরতা কাজ করে।হয়ত আজকে এমনই কিছু করছে তাই ভাড়া না নিয়ে আনমনে বসে কোথায় হারিয়ে যায় সে।

আজকের ইন্টারভিউ টা ভাল হয়েছে কিন্তু এখানে আমি চাকরী করবনা।কারন এখানকার একজন মালিক আমার পুর্ব পরিচিত।আজকে ইন্টারভিউ দেবার পর কিছু ভাল লাগছেনা।মনে হচ্ছে দুনিয়াটাকে ওলটপালট করে ফেলি।যে কারনে আমার এই পালিয়ে বেরানো আজ তা আমার সম্মুখে দাড়িয়ে আমার সাথে মনে হল চরম রসিকতা করল। ভাবতে ভাবতে কখন যে রাস্তায় চলে এলাম খেয়ালই করিনি।হাটতে আর ইচ্ছা করছে না ।রিকশা নিব ,
এই যাবা মহাখালী,কি হল যাবা কি যাবা না বল চুপ করে থাক
কেন?

ও মহাখালী ? যামু উঠেন। কত দিবেন?
আরে চলই না ।তোমারে টাকা কম দিয়া তো আর আমি বড়লোক হয়ে যাব না।

উঠে বসলাম রিকশায়।পুরানো টুকরো টুকরো কোথা মেন পড়ল।
নিজের উৎপত্তী আবিষ্কার করা,নিজের পরিচয় কে ঘৃনা করা,
শিকড় থেকে ছিড়ে বেড়িয়ে পড়া,নতুন জীবনের খোজ করা।প্রতিদিন নতুন কনো যুদ্ধের জন্য তৈরী হওয়া।

সবুর মিয়া আনমনে রিকশ চালিয়ে যাচ্ছে।দেশ রক্ষার যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবন যুদ্ধে সে একজন পরাজিত সৈনিক।যে হাতে ছিল স্টেনগান এখন সে হাতে রিকশার হাতল।এখনও তার কানে বাজে গুলির আওয়াজ।তার নিজের জীবন নিয়ে তার কোন দু:খ বা অভিযোগ নেই।মাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক সন্তান ই তার জীবন বাজী রাখে,কিন্তু তার বদৌলতে কিছু চায়না।
চাইলেতো আর দেশ মা হলোনা।কিন্তু যখন সে দেখে দেশের শত্রুরা বুক ফুলিয়ে সামনে দিয়ে যায় তখন ঘৃনা আর দু:খ মনটাকে গ্রাস করে।তারপরও মনে হয়,জীবনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এখন যা করছি সবই অতিরিক্ত পাওয়া।দেশ চেয়েছি দেশ পেয়েছি।

আজ অনেকদিন পর আবার নিজের উপর ঘৃনা হচ্ছে।আমি এমন একজন মানুষের সন্তান যার জিহ্বায় এখনও আমার দেশের মানুষের রক্তের স্বাদ পাওয়া যায়,যে এখনও পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন করে,যে এখনও মনে মনে বলে "পাক সার জামিন সাদ বাদ"।হ্যা আমি একজন রাজাকর পুত্র।যে রাজমহল ত্যাগ করেছে,বেছে নিয়েছে সংগ্রামী জীবন।কারন তার ঐ রাজপ্রাসাদে এখনও এ দেশের নিরীহ মানুষের আর্তনাদ শুনতে পায়।আমি জানিনা কবে আমর এই পালিয়ে বেরানো শেষ হবে।ডিসেম্বর আর মার্চ মাস আমার জন্য খুবই ভয়ংকর,মনে হয় কেউ আমাকে খুজছে, আর আমি পালাচ্ছি।

রাস্তার প্রত্যেকটা মানুষকে দেখলে আমার হিংসা হয়।ভাবি আমি কেন তাদের মত হলাম না।আমি আমার জন্ম নিয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় থাকি।মাঝে মাঝে মনে হয় এর চেয়ে কোন পতিতার কোলের জন্মও আমাকে সার্থক করত।
আমার ভাবনা আর ক্ষোভ গুলো আমার সাথেই চলে,ফিরে,ঘুরে।
এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে হলে হয় আমাকে আমার রাজাকার পিতাকে হত্যা করতে হবে আর না হয় নিজেকে বিদায় নিতে হবে পৃথিবী থেকে।
আমি জানিনা আমি কি করব ।কিন্তু মুক্তি চাই আমি এর থেকে।

হঠাৎ একটা জোরে ধাক্কা খেলাম ,ছিটকে যাচ্ছি আমি, একটু পরেই মাটিতে পড়ব।

সবুর মিয়া পুরানো দিনের কথাগুলো ভাবছে আর আনমনে রিকশা চালাচ্ছে।কিছু বুঝে উঠার আগেই রাস্তায় পরে গেল সে। আর মুহুর্তে দেখতে পেল তার এক হাত দুরেই একটি গাড়ীর চাকা।

