somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঁধ ভাঙ্গা ইচ্ছেগুলো

১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছুটতে শিখেছিলাম, তাই দাঁড়াবার কথা ভুলে গেছি।

এইতো সেদিন বাসে করে স্কুলে যাওয়া।
বাসে বসে অন্য ছাত্রদের দেখা।
ক্লাসের সময় নিয়ে কত টেনশন, কত চিন্তা!
টিফিনের ঘণ্টা বাজবে, আর আমি দৌড়ে নামব...খেলব।
মাত্র পনেরটা মিনিট যেন এক একটি যুগের সমান।
দৌড়ে মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ।
এভাবেই শব্দ বসে বসে একটা কবিতার রূপ নেয়।
আমার ডায়েরীর পাতা জুড়ে পাশের বাড়ির মেয়েটা ঠাই নিচ্ছে তখন।
আমি প্রতি রাতে বিয়ের স্বপ্নে তোলপাড় করি।
অথবা মেঠো বল নিয়ে দুপুরে ক্রীকেট খেলতে দৌড়।
মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে যতসব কাদা মাখিয়ে ঘরে ঢুকতাম।

ফিরে দেখি, আবার ছুটে যেতে চাই...তবে এখন সব দূরে।
যেন আলোকবর্ষের ব্যবধান সেই আমি থেকে এই আমি।

জীবন বুঝতে শিখেছি মাত্র ক'দিন হলো।
এখন মনের বাকে উকি দিয়ে দুনিয়ার সব কৈশোরের হাতছানি দেয়।
অথবা এখনও বৃষ্টি দেখলে কাদা-মাখামাখি করে ফুটবলের স্বর্গে যেতে ইচ্ছে করে।

তবে আর নেই সে সময়, এখন জীবনকে বুঝতে শিখেছি।
পাশের বাড়ির মেয়েটা আর লেখায় ঠাই পায় না,
অথবা জড়াজীর্ণ ডায়েরীটা নিষ্প্রভ!
ধুলো পড়ে গেছে, তবু তার নামে নামে এখনও অমলিন স্মৃতি।

ওহ! আবার ফিরে পেতে বড় ইচ্ছে করে...
হ্যারিকেন জ্বালা রিকশার পেছন পেছন দৌড়ে রাতে দোকান থেকে আসা,
সাথে যাবতীয় সব সংসারের জাল...একটা বাতি, একটা দেয়াশলাই।

রান্নাঘরের মায়ের বিরিয়ানি রান্না,
ছেলে-বেলার যত উদ্ভট চিন্তা, রাগে জাপটে ধরে থাকা বালিশ।
আমি আজ কিছু খাব না, মায়ের সাথে অভিমান!
অথবা বাবার সাথে রাগ, আমাকে কেন প্রমোদ উদ্যানের সেই বেঞ্চিতে বসতে দেওয়া হলো না!

আজ কার কাছে বাঁধা নই, স্কুলের তাড়া নেই, কী খেলায়, আনন্দ ফূর্তিতে,
কিছুতেই তো বাঁধা নেই,
তবু পারিনা ইচ্ছে হলেই দৌড়ে যেতে সূর্যের দিকে,
অথবা বৃষ্টির মেঘ ছেয়ে অনেকটা পথ দূরে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি: পূর্ণাঙ্গ তুলনার ধারণা এবং এর গুরুত্ব

লিখেছেন মি. বিকেল, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০



সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বস্তু যা শুধুমাত্র পৃথিবীতে একটি বিদ্যমান তার তুলনা কারো সাথে করা যায় না। সেটিকে তুলনা করে বলা যায় না যে, এটা খারাপ বা ভালো। তুলনা তখন আসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×