বিচারপতিঃ স্যার, সালাম নিবেন আমি ......বিচারপতি বলছি ,
জনৈক ব্যাক্তিঃ হ্যা আপনার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম ।
বিচারপতিঃ জী স্যার , কিন্তু ফোন দিতে ভয় পায় , চারদিকে যে কত কিছু উৎ পাতা থাকে, কে যে কখন রেকর্ড করে বসে তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। আপনি ও যাবেন আমারও সব যাবে।
জনৈক ব্যক্তিঃ সব সেটআপ দিয়ে রেখেছি, কোনো সমস্যা নেই। আসল কথায় আসেন বিচারের ভিতরকার অবস্থা বলেন, খবর কি?
বিচারপতিঃ স্যার, বিচার তো প্রায় শেষের দিকে, মানে রায়ের পর্যায়ে। বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরেপেক্ষ হয়েছে যেমনটা সবায় আশা করেছিল।
জনৈক ব্যক্তিঃ তাহলে রায়টা কি হবে , অর্থাৎ বিচার কি হবে?
বিচারপতিঃ কবি মেহেরুন্নেছা সহ তার পরিবারকে হত্যা , আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা,
খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাঙলা কলেজের পল্লব সহ আরো সাতজনকে হত্যা সহ আরো হত্যার অভিযোগে নিশ্চিত ফাঁসি।
জনৈক ব্যক্তিঃ সর্বনাশ আপনি বলছেন কি ?
এমনিতেই শিবিরের ক্যাডারদের তান্ডবে বাচতেছি না, তার উপর পুলিশের কিছু সহ প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার অসযোগীতায় আমরা খুব বাজে অবস্থায় আছি। তাছারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ তো রয়েছেই, আর আমরা যারা রাজনীতি করি তাদেরও তো একটা রাজনৈতিক হিসেব আছে। মূল কথা হচ্ছে, মানুষ যে আমাদের পাশে দাঁড়াবে এর নিশ্চয়তা কি? শিবির যখন তান্ডব শুরু করবে তখন সুযোগ সন্ধানী বিরোধী দল বিএনপি তাদেরকে আরো উসকে দেবে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আর তাদেরকে বিভিন্ন গুন্ডা ও অস্র দিয়ে । আমরা তখন কোণঠাসা হয়ে যাবো। তখন কি মানুষ আসবে আমাদের বাচাতে ?
বিচারপতিঃ কিন্তু স্যার ?
জনৈক ব্যক্তিঃ কিন্তু কি , তারউপর আবার দেশে অনেক ধর্মভীরু মানুষ আছে যারা তাদের বিচার চায়না। আমরা তো তাদের ভোটটা ও হারাবো । সব দিক ই তো ভেবে দেখতে হচ্ছে ।
বিচারপতিঃ স্যার আমার জীবনও সংকটাপন্ন, শিবিরের ক্যাডারের আমাকে হুমকি দিয়েছে যে যদি ফাঁসির রায় দেই তাহলে আমার পরিবার উড়িয়ে দেবে। আর মিডিয়াতেও বলতে পারছি না , হুমকি দিয়ে রেখেছে। প্রচার হলেই আমার পরিবারের একজনকে উড়িয়ে দেবে।
জনৈক ব্যক্তিঃ তাই আসুন, ফাঁসি না দিয়ে আপনি ও বাঁচুন আমরাও বাচি।
চারপতিঃ কিন্তু স্যার, জনগণ ?
জনৈক ব্যক্তিঃ সেটা নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। সেটার জন্য আমরা তো আছিই। !!!
কিছুক্ষণ পড়ে বিচারপতি তার কক্ষে গিয়ে চিন্তা শুরু করে কি করা যায়?
একদিকে ন্যায়বিচার, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ আর অন্যদিকে রাজনীতি ও জীবনের ভয় ।
তখন তার মনে হয় প্রাথমিকে সে পড়েছিল, রাজার মেয়ে শিক্ষকের পায়ে পানিঢালার অপরাধে তাকে রাজা তার কক্ষে দেকে নিয়ে যায় । কিন্তু যাওয়ার আগে সে পণকরে যায়, অন্যায়ের কাছে কোন মাথা নত করবে না, নিজের জীবন গেলেও।
তাছাড়া নজরুলের সেই বিখ্যাত কবিতাও মনে পড়ে যায়,
বল বীর
চির উন্নত শির ।
কিন্তু কোনো সত্যের বাণী তাকে জাগ্রত করতে পারেনি। সে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে সত্য ও মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে । সে মানবতার শত্রু। (কল্পিত)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০