চোখ খুললাম অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে ।মাথার পিছনে মনে হচ্ছে ভারী কিছু আছে যে টা চেপে ধরেছে পুরা শরীরটা।অনেক কষ্টে উঠে আমার বেড এর পাশের ডাক্তারকে জিগ্যেস করলাম আমি এখানে কিভাবে এলাম?ডাক্তার বললো,কে বা কারা আমার রোড এ্যকসিডেন্ট এর পর আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।ডাক্তার বললো আপনি এখন ভাল আছেন চাইলে বাসায় চলে যেতে পারেন।
আস্তে আস্তে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে হাটা ধরলাম বারান্দা দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ মনে পড়ল আমার রিকশাওয়ালার কথা।অনুসন্ধান এ খবর নিলাম জানলাম সে আছে ২ তলার ওয়ার্ডে।ওয়ার্ডে ঢুকে এদিক ওদিক খুজতে খুজতে পেলাম তাকে।সারা শরীর রক্তাক্ত। দেখেই বুঝলাম অবস্হা ভাল না।আমি ডাক্তারকে জিগ্যেস করলাম।ডাক্তার বললো অবস্হা ভাল না।যে কোন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।আমি তার বিছানার কাছে গেলাম , তার হাত ধরলাম ।দেখলাম সে অল্প করে চোখ খুললো,আমার দিকে তাকাল।আমি তাকে জিগ্যেস করলাম ,আপনার পরিবার কই থাকে?
উত্তর পেলাম না।আমি প্রশ্নটা আবার করলাম।
এবার সে সে আস্তে করে বলল,
যুদ্ধে মইরা গেসে।আমি চমকে উঠলাম ।
আমি তাকে জিগ্যেস করলাম আপনি মুক্তিযোদ্ধা ! সে আস্তে করে মাথাটা নাড়ল। আমি কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলাম।হারিয়ে গেলাম যেন কিসের মাঝে।হঠাৎ তার হাতের চাপে সম্বিত ফিরে পেলাম। সে আমাকে ডাকছে কিছু বলার জন্য।আমর কান টা তার মুখের কাছে নিলাম সে বলল,ভাইজান আমি আর বেশিক্ষন বাচুম না,মরনের আগে একটা কথা আপনে আমারে একটা পতাকা আইনা দেন ,আমি আমার মা রে দেইখা মরতে চাই।

আমি তার হাত ছেড়ে ,হাসপাতালের বাইরে এলাম পতাকার খোজে।রাত তখন ৭ টা এদিক সেদিক খুজতে খুজতে ২ ঘন্টা চলে গেল অগত্যা না পেয়ে ফিরে এলাম হাসপাতালে,ভাবলাম কাল সকালে পেয়ে যাবই।তার বেডের সামনে এসে দেখি খালি ,মুহুর্তের মধ্যে এক ভয় আমাকে গ্রাস করল।কাউকে জিগ্যেস করার আগেই একজন পাশ থেকে বলল যে সে কিছুক্ষন আগে মারা গেছে।মর্গে আছে।

মর্গে গিয়ে দেখা পেলাম তার।অনেক অফিসিয়াল কাজ শেষ করে তাকে নিয়ে গেলাম আজিমপুর কবরস্হানে।

আমরা মাত্র কজন ।মাওলানা সাহেব জানাজা পরে দুয়া করলেন।
তারপর ধীরে ধীরে তাকে সুইয়ে দিলাম মাটিতে মনটা আমার তখনও কিরকম জানি করছিল ,একটি মাত্র চাওয়া সেটাও পুরন করতে পারলাম না।এটা কেমন! চোখ দিয়ে বেয়ে আসছে পানি।চোখ মুছতে গিয়ে দেখলাম আমি সবুজ রংয়ের শার্ট পরে আছি আর আমার লাল রক্ত এখনও রয়ে গেছে শার্টে।
আমি মুহুর্তের মধ্যে আমার শার্ট খুলে তার কাফনের উপর বিছিয়ে দিলাম।মাওলানা সাহেব সহ আরও কয়েকজন আমার দিকে চিৎকার করে বললেন এটা কি করলেন ভাই ,কবরে কাফনের কাপর ছাড়া আর কিসু দিতে হয়না,সরান তাড়াতাড়ি।

আমি তাদের দিকে তাকালাম,আস্তে করে বললাম,
উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।শেষ সময়েও তাকে আমরা প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে পারি নাই।আর এটাও যদি দিতে না পরি এই আপনাদের উপরওয়ালা কি আমদের গ্রহন করবেন?
সবাই চুপ হয়ে গেলেন ।আস্তে আসতে আমরা তার উপর মাটি ফেলতে লাগলাম।ধীরে ধীরে চাপা পড়তে থাকে আরেকটি মুক্তিযোদ্ধার হাসি,কান্না,দু:খ,অভিমান।

ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। আজ মনে হয় বিধাতার চোখেও জল এসেছে।

আমি বের হয়ে আসি রাস্তায়,হাটতে হাটতে ভাবি ।আর কতদিন আমরা অবহেলায় রাখব আমাদের এই জাতির নায়কদের?

আজকে আমার এই প্রশ্ন, নিজের কাছে,তোমার কাছে,তার কাছে,সমগ্র জাতির কাছে।

বৃষ্টি বাড়ছে।ভিজতে ভালই লাগছে।আজ অনেক দিন পর কাঁদছি।আমার কান্না আর বৃষ্টি আজ একাকার।


(বি:দ্র: মুক্তিযোদ্ধারা মরে না ,তারা চিরজিবী ,ফিরে আসে সময়ে সময়ে।হয়ত রহিম ,শফিক আর জব্বরের বেশে)




২৪টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